ঢাকা ০১:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় জমি দখলের চেষ্টা, সেনাবাহিনী দেখে পালালো দস্যুরা

মুহাম্মদ আলী (নিজস্ব প্রতিবেদক)
মুহাম্মদ আলী (নিজস্ব প্রতিবেদক)
  • আপলোড সময় : ১১:০৪:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪
  • / ২৮৯ বার পড়া হয়েছে

দেশের বর্তমান চলামান পরিস্থিতে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে সিদ্ধিরগঞ্জে একটি নালিশা ভুমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে আজিম মোল্লা (বাপ্পি) ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌছলে তাদের দেখে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায় বলে স্থানীয়রা জানান। শনিবার (১০ আগষ্ট) সকালে গোদনাইল ভাঙ্গারপুল এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
জানাগেছে, নাসিক ৮ নং ওয়ার্ডের গোদনাইল ভাঙ্গারপুল এলাকায় শামীমা আহমেদ লিলির ২০১০ সালের ক্রয়কৃত একটি জমি তার সীমানাবর্তী প্রতিবেশী আজিম মোল্লা (বাপ্পি) নানা ছলেবলে কৌশলে দীর্ঘদিন থেকে দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। একপর্যায়ে শামীমা আহমেদ লিলি জমিটি বাপ্পির কাছে বিক্রির প্রস্তাব দিলে তিনি ন্যায্য মূল্য না বলায় লিলি আর জমিটি বিক্রি করেনি। এরপর এই জমিটি নিতে বাপ্পি পূর্বের মালিকদের ওয়ারিশদের কাছ থেকে আমমোক্তার নামা নিয়ে আদালতে মামলা করে। এরপর শামীমা আহমেদ লিলিও আরেকটি মামলা করেন। এদিকে আদালত মামলা চলমান অবস্থায় কেউ এ নালিশা ভুমিতে কোনরূপ কোন স্থাপনা নির্মাল বা দখলে যেতে পারবেনা বলে আদেশ দেন।
অপরদিকে গত ৫ আগষ্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতন ও দেশ ত্যাগের পর দেশে অস্থিরতা, নৈরাজ্য ও নাশকতার সুযোগে দূর্র্বৃত্তরা সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হামলা চালিয়ে অগ্নিকান্ড ও লুটপাটের পর থানা পুলিশের কার্যক্রম নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। এরপর থেকেই ওই নালিমা ভুমিটি নিজ দখলে নিয়ে মরিয়া হয়ে উঠে আজিম মোল্লা (বাপ্পি)। জমিতে স্থাপনা নির্মানের চেষ্টা চালান। এনিয়ে নাশকতা ও সংঘাতের আশংকার খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর ঘটনাস্থলে আসলে তাদের দেখে আজিম মোল্লা (বাপ্পি) ও তার লোকজন পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে শামীম আহমেদ লিলি জানান, গোদনাইল ভাঙ্গারপুলের পূর্বপাশের ৯ শতাংশ জমিটি ২০১০ সালে আমি ক্রয় করি। এ জমি দিয়ে দুই দফায় ব্যাংক থেকে ৮০ লাখ ও ১ কোটি টাকা ব্যাংক ঋনও নিয়েছি। এ জমির সীমানার পাশে জমির মালিক আজিম মোল্লা (বাপ্পি) বিভিন্ন সময়ে জমিটি দখল নিতে চেস্টা করলে আািম তাকে বিক্রির প্রস্তাব দিলে তিনি জমিটি নাম মাত্র পানির দরে নিতে চান।
আমি না দেয়ার এরপর নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে। জমির পূর্বের মালিকদের ওয়ারিশদের বের করে তাদের কাছ থেকে পাওয়ার নিয়ে মামলা মোকদ্দমা করেন। আমিও মামলা করি। মামলা চলমান ও দেশের ক্রান্তিকালের সুযোগে আজিম মোল্লা (বাপ্পি) জমিটি দখলের চেষ্টা চালায়।
এ ঘটনায় আমরা পুলিশের অনুপস্থিতিতে সেনাবাহিনীকে বিষয়টি অবগত করি। এরপরও তারা জমি দখলে নিতে দেয়াল নির্মানের চেস্টা চালায়। বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানালে সেনা সদস্যরা আসলে তারা পালিয়ে যায়।
এদিকে আজিম মোল্লা (বাপ্পি) জমি দখলের অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন জমিতে সিটি করপোরেশন ময়লা ফেলে রেখেছে। ওয়াল টোয়ালের কোনো বিষয় নেই। এ জমি নিয়ে মামলা চলছে বলতেই তিনি বলেন, আদালতের নিষ্পতিতে যা হয় তখন দেখা যাবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় জমি দখলের চেষ্টা, সেনাবাহিনী দেখে পালালো দস্যুরা

