ঢাকা মহানগর উত্তর শ্রমিক দলের ৩ নং ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি রজ্জবকে ঘিরে রাজনৈতিক আলোচনা তুঙ্গে।

- আপলোড সময় : ০৫:৫৮:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫
- / ২৩৫ বার পড়া হয়েছে
ঢাকার মহানগর উত্তর শ্রমিক দলের ৩ নং ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি রজ্জবকে ঘিরে রাজনৈতিক আলোচনা তুঙ্গে। বিষয়টি নিয়েছে নতুন মোড়, যখন জানা যায় রজ্জবের শ্বশুর ইস্কান্দার মিয়া একই ওয়ার্ডে আওয়ামী বাস্তুহারা লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দুই ভিন্ন দলের মধ্যে পারিবারিক সংযোগ এখন স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় নেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী, রজ্জব দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিক দলের সঙ্গে যুক্ত। তবে সাম্প্রতিক কার্যক্রমে তার পদক্ষেপ এবং শ্বশুরের রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে দলের কিছু সদস্য সন্দিহান।
এক নেতার মন্তব্য, “রজ্জব দলের সভা-সমাবেশে সক্রিয় থাকলেও, মাঠের সিদ্ধান্তে তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন আছে। শ্বশুরের প্রভাব কাজ করছে কি না—এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।”
রজ্জব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি আমার দলের নীতিমালা মেনে চলি। শ্বশুরের রাজনীতি তার নিজস্ব বিষয়।” ইস্কান্দার মিয়া বলেন, “আমরা আমাদের নিজ নিজ দল করি। কোনো গোপন এজেন্ডা নেই।”
তবুও, স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা সতর্ক করে বলেন, একই পরিবারের সদস্যরা ভিন্ন রাজনৈতিক দলে থাকলে স্বচ্ছতা বজায় রাখা কঠিন হয়ে যায়। এই পরিস্থিতি স্থানীয় রাজনীতিতে বিভ্রান্তি ও আস্থার সংকট তৈরি করতে পারে।
বর্তমানে দলের ভেতর এই পারিবারিক সংযোগের প্রভাব নিয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে। প্রশ্ন একটাই—এটি কি শুধুই রাজনৈতিক কাকতালীয়তা, নাকি দলের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার ঘটেছে? অন্যদিকে গত ২৭/০৯/২০২৫ তারিখে পল্লবী থানায় রজ্জব এর বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়,
পল্লবী বটতলা এলাকার মোঃ সেলিমের মেয়ে ফারজানা আক্তার (২০) বাদী হয়ে স্থানীয় থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করলেও প্রধান আসামী এখনও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলামকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মামলাটি এখনও তদন্তাধীন রয়েছে। তিনি আরও বলেন, “তদন্ত শেষে বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এদিকে, বাদী পরিবারসহ স্থানীয়রা বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।