শহীদ ওসমান হাদী আমাদের অহংকার
- আপলোড সময় : ০৩:৪৬:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
- / ২১০ বার পড়া হয়েছে
– মুমিনুল ইসলাম আযহারি
………………
আমাদের দেশ বাংলাদেশ। এই দেশকে ভালোবাসেন এমন অনেক সাহসী ও মহান মানুষ যুগে যুগে জন্ম নিয়েছেন। তাঁরা নিজেদের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ত্যাগ করে দেশের জন্য কাজ করেছেন। এমনই একজন গর্বের নাম হলো শহীদ ওসমান হাদী। তিনি আমাদের জন্য একজন অনুকরণীয় আদর্শ এবং জাতির অহংকার।
ওসমান হাদী ছিলেন একজন সাধারণ মানুষ। কিন্তু তাঁর মন ছিল দেশপ্রেমে ভরা। তিনি ছোটবেলা থেকেই সৎ হতে ভালোবাসতেন এবং অন্যায়কে ঘৃণা করতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন- দেশকে ভালোবাসা মানে সত্য কথা বলা, ন্যায়ের পথে চলা এবং দুর্বল মানুষের পাশে দাঁড়ানো। তিনি সবসময় চাইতেন, বাংলাদেশ হবে একটি সুন্দর দেশ, যেখানে সবাই শান্তিতে থাকবে। তিনি বলতেন – জান দিবো, জুলাই দিবো না।
ওসমান হাদী অন্যায় দেখলে কখনো চুপ থাকতেন না। তিনি সাহসের সঙ্গে সত্যের পক্ষে কথা বলতেন। অনেক সময় সত্য কথা বলা কঠিন হয়ে যায়, ভয় লাগে। কিন্তু ওসমান হাদী ভয় পাননি। তিনি জানতেন, সত্যের পথ কঠিন হলেও সেটাই সঠিক পথ।
দেশের জন্য কাজ করতে গিয়ে একসময় তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেন। দেশের জন্য জীবন দেওয়াকে বলা হয় শাহাদাত। ওসমান হাদী শহীদ হয়েছেন বলেই আমরা তাঁকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। শহীদ হওয়া মানে হারিয়ে যাওয়া নয়; বরং মানুষের হৃদয়ে চিরদিন বেঁচে থাকা।
শহীদ ওসমান হাদী আমাদের শেখান, ভালো মানুষ হওয়া সবচেয়ে বড় কাজ। তিনি আমাদের বলেন, ভয় পেলে চলবে না, অন্যায়ের সামনে মাথা নত করা যাবে না। সত্য ও ন্যায়ের পথে থাকলে আল্লাহ সবসময় সাহায্য করেন। একজন মানুষ মারা গেলেও তাঁর ভালো কাজ ও আদর্শ কখনো মারা যায় না।
ওসমান হাদী শুধু একজন মানুষ ছিলেন না, তিনি ছিলেন একটি আদর্শ। তিনি আমাদের নতুন করে পথ দেখিয়েছেন, কীভাবে দেশকে ভালোবাসতে হয়, কীভাবে মানুষের উপকার করতে হয়, কীভাবে সাহসী হতে হয়। তাঁর জীবন থেকে আমরা সততা, দায়িত্ববোধ ও দেশপ্রেমের শিক্ষা পাই।
আমরা যখন নিয়ম মেনে চলবো, মিথ্যা বলবো না, সবাইকে সম্মান করবো, পড়াশোনায় মনোযোগী হবো এবং দেশকে ভালোবাসবো, তখনই শহীদ ওসমান হাদীর স্বপ্ন পূরণ হবে। ভালো নাগরিক হয়ে ওঠাই হলো তাঁর প্রতি আমাদের সবচেয়ে বড় সম্মান।
শহীদ ওসমান হাদী আমাদের অহংকার। তাঁর আত্মত্যাগ আমাদের হৃদয়ে চিরদিন জাগ্রত থাকবে। আমরা তাঁর আদর্শ অনুসরণ করে দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করবো—এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
২৪.১২.২০২৫






