আপলোড সময় : ১১:০৪:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪

দেশের বর্তমান চলামান পরিস্থিতে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে সিদ্ধিরগঞ্জে একটি নালিশা ভুমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে আজিম মোল্লা (বাপ্পি) ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌছলে তাদের দেখে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায় বলে স্থানীয়রা জানান। শনিবার (১০ আগষ্ট) সকালে গোদনাইল ভাঙ্গারপুল এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
জানাগেছে, নাসিক ৮ নং ওয়ার্ডের গোদনাইল ভাঙ্গারপুল এলাকায় শামীমা আহমেদ লিলির ২০১০ সালের ক্রয়কৃত একটি জমি তার সীমানাবর্তী প্রতিবেশী আজিম মোল্লা (বাপ্পি) নানা ছলেবলে কৌশলে দীর্ঘদিন থেকে দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। একপর্যায়ে শামীমা আহমেদ লিলি জমিটি বাপ্পির কাছে বিক্রির প্রস্তাব দিলে তিনি ন্যায্য মূল্য না বলায় লিলি আর জমিটি বিক্রি করেনি। এরপর এই জমিটি নিতে বাপ্পি পূর্বের মালিকদের ওয়ারিশদের কাছ থেকে আমমোক্তার নামা নিয়ে আদালতে মামলা করে। এরপর শামীমা আহমেদ লিলিও আরেকটি মামলা করেন। এদিকে আদালত মামলা চলমান অবস্থায় কেউ এ নালিশা ভুমিতে কোনরূপ কোন স্থাপনা নির্মাল বা দখলে যেতে পারবেনা বলে আদেশ দেন।
অপরদিকে গত ৫ আগষ্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতন ও দেশ ত্যাগের পর দেশে অস্থিরতা, নৈরাজ্য ও নাশকতার সুযোগে দূর্র্বৃত্তরা সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হামলা চালিয়ে অগ্নিকান্ড ও লুটপাটের পর থানা পুলিশের কার্যক্রম নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। এরপর থেকেই ওই নালিমা ভুমিটি নিজ দখলে নিয়ে মরিয়া হয়ে উঠে আজিম মোল্লা (বাপ্পি)। জমিতে স্থাপনা নির্মানের চেষ্টা চালান। এনিয়ে নাশকতা ও সংঘাতের আশংকার খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর ঘটনাস্থলে আসলে তাদের দেখে আজিম মোল্লা (বাপ্পি) ও তার লোকজন পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে শামীম আহমেদ লিলি জানান, গোদনাইল ভাঙ্গারপুলের পূর্বপাশের ৯ শতাংশ জমিটি ২০১০ সালে আমি ক্রয় করি। এ জমি দিয়ে দুই দফায় ব্যাংক থেকে ৮০ লাখ ও ১ কোটি টাকা ব্যাংক ঋনও নিয়েছি। এ জমির সীমানার পাশে জমির মালিক আজিম মোল্লা (বাপ্পি) বিভিন্ন সময়ে জমিটি দখল নিতে চেস্টা করলে আািম তাকে বিক্রির প্রস্তাব দিলে তিনি জমিটি নাম মাত্র পানির দরে নিতে চান।
আমি না দেয়ার এরপর নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে। জমির পূর্বের মালিকদের ওয়ারিশদের বের করে তাদের কাছ থেকে পাওয়ার নিয়ে মামলা মোকদ্দমা করেন। আমিও মামলা করি। মামলা চলমান ও দেশের ক্রান্তিকালের সুযোগে আজিম মোল্লা (বাপ্পি) জমিটি দখলের চেষ্টা চালায়।
এ ঘটনায় আমরা পুলিশের অনুপস্থিতিতে সেনাবাহিনীকে বিষয়টি অবগত করি। এরপরও তারা জমি দখলে নিতে দেয়াল নির্মানের চেস্টা চালায়। বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানালে সেনা সদস্যরা আসলে তারা পালিয়ে যায়।
এদিকে আজিম মোল্লা (বাপ্পি) জমি দখলের অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন জমিতে সিটি করপোরেশন ময়লা ফেলে রেখেছে। ওয়াল টোয়ালের কোনো বিষয় নেই। এ জমি নিয়ে মামলা চলছে বলতেই তিনি বলেন, আদালতের নিষ্পতিতে যা হয় তখন দেখা যাবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন