রাজধানীতে পার্টি ড্রাগ সিন্ডিকেটের মূলহোতাসহ ৫ সদস্য গ্রেপ্তার, রেকর্ড পরিমাণ এমডিএমএ উদ্ধার

- আপলোড সময় : ১২:৩২:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২৩৭ বার পড়া হয়েছে
রাজধানীতে পার্টি ড্রাগ সিন্ডিকেটের মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত এলাকা ও ডিজে পার্টিতে সরবরাহকারী আধুনিক পার্টি ড্রাগ সিন্ডিকেটের মূলহোতাসহ পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। এ সময় রেকর্ড পরিমাণ এমডিএমএ (এক্সটাসি/মলি/হ্যাপি) ট্যাবলেট, কুশ, গাঁজা, কিটামিন, নগদ টাকা ও প্রযুক্তি ডিভাইস জব্দ করা হয়েছে।
ডিএনসি সূত্রে জানা যায়, মহাপরিচালক মোঃ হাসান মারুফের নির্দেশনায় পরিচালিত এ অভিযানে ঢাকা মেট্রো উত্তর কার্যালয়ের উপপরিচালক শামীম আহম্মেদ ও মোঃ মেহেদী হাসানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে উত্তরা সার্কেলের এনফোর্সমেন্ট টিম মোহাম্মদপুর, সেগুনবাগিচা ও পল্টন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য
যুক্তরাজ্য থেকে আমদানিকৃত এমডিএমএ ট্যাবলেট (এক্সটাসি/মলি/হ্যাপি): ৩১৭ পিস (এ যাবতকালের সর্বোচ্চ উদ্ধার)
কুশ: ১ কেজি ৬৭৬ গ্রাম
গাঁজা: ২৫০ গ্রাম
কিটামিন: ৫০ মিলিলিটার (৫ বোতল)
নগদ টাকা: ৭ লাখ ১১ হাজার টাকা
মোবাইল ফোন ৬টি ও ল্যাপটপ ১টি
গ্রেফতারকৃতরা
অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতরা হলো—
১. মোঃ জুবায়ের (২৮) – প্রযুক্তি-দক্ষ, উচ্চবিত্ত পরিবারের যুবক।
২. জি এম প্রথিত সামস (২৫) – সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা।
৩. আসিফ মাহবুব চৌধুরী (২৭) – বাসা থেকে মাদকসহ গ্রেপ্তার।
৪. অপূর্ব রায় (২৫) – গাঁজাসহ আটক।
৫. সৈয়দ শাইয়ান আহমেদ (২৪) – মাদক চালানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত।
গ্রেফতারের কৌশল
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, যুক্তরাজ্য থেকে ডাকযোগে আসা একটি পার্সেলে মাদক লুকিয়ে আনা হবে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর বৈদেশিক ডাক শাখায় তল্লাশি চালিয়ে বিদেশি চকলেটের নীচে লুকানো ৩১৭ পিস এমডিএমএ ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পর্যায়ক্রমে আসামিদের গ্রেপ্তার করে ডিএনসি।
গ্রেপ্তারকৃতদের মোবাইল ফোনে দেখা যায়, তারা WhatsApp, Telegram ও অন্যান্য এনক্রিপ্টেড অ্যাপ ব্যবহার করে পার্টি ড্রাগের ব্যবসা পরিচালনা করত।
এমডিএমএ-এর ক্ষতিকর প্রভাব
এমডিএমএ বা এক্সটাসি একটি কৃত্রিম সাইকোঅ্যাকটিভ ড্রাগ, যা একই সাথে উত্তেজক ও ভ্রমসৃজনকারী প্রভাব সৃষ্টি করে। স্বল্পমেয়াদে এটি ইউফোরিয়া, আত্মবিশ্বাস ও তীব্র সংবেদনশীলতা বাড়ালেও দীর্ঘমেয়াদে হৃদরোগ, কিডনি ও লিভারের ক্ষতি, মানসিক ভারসাম্যহীনতা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস এবং অতিরিক্ত ডোজে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে।
ডিএনসি’র অবস্থান
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে— আন্তর্জাতিক চক্রের নতুন নতুন কৌশল প্রতিরোধে কুরিয়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার সাথে সমন্বয় করে নজরদারি ও অভিযান জোরদার করা হবে।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ অনুযায়ী মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত আরও ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে ডিএনসি।
👉 ডিএনসি’র এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।