ঢাকা ১১:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২১ দিনে ডেঙ্গুতে ২৫ মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপলোড সময় : ১২:২৯:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ জুন ২০২৩
  • / ৩১৫ বার পড়া হয়েছে

দেশে আবারও উদ্বেগজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। চলতি মাসের গত ২১ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা গত ৫ মাসের দ্বিগুণ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, জানুয়ারিতে ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩, এপ্রিলে ২ ও মে মাসে ২ জন। তবে মার্চ মাসে কেউ মারা যাননি। আর চলতি জুন মাসের ২১ দিনে ২৫ জন মারা গেছেন। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৫ হাজারের বেশি রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মারা গেছেন ৩৮ জন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় রোগী বেশি আসছে হাসপাতালগুলোতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব। মানুষের অসচেতনতা ও গৎবাঁধা কার্যক্রমের কারণেই এ সমস্যার কোনও সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না।
ডেঙ্গু নিয়ে সামনে আরেকটা বড় দুর্যোগ অপেক্ষা করছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, আগে এই রোগটিকে শহুরে রোগ বলা হলেও ২০২২ সালের পরিসংখ্যান বলছে রোগী বাড়ছে রাজধানী ঢাকার বাইরেও। শহর ছাড়িয়ে গ্রামেও। গেল বছর মোট ৬২ হাজার ৩৮২ ভর্তি রোগীর মধ্যে ঢাকার বাইরের রোগী ছিল ২৩ হাজার ১৬২ জন। এর বাইরে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিতে যা ছিল ১৫৩৫২ জন। এ বছরও ঢাকা শহর ও ঢাকার বাইরে ভর্তি রোগীর সংখ্যা প্রায় কাছাকাছি।
ডেঙ্গু বা এডিস মশা পরিষ্কার ও ময়লা দু’ধরণের পানিতে জন্মায়। কেবল দিনে নয়, এরা রাতেও কামড়াতে পারে। ডেঙ্গু জ্বর হলে আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও এমিরেটাস প্রফেসর ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেছেন, রক্তের প্লাটিলেট ১০ হাজারের নিচে কমে গেলে, শরীরে রক্ত দিতে হবে এমনটা নয়। বরং রক্তপাত হলেই রক্ত গ্রহণ করা যাবে। তবে সবকিছুই করতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শে। তাই লক্ষণ দেখা মাত্রই চিকিৎসক এবং হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ তার।
এবিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. শারফুদ্দিন অহমেদ বলেছেন, জ্বর হলেই রক্ত পরীক্ষা করাতে। একই সঙ্গে গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বর্তমানে ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে ২৯২ জন। চলতি বছরের এ পর্যন্ত ৫ হাজার ৯২৪ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪ হাজার ৫৮৬ জন।
অধিদফতরের তথ্য মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে আক্রান্ত ১৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৩ জন, মার্চে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১১১ জন এবং এপ্রিলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪৩ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। মে মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৩৬ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। জুন মাসে ৩ হাজার ৯০২ জন এবং মারা গেছেন ২৫ জন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

২১ দিনে ডেঙ্গুতে ২৫ মৃত্যু

আপলোড সময় : ১২:২৯:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ জুন ২০২৩

দেশে আবারও উদ্বেগজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। চলতি মাসের গত ২১ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা গত ৫ মাসের দ্বিগুণ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, জানুয়ারিতে ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩, এপ্রিলে ২ ও মে মাসে ২ জন। তবে মার্চ মাসে কেউ মারা যাননি। আর চলতি জুন মাসের ২১ দিনে ২৫ জন মারা গেছেন। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৫ হাজারের বেশি রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মারা গেছেন ৩৮ জন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় রোগী বেশি আসছে হাসপাতালগুলোতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব। মানুষের অসচেতনতা ও গৎবাঁধা কার্যক্রমের কারণেই এ সমস্যার কোনও সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না।
ডেঙ্গু নিয়ে সামনে আরেকটা বড় দুর্যোগ অপেক্ষা করছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, আগে এই রোগটিকে শহুরে রোগ বলা হলেও ২০২২ সালের পরিসংখ্যান বলছে রোগী বাড়ছে রাজধানী ঢাকার বাইরেও। শহর ছাড়িয়ে গ্রামেও। গেল বছর মোট ৬২ হাজার ৩৮২ ভর্তি রোগীর মধ্যে ঢাকার বাইরের রোগী ছিল ২৩ হাজার ১৬২ জন। এর বাইরে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিতে যা ছিল ১৫৩৫২ জন। এ বছরও ঢাকা শহর ও ঢাকার বাইরে ভর্তি রোগীর সংখ্যা প্রায় কাছাকাছি।
ডেঙ্গু বা এডিস মশা পরিষ্কার ও ময়লা দু’ধরণের পানিতে জন্মায়। কেবল দিনে নয়, এরা রাতেও কামড়াতে পারে। ডেঙ্গু জ্বর হলে আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও এমিরেটাস প্রফেসর ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেছেন, রক্তের প্লাটিলেট ১০ হাজারের নিচে কমে গেলে, শরীরে রক্ত দিতে হবে এমনটা নয়। বরং রক্তপাত হলেই রক্ত গ্রহণ করা যাবে। তবে সবকিছুই করতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শে। তাই লক্ষণ দেখা মাত্রই চিকিৎসক এবং হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ তার।
এবিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. শারফুদ্দিন অহমেদ বলেছেন, জ্বর হলেই রক্ত পরীক্ষা করাতে। একই সঙ্গে গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বর্তমানে ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে ২৯২ জন। চলতি বছরের এ পর্যন্ত ৫ হাজার ৯২৪ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪ হাজার ৫৮৬ জন।
অধিদফতরের তথ্য মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে আক্রান্ত ১৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৩ জন, মার্চে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১১১ জন এবং এপ্রিলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪৩ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। মে মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৩৬ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। জুন মাসে ৩ হাজার ৯০২ জন এবং মারা গেছেন ২৫ জন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন