সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ভাইরাল
সিদ্ধিরগঞ্জে রমজান মাসে থেমে নেই বাউল গানের আসর – নীরব ভুমিকায় পুলিশ
- আপলোড সময় : ০১:২৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
- / ৭৭৪ বার পড়া হয়েছে
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পবিত্র রমজান মাসে বাউল গানের নামে নারী শিল্পীদের দিয়ে রাতভর চলছে রমরমা বাউল গানের আসর।
আর সেই গানের তালে তালে চলছে নারী পুরুষ ও যুবক-যুবতীদের উন্মাতাল নৃত্য ও উন্মাদনা। এসব অশ্লীল উন্মাতাল নৃত্যে হরহামেশাই চোখে পরে শিশুদের উপস্থিতি। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাউল গানের নামে উন্মাতাল গান ও নাচের একটি ভিডিও ভাইরাল হতে দেখা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঐ ভিডিওটি ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এর পূর্ব পাশে পারিজাত সিটি কম্বল মার্কেটের পাশে অবৈধ ভাবে সরকারি খাল দখল করে গড়ে উঠা (নারায়ণগঞ্জ চিশতিয়া বাউল সমিতি) বাউল গানের ক্লাবের। ভিডিওতে দেখা যায় উন্মাতাল নৃত্যের সময় নারীদের গায়ে টাকা ছুড়ে মারার দৃশ্যও। পবিত্র রমজান মাসে এমন অশ্লীলতায় স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
দীর্ঘদিন যাবত থানা পুলিশ ও স্থানীয় রাজনৈতিক মহল ও প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে ইমরান দেওয়ান নামের এক ব্যাক্তি এ আস্তানাটি পরিচালনা করে আসছে। সেই সাথে রাত ৯ টার পর বাউল গানের নামে নারী শিল্পীদের দিয়ে গানের সাথে অশ্লীলভাবে অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করে ব্যাবসা করে আসছে। তাদের মূল লক্ষ্য নারীদের দিয়ে অশ্লীল অঙ্গ ভঙ্গিমায় গান পরিবেশন করে আসর জমিয়ে নানা কৌশলে টাকা হাতিয়ে নেওয়া।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গানের সাথে এসব অশ্লীল উন্মাতাল নৃত্য দেখতে স্থানীয় যুব সমাজ ও পেশাজীবি ছাড়াও দুর দুরান্ত থেকে ছুটে আসে খেটে খাওয়া সাধারন মানুষ। গানের আসরের প্রবেশ দ্বারেই প্রকাশ্যে বিক্রি হয় গাজা ও নেশা জাত দ্রব্য আর এসব সেবন করে গানের আশরে প্রবেশ করে নানা বয়সের লোকজন ও অপরাধীরা।
বছরের পর বছর বিভিন্য স্থানীয় পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশ হলেও টনক নড়েনি প্রশাসনের।
পবিত্র রমজান মাসে বাউল গানের নামে তাদের এমন উন্মাতাল আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে একপর্যায়ে স্থানীয় বাসিন্দারা মাইকের উচ্চ শব্দ বন্ধ করার অনুরোধ করলেও আয়োজক ইমরান দেওয়ান তা গুরুত্ব দেননি। এমনকি ৯৯৯ এ কল এর মাধ্যমে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশকে একাধিক বার যানানো হলেও টাকার কাছে হারমেনে / রহস্যজনকভাবে নিরব ভুমিকা পালন করছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসীরা জানান, পবিত্র রমজান মাসে বাউল গানের নামে তাদের এমন উন্মাতাল আচরণের বিরুদ্ধে আইনশৃংখলা বাহিনী কোনো ব্যবস্থা না নিলে আমরা তাদের ওই আস্তানা গুড়িয়ে দিবো। আমরা মসজিদের মুসুল্লি ও সর্বস্তরের মানুষ নিয়ে সোচ্চার হচ্ছি।