ঢাকা ০৩:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকারের ভূমিকা নিয়ে ১২ দলীয় জোটের উদ্বেগ:

রনি মজুমদার
রনি মজুমদার
  • আপলোড সময় : ০১:৫৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
  • / ২৩৩ বার পড়া হয়েছে

“স্বৈরাচারের দোসরদের নিয়ে চলছে জাতীয় ঐক্যের নামে প্রহসন”
দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সীমান্ত নিরাপত্তা, ভারতের পুশইন ও করিডোর চুক্তি বাস্তবায়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের নীরবতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ১২ দলীয় জোট। আজ রাজধানীতে জোটের এক জরুরি বৈঠকে এসব বিষয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ জানানো হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জোটপ্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার।
সভায় বক্তারা বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি স্বৈরাচারী ও জনগণবিচ্ছিন্ন সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব ন্যস্ত হয়েছিল। বিশ্ববরেণ্য অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আস্থা রেখে তারা মনে করেছিলেন, এই সরকার গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করবে। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে সরকার এখন পর্যন্ত এমন কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে বরং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্নকারী কার্যক্রমে লিপ্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন জোট নেতারা।
জোট নেতৃবৃন্দ বলেন, করিডোর ও বন্দর চুক্তির মতো সংবেদনশীল বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো স্বচ্ছ ব্যাখ্যা না থাকায় জাতীয় উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। ভারতীয় আধিপত্যবাদী চক্রান্ত, সীমান্ত হত্যা ও অব্যাহত পুশইন নিয়ে সরকারের নীরবতা জনগণের জন্য ভয়াবহ ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বৈঠকে বক্তারা অভিযোগ করেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর পরিবর্তে অতীতে স্বৈরাচারী শাসনের দোসরদের নিয়েই অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের নামে আলোচনায় বসছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও আপত্তিকর।
তারা বলেন, “আমরা এখনও ড. ইউনূসের প্রতি আস্থা রাখতে চাই, তবে আশা করি সরকার দেশের জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো গণবিরোধী পদক্ষেপ নেবে না।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন এলডিপি চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, লেবার পার্টি চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আব্দুর রকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির এম এ মান্নান, পিএনপি’র ফিরোজ মোঃ লিটনসহ জোটের অন্যান্য শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
সভা শেষে বার্তাপ্রেরক হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সরকারের ভূমিকা নিয়ে ১২ দলীয় জোটের উদ্বেগ:

আপলোড সময় : ০১:৫৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

“স্বৈরাচারের দোসরদের নিয়ে চলছে জাতীয় ঐক্যের নামে প্রহসন”
দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সীমান্ত নিরাপত্তা, ভারতের পুশইন ও করিডোর চুক্তি বাস্তবায়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের নীরবতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ১২ দলীয় জোট। আজ রাজধানীতে জোটের এক জরুরি বৈঠকে এসব বিষয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ জানানো হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জোটপ্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার।
সভায় বক্তারা বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি স্বৈরাচারী ও জনগণবিচ্ছিন্ন সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব ন্যস্ত হয়েছিল। বিশ্ববরেণ্য অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আস্থা রেখে তারা মনে করেছিলেন, এই সরকার গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করবে। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে সরকার এখন পর্যন্ত এমন কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে বরং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্নকারী কার্যক্রমে লিপ্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন জোট নেতারা।
জোট নেতৃবৃন্দ বলেন, করিডোর ও বন্দর চুক্তির মতো সংবেদনশীল বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো স্বচ্ছ ব্যাখ্যা না থাকায় জাতীয় উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। ভারতীয় আধিপত্যবাদী চক্রান্ত, সীমান্ত হত্যা ও অব্যাহত পুশইন নিয়ে সরকারের নীরবতা জনগণের জন্য ভয়াবহ ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বৈঠকে বক্তারা অভিযোগ করেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর পরিবর্তে অতীতে স্বৈরাচারী শাসনের দোসরদের নিয়েই অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের নামে আলোচনায় বসছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও আপত্তিকর।
তারা বলেন, “আমরা এখনও ড. ইউনূসের প্রতি আস্থা রাখতে চাই, তবে আশা করি সরকার দেশের জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো গণবিরোধী পদক্ষেপ নেবে না।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন এলডিপি চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, লেবার পার্টি চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আব্দুর রকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির এম এ মান্নান, পিএনপি’র ফিরোজ মোঃ লিটনসহ জোটের অন্যান্য শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
সভা শেষে বার্তাপ্রেরক হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন