ঢাকা ১০:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শামীম ওসমান পালিয়ে গিয়ে দিল্লীতে মাজারে কান্নাকাটি করছে: গিয়াসউদ্দিন

ইসমাইল হোসেন মিলন (সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি)
ইসমাইল হোসেন মিলন (সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি)
  • আপলোড সময় : ০৮:৪৪:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩০৭ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের
পলাতক এমপি শামীম ওসমান প্রসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর অনেকে ধরা পড়লেও গডফাদারকে (শামীম ওসমান) ধরা যায়নি। সে এখন দিল্লীতে গিয়ে মাজারে রাতে কান্নাকাটি করছে। তাদের দাম্ভিকতার পতন হয়েছে। বিগত দিনে এ গডফাদারের সাথে মানুষ দেখা করতে পারেনি। বাড়িতে গেলে ধূর ধূর করে তাড়িয়ে দিত। বিএনপিকে মাটিতে মিশিয়ে দিবে বলে দাম্ভিকতা দেখাতো। শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছে। অনেকেই তাকে বলতেন সিংহপুরুষ। সিংহ মানে তো জানোয়ার। আমি বলতাম কাপুরুষ। তিনি সত্যিকার অর্থেই কাপুরুষের মত বোরকা পড়ে পালিয়ে গেছে।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি বাতানপাড়া এলাকায় নাসিক ১নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচার সরকার পতনের জন্য আমরা যখন আন্দোলন করি তখন নির্বিচারে গুলি করে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। আমাদের নেতা কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে রেখেছে কিংবা বাড়িঘর ছাড়া রেখেছে। আপনারা আগেই জানেন এখানে যারা আওয়ামী লীগ নেতা এবং স্বৈরাচার সরকারের দোসর ছিল তারা কিভাবে এখানে অন্যায় জুলুম নির্যাতন চালিয়েছে। তারা বিএনপিকে চিরতরে শেষ করে দেবে বলে হুংকারও দিয়েছিল। সরকারেও পৃষ্ঠপোষকতায় তারা এমন কোন সেক্টর নেই যেখানে চাঁদাবাজি করেনি। এখানের দিনমজুর, সিএনজি চালক ও রিকশা চালকদের থেকে এখানের আওয়ামী লীগ কর্মীরা চাঁদা উঠিয়ে খেত। এমন কোন সেক্টর নেই যেখান থেকে আওয়ামী লীগ কর্মীরা চাঁদা নেয় নি। তারা অর্থনীতিকে একেবারে শেষ করে দিয়েছে, ব্যাংকের টাকা লুটপাট করেছে। কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। পুলিশ ও থানার দালাল হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কাজ করেছে। মিথ্যা মামলায় সাধারণ মানুষকে আসামি করে তাদের থেকে টাকা লুটপাট করেছে। এমন কোন অপকর্ম নেই যেটা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা করে নাই। তাদের এই অপকর্মের জন্য নারায়ণগঞ্জবাসী সারা বাংলাদেশের কাছে লজ্জিত।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ও নাসিক ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মাদ ইকবাল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর হোসেন, মো. মোস্তাফা কামাল, নাসিক ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রওশন আলী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদল নেতা মো.শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

শামীম ওসমান পালিয়ে গিয়ে দিল্লীতে মাজারে কান্নাকাটি করছে: গিয়াসউদ্দিন

আপলোড সময় : ০৮:৪৪:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের
পলাতক এমপি শামীম ওসমান প্রসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর অনেকে ধরা পড়লেও গডফাদারকে (শামীম ওসমান) ধরা যায়নি। সে এখন দিল্লীতে গিয়ে মাজারে রাতে কান্নাকাটি করছে। তাদের দাম্ভিকতার পতন হয়েছে। বিগত দিনে এ গডফাদারের সাথে মানুষ দেখা করতে পারেনি। বাড়িতে গেলে ধূর ধূর করে তাড়িয়ে দিত। বিএনপিকে মাটিতে মিশিয়ে দিবে বলে দাম্ভিকতা দেখাতো। শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছে। অনেকেই তাকে বলতেন সিংহপুরুষ। সিংহ মানে তো জানোয়ার। আমি বলতাম কাপুরুষ। তিনি সত্যিকার অর্থেই কাপুরুষের মত বোরকা পড়ে পালিয়ে গেছে।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি বাতানপাড়া এলাকায় নাসিক ১নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচার সরকার পতনের জন্য আমরা যখন আন্দোলন করি তখন নির্বিচারে গুলি করে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। আমাদের নেতা কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে রেখেছে কিংবা বাড়িঘর ছাড়া রেখেছে। আপনারা আগেই জানেন এখানে যারা আওয়ামী লীগ নেতা এবং স্বৈরাচার সরকারের দোসর ছিল তারা কিভাবে এখানে অন্যায় জুলুম নির্যাতন চালিয়েছে। তারা বিএনপিকে চিরতরে শেষ করে দেবে বলে হুংকারও দিয়েছিল। সরকারেও পৃষ্ঠপোষকতায় তারা এমন কোন সেক্টর নেই যেখানে চাঁদাবাজি করেনি। এখানের দিনমজুর, সিএনজি চালক ও রিকশা চালকদের থেকে এখানের আওয়ামী লীগ কর্মীরা চাঁদা উঠিয়ে খেত। এমন কোন সেক্টর নেই যেখান থেকে আওয়ামী লীগ কর্মীরা চাঁদা নেয় নি। তারা অর্থনীতিকে একেবারে শেষ করে দিয়েছে, ব্যাংকের টাকা লুটপাট করেছে। কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। পুলিশ ও থানার দালাল হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কাজ করেছে। মিথ্যা মামলায় সাধারণ মানুষকে আসামি করে তাদের থেকে টাকা লুটপাট করেছে। এমন কোন অপকর্ম নেই যেটা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা করে নাই। তাদের এই অপকর্মের জন্য নারায়ণগঞ্জবাসী সারা বাংলাদেশের কাছে লজ্জিত।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ও নাসিক ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মাদ ইকবাল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর হোসেন, মো. মোস্তাফা কামাল, নাসিক ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রওশন আলী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদল নেতা মো.শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন