নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, দিদার আলমের পরিবার এই কদমতলী এলাকার উন্নয়নে তাদের অংশীদার। এই পরিবারের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম ছাত্রবয়স থেকে। আমার প্রতিটি নির্বাচনে দিদার আলম নিজ থেকে দায়িত্ব পালন করেছেন। কদমতলী আদমজী এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তিনি অগ্ৰণী ভূমিকা পালন করেছেন।

রবিবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে মার্চেন্ট ওয়ার্কারস উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ৭নং ওয়ার্ড বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) সভাপতি দিদার আলমের মৃত্যুতে দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের সময়ে দিদার আলম হামলা মামলার স্বীকার হয়েছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে তিনি ছিলেন অগ্ৰগামী ছিলেন।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে দলীয় করণ করা যাবে না। অনেক ত্যাগের বিনিময়ে এ নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। সমাজে যারা চারিত্রিক গুণাবলী সমৃদ্ধ মানুষকে সমাজ ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় সূযোগ দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

তবেই আমরা ভালো সন্তান পাবো। অবৈধ সম্পদশালীকে সমাজের কোন ভালো কাজে সুযোগ দেয়া যাবে না। গুনী জনকে সম্মান দিতে হবে। সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে ভালো মানুষকে কদর দেয়ার অনুরোধ করেন মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।

দিদার আলমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে তাঁর পরিবারের সকল সদস্যের দিদার আলমের জীবনাদর্শ অনুসরণ চলার আহ্বান জানান মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।

প্রয়াত দিদার আলমের পরিবারের আয়োজনে শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মো. মাজেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাদল এর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য শামীম আহমেদ ঢালী, প্রয়াত দিদার আলমের ভাতিজা মোঃ শুভ, ওয়ার্ড বিএনপি নেতা এডভোকেট হাবিবুর রহমান মাসুম।