ঢাকা ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে রাস্তা নির্মাণ পর্যন্ত: অনিয়মে চিহ্নিত চার প্রকল্পে দুদকের অভিযান

রনি মজুমদার
রনি মজুমদার
  • আপলোড সময় : ০৬:৫৯:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
  • / ২৯০ বার পড়া হয়েছে

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আজ (০৮ জুলাই ২০২৫) দেশের চারটি স্থানে গুরুত্বপূর্ণ এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করেছে। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প ও প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম, দুর্নীতি ও রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের ভিত্তিতে এসব অভিযান পরিচালিত হয়।

🔎 বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অনিয়ম:
রামপালের ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড – বিআইএফপিসিএল) প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুদক। অভিযোগে অপ্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ, অর্থপাচার এবং যন্ত্রপাতি ক্রয়ে অনিয়মের বিষয় উঠে আসে। অভিযানে বিদেশী ও বাংলাদেশী কর্মীদের তথ্য, বেতন-ভাতার পে-স্লিপ এবং ক্রয় সংক্রান্ত চুক্তিপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ নথি জব্দ করা হয়। প্রাথমিকভাবে অসম চুক্তির প্রমাণ মিলেছে বলে জানা গেছে।

🔎 প্রাণিসম্পদে ভুয়া বিল:
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে ১৭ কোটি টাকার ভুয়া বিল পরিশোধের অভিযোগে আরেকটি অভিযান হয়। অভিযোগে বলা হয়, ঠিকাদারদের নিকট থেকে পশু-পাখির ওষুধ ও ভিটামিন-মিনারেল সম্পূর্ণ সরবরাহ না করেই পুরো বিল পরিশোধ করা হয়েছে। রাজধানীর নাজিরাবাজারের স্টোর রুম পরিদর্শন ও রেকর্ডপত্র যাচাই করে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করছে দুদকের টিম।

🔎 রাঙ্গামাটিতে হোস্টেল নির্মাণে অনিয়ম:
রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল নির্মাণ প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, রাঙ্গামাটি অভিযান চালায়। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ও গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীদের সাথে নিয়ে নির্মাণাধীন ভবনগুলো পরিদর্শন ও টেন্ডার নথি পরীক্ষা করে একাধিক অসংগতি পাওয়া গেছে।

🔎 যশোরে রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী:
যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলায় ২.৪৫ কিমি দীর্ঘ সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে অভিযান চালানো হয়। সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, ইটের খোয়া ও বালির অনুপাত ঠিক না রেখে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। প্রকল্পের নির্ধারিত সময় শেষ হলেও এখনো কাজ শেষ হয়নি।

দুদক সূত্র জানিয়েছে, এসব অভিযানের সময় সংগৃহীত রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণ শেষে কমিশনের কাছে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে রাস্তা নির্মাণ পর্যন্ত: অনিয়মে চিহ্নিত চার প্রকল্পে দুদকের অভিযান

আপলোড সময় : ০৬:৫৯:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আজ (০৮ জুলাই ২০২৫) দেশের চারটি স্থানে গুরুত্বপূর্ণ এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করেছে। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প ও প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম, দুর্নীতি ও রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের ভিত্তিতে এসব অভিযান পরিচালিত হয়।

🔎 বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অনিয়ম:
রামপালের ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড – বিআইএফপিসিএল) প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুদক। অভিযোগে অপ্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ, অর্থপাচার এবং যন্ত্রপাতি ক্রয়ে অনিয়মের বিষয় উঠে আসে। অভিযানে বিদেশী ও বাংলাদেশী কর্মীদের তথ্য, বেতন-ভাতার পে-স্লিপ এবং ক্রয় সংক্রান্ত চুক্তিপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ নথি জব্দ করা হয়। প্রাথমিকভাবে অসম চুক্তির প্রমাণ মিলেছে বলে জানা গেছে।

🔎 প্রাণিসম্পদে ভুয়া বিল:
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে ১৭ কোটি টাকার ভুয়া বিল পরিশোধের অভিযোগে আরেকটি অভিযান হয়। অভিযোগে বলা হয়, ঠিকাদারদের নিকট থেকে পশু-পাখির ওষুধ ও ভিটামিন-মিনারেল সম্পূর্ণ সরবরাহ না করেই পুরো বিল পরিশোধ করা হয়েছে। রাজধানীর নাজিরাবাজারের স্টোর রুম পরিদর্শন ও রেকর্ডপত্র যাচাই করে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করছে দুদকের টিম।

🔎 রাঙ্গামাটিতে হোস্টেল নির্মাণে অনিয়ম:
রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল নির্মাণ প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, রাঙ্গামাটি অভিযান চালায়। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ও গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীদের সাথে নিয়ে নির্মাণাধীন ভবনগুলো পরিদর্শন ও টেন্ডার নথি পরীক্ষা করে একাধিক অসংগতি পাওয়া গেছে।

🔎 যশোরে রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী:
যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলায় ২.৪৫ কিমি দীর্ঘ সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে অভিযান চালানো হয়। সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, ইটের খোয়া ও বালির অনুপাত ঠিক না রেখে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। প্রকল্পের নির্ধারিত সময় শেষ হলেও এখনো কাজ শেষ হয়নি।

দুদক সূত্র জানিয়েছে, এসব অভিযানের সময় সংগৃহীত রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণ শেষে কমিশনের কাছে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন