ঢাকা ১০:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিদ্ধিরগঞ্জের মিতালি মার্কেট কমিটি গঠন নিয়ে উত্তেজনা সংঘর্ষের আশঙ্কা

মুহাম্মদ আলী (নিজস্ব প্রতিবেদক)
মুহাম্মদ আলী (নিজস্ব প্রতিবেদক)
  • আপলোড সময় : ০৫:৪২:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
  • / ২২৪ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পাইকারী মিতালি মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির (রেজি নং-১৬৯৮) কার্যকরী কমিটি গঠন নিয়ে দেখা দিয়েছে উত্তেজনা। নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের বাধ্যকতা থাকা সত্তেও জেলা শ্রম অধিদপ্তরের দুজন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে পকেট কমিটি করতে উঠেপড়ে লেগেছে বিতর্কিতরা। জুলাই আন্দোলনের ঘটনায় করা হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি আওয়ামী লীগ সমর্থিত জামান ও ফারুক তাদের মনগড়া কমিটি জমা দিয়ে অর্থের বিনিময়ে শ্রম অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন করিয়ে মার্কেট নিয়ন্ত্রণ করার অপচেষ্টা করছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসে উঠছেন সমতির সাড়ে প্রায় ৬ হাজার সদস্য। এ নিয়ে যে কোন সময় ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।

সমিতির সদস্য মঞ্জুরুল আলম বলেন, বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ৩১৭(৪)(ঘ) ধারার বিধান ও গত ২০১৪ সালে হাইকোর্টে করা ১ রীট পিটিশনের নির্দেশনা মোতাবেক রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়নের তত্ত্বাবধানে নির্বাচনের মাধ্যমে কার্যকরী কমিটি গঠনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সমিতির পক্ষ থেকে নির্বাচনের জন্য জেলা শ্রম অধিদপ্তরে একাদিক লিখিত আবেদন করা হলেও দপ্তর কোন উদ্যোগ নেয়নি। উল্টো মার্কেটের কোটি টাকা আত্মসাত ও অনিয়ম দুনর্ীতির দায়ে বিতারিত, আওয়ামী দোসর জুলাই আন্দোলনে ছাত্র হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী জামান ও কলার ফারুকগংদের হাতে মার্কেট তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছে শ্রম অধিদপ্তর।

সমিতির আরেক সদস্য বিল্লাল হোসেন বলেন, শ্রম অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইয়াসমিন আক্তার ও কেরানি আব্দুর রহিম মিয়ার মাধ্যমে ১৫ লাখ টাকা রফাদফা করে জামান ও ফারুকগংদের কমিটি অনুমোতন দেওয়ার নীল নকশা করেছেন। টাকার বিনিময়ে মিতালি মার্কেটের কমিটি অনুমোতন দিলে মেনে নেওয়া হবেনা।

সমিতির অন্য সদস্য বলছেন, নির্বাচন ব্যতিত কোন পকেট কজমিটি তারা মেনে নিবেন না। শ্রম অধিদপ্তর যদি টাকার বিনিময়ে কাউকে কমিটি দিয়ে দেয় তারা যেকোন মূল্যে তা প্রতিহত করবে। এতে মার্কেটে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে এমন আশঙ্কা করছেন অনেকই।

নারায়ণগঞ্জ শ্রম অধিদপ্তরে করনিক আব্দুর রহিম মিয়া এ বিষয়ে কথা বলতে অনিহা প্রকাশ করে উর্ধ্বতন কতর্ৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।

অর্থের বিনিময়ে কমিটি দেওয়ার সুযোগ নেই দাবি করে অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইয়াসমিন আক্তারে বলেন, অনুমোদনের জন্য একাধিক কমিটি জমা হয়েছে। শ্রম আইন ও শ্রম বিধিমালার বাইরে গিয়ে কোন কমিটি অনুমোদন হবে না।

অধিদপ্তরের পরিচালক অফিফা বেগমের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি ব্যস্থ আছেন বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সিদ্ধিরগঞ্জের মিতালি মার্কেট কমিটি গঠন নিয়ে উত্তেজনা সংঘর্ষের আশঙ্কা

আপলোড সময় : ০৫:৪২:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পাইকারী মিতালি মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির (রেজি নং-১৬৯৮) কার্যকরী কমিটি গঠন নিয়ে দেখা দিয়েছে উত্তেজনা। নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের বাধ্যকতা থাকা সত্তেও জেলা শ্রম অধিদপ্তরের দুজন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে পকেট কমিটি করতে উঠেপড়ে লেগেছে বিতর্কিতরা। জুলাই আন্দোলনের ঘটনায় করা হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি আওয়ামী লীগ সমর্থিত জামান ও ফারুক তাদের মনগড়া কমিটি জমা দিয়ে অর্থের বিনিময়ে শ্রম অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন করিয়ে মার্কেট নিয়ন্ত্রণ করার অপচেষ্টা করছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসে উঠছেন সমতির সাড়ে প্রায় ৬ হাজার সদস্য। এ নিয়ে যে কোন সময় ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।

সমিতির সদস্য মঞ্জুরুল আলম বলেন, বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ৩১৭(৪)(ঘ) ধারার বিধান ও গত ২০১৪ সালে হাইকোর্টে করা ১ রীট পিটিশনের নির্দেশনা মোতাবেক রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়নের তত্ত্বাবধানে নির্বাচনের মাধ্যমে কার্যকরী কমিটি গঠনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সমিতির পক্ষ থেকে নির্বাচনের জন্য জেলা শ্রম অধিদপ্তরে একাদিক লিখিত আবেদন করা হলেও দপ্তর কোন উদ্যোগ নেয়নি। উল্টো মার্কেটের কোটি টাকা আত্মসাত ও অনিয়ম দুনর্ীতির দায়ে বিতারিত, আওয়ামী দোসর জুলাই আন্দোলনে ছাত্র হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী জামান ও কলার ফারুকগংদের হাতে মার্কেট তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছে শ্রম অধিদপ্তর।

সমিতির আরেক সদস্য বিল্লাল হোসেন বলেন, শ্রম অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইয়াসমিন আক্তার ও কেরানি আব্দুর রহিম মিয়ার মাধ্যমে ১৫ লাখ টাকা রফাদফা করে জামান ও ফারুকগংদের কমিটি অনুমোতন দেওয়ার নীল নকশা করেছেন। টাকার বিনিময়ে মিতালি মার্কেটের কমিটি অনুমোতন দিলে মেনে নেওয়া হবেনা।

সমিতির অন্য সদস্য বলছেন, নির্বাচন ব্যতিত কোন পকেট কজমিটি তারা মেনে নিবেন না। শ্রম অধিদপ্তর যদি টাকার বিনিময়ে কাউকে কমিটি দিয়ে দেয় তারা যেকোন মূল্যে তা প্রতিহত করবে। এতে মার্কেটে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে এমন আশঙ্কা করছেন অনেকই।

নারায়ণগঞ্জ শ্রম অধিদপ্তরে করনিক আব্দুর রহিম মিয়া এ বিষয়ে কথা বলতে অনিহা প্রকাশ করে উর্ধ্বতন কতর্ৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।

অর্থের বিনিময়ে কমিটি দেওয়ার সুযোগ নেই দাবি করে অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইয়াসমিন আক্তারে বলেন, অনুমোদনের জন্য একাধিক কমিটি জমা হয়েছে। শ্রম আইন ও শ্রম বিধিমালার বাইরে গিয়ে কোন কমিটি অনুমোদন হবে না।

অধিদপ্তরের পরিচালক অফিফা বেগমের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি ব্যস্থ আছেন বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন