তুরস্কভিত্তিক রেসপা কেমিক্যালস – এর বিরুদ্ধে কোটি টাকার কেমিক্যাল কারসাজি ও রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ
- আপলোড সময় : ০৬:৪৪:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
- / ৬৫০ বার পড়া হয়েছে
তুরস্ক থেকে আমদানি করা ওয়াশিং কেমিক্যাল বাজারজাতকরণে ভয়াবহ অনিয়ম ও আইনি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে তুরস্কভিত্তিক প্রতিষ্ঠান রেসপা কেমিক্যালস-এর বিরুদ্ধে। বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে নামসর্বস্ব কোম্পানির আড়ালে এসব কেমিক্যাল আমদানি করে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস করে অবৈধভাবে মজুত এবং বাজারজাত করে আসছে ।
বিশ্বস্ত সূত্র ও প্রাপ্ত কাগজপত্র বিশ্লেষণে জানা গেছে, রেসপা কেমিক্যালস প্রায় তিন বছর ধরে দেশের বিভিন্ন টেক্সটাইল মিল ও ইপিজেডে ওয়াশিং কেমিক্যাল সরবরাহ করছে। এসব কেমিক্যাল মূলত আমদানি হয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে, তবে বাস্তবে তা যায় গাজীপুরের অজ্ঞাত গুদামে। এরপর এসব রাসায়নিক দ্রব্য ঘোষণাপত্র ও যথাযথ কাগজপত্র ছাড়াই সারা দেশে বিতরণ করা হয়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এ কেমিক্যাল কারসাজির সঙ্গে জড়িত তিনজন ব্যক্তির পরিচয় । তারা হলেন: (১) মো. উজ্জ্বল হোসেন (২) মো. তরিকুল ইসলাম (৩) মো. রেজা কামাল
এই তিন ব্যক্তি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য খালাস, গুদামজাতকরণ, পরিবহন ও বিক্রয়ের পুরো চেইনটি পরিচালনা করছেন। তারা প্রতিনিয়ত কেমিক্যাল আমদানি ও বাজারজাতকরণ সংক্রান্ত আইন ও বিধিমালার গুরুতর লঙ্ঘন করছেন বলে জানা গেছে।
সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী, যেকোনো রাসায়নিক পণ্যের আমদানি, সংরক্ষণ ও পরিবহনের জন্য প্রয়োজন নির্দিষ্ট লাইসেন্স, পরিবেশ ছাড়পত্র, ঘোষণা ও সঠিক শুল্ক প্রদান। কিন্তু রেসপা কেমিক্যালস এবং তাদের স্থানীয় অংশীদাররা এই নিয়মের তোয়াক্কা না করেই কেমিক্যাল সরবরাহ করে চলেছে।
এর ফলে সরকার প্রতি বছর কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এসব কেমিক্যাল অঘোষিত ও অন অনুমোদিত ভাবে দেশের বিভিন্ন শিল্পে ব্যবহৃত হওয়ায় জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপরও সম্ভাব্য ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।
এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর দ্বিতীয় সচিব (মূসক আইন ও বিধি) ব্যারিস্টার মো. বদরুজ্জামান মুন্সী বলেন, আমরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে পর্যবেক্ষণ করছি। যথাযথ তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি রোধ ও কেমিক্যাল আমদানিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।
ঘটনার বিষয়ে রেসপা কেমিক্যালসের বাংলাদেশে দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউকে না পাওয়ায় কোনো মন্তব্য জানা সম্মত হননি।