ঢাকা ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতির নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি

মুহাম্মদ আলী (নিজস্ব প্রতিবেদক)
মুহাম্মদ আলী (নিজস্ব প্রতিবেদক)
  • আপলোড সময় : ০৩:২৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ২৩৮১ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে নাসিক ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয়ে হামলার ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারীরা শহীদ জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া ও গিয়াসউদ্দিনের ছবি ভাংচুর করেছে বলে নেতা কর্মীরা জানান।
রবিবার রাতে আদমজী কদমতলী এলাকার ৭ নং ওয়ার্ড কার্যালয় বিএনপি অফিস সংলগ্ন কদমতলী পুলে ফুটপাতে দোকান বসিয়ে দৈনিক টাকা উঠানোকে কেন্দ্র করে কথিত বিএনপির নেতা দাবি করা শামিম ঢালি ও এলাকার স্থানীয় সাধারন ছাত্রদের মধ্যে বিভক্ত হয়ে এ হামলার ঘটনাটি ঘটনায়। হামলায় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। তাৎক্ষনিক আহতদের নাম জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপি নেতাকর্মীদের একাধিক সূত্র জানায়, গত কয়েকদিন ধরে সাত নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির ৭১ নাম্বার সদস্য শামীম আহমেদ ঢালির কদমতলী পুল এলাকায় আওয়ামী লীগের লোকজনকে নেপথ্যে নিয়ে সরকারি জায়গা প্রায় ২২ থেকে ২৫ টি দোকান বসিয়ে, প্রতিদিন দোকান থেবে দু থেকে তিনশ টাকা করে চাঁদা আদায় করে আসছে।

বিষয়টি নিয়ে দলের মধ্যে আন্তঃকোন্দল দেখা দিলে চারিদিকে আলোচনা ও সমালোচনার শুরু হয়। এর মধ্যে ছাত্র পরিচয়ে ৫/৭ জন যুবক চাঁদা আদায়ের বিষয়টি জানতে চায়। এ খবর পেয়ে শামীম ঢালি লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে ছাত্র পরিচয়ে ওই যুবকদের ধাওয়া দেয়। এতে ওই যুবকদের সাথে আরো কিছু লোকজন একত্রিত হয়ে শামীম ঢালি, হোটেল বাবু, আকাশ, নিলয়,হাসান বাবু, সোহেল, সালাউদ্দিন, সোর্স বাবু, ও রাহাদ ও তার লোকজনদেও উল্টো ধাওয়া দিলে শামিম ঢালি লোকজন বিএনপি কার্যালয়ে ঢুকে অফিস ভাংচুর করে।

এদিকে এ সংবাদ পেয়ে মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর, সাত নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক জামান মির্জা, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আমির হোসেন ও ছাত্রজনতা শামিম ঢালিসহ তার লোকজনকে ধাওয়া দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ করে।
নাম না প্রকাশের শর্তে ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী বলছেন, শামীম আহমেদ ঢালি কিছু আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে এককভাবে দৈনিক এ টাকা আদায় করছে। যার ফলে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভেদ ও আন্তঃকোন্দলের সৃষ্টি হয়। যার বহিঃ প্রকাশই এ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাইলে মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর জানায়, আমাদের বিএনপির কোন লোক হামলা করে নাই। আমরা এলাকায় মাদক, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজী, ইভটিজিংসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড প্রতিরোধে ছাত্র-জনতাকে নিয়ে কাজ করছি। দলের ভিতরে ঘাপটি মেরে থাকা কিছু অসাধু নেতাকর্মীরা নিজের সুবিধা আদায় করতে ব্যর্থ হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।
এ বিষয়ে জানতে শামীম ঢালির মোবাইলে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতির নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি

আপলোড সময় : ০৩:২৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে নাসিক ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয়ে হামলার ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারীরা শহীদ জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া ও গিয়াসউদ্দিনের ছবি ভাংচুর করেছে বলে নেতা কর্মীরা জানান।
রবিবার রাতে আদমজী কদমতলী এলাকার ৭ নং ওয়ার্ড কার্যালয় বিএনপি অফিস সংলগ্ন কদমতলী পুলে ফুটপাতে দোকান বসিয়ে দৈনিক টাকা উঠানোকে কেন্দ্র করে কথিত বিএনপির নেতা দাবি করা শামিম ঢালি ও এলাকার স্থানীয় সাধারন ছাত্রদের মধ্যে বিভক্ত হয়ে এ হামলার ঘটনাটি ঘটনায়। হামলায় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। তাৎক্ষনিক আহতদের নাম জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপি নেতাকর্মীদের একাধিক সূত্র জানায়, গত কয়েকদিন ধরে সাত নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির ৭১ নাম্বার সদস্য শামীম আহমেদ ঢালির কদমতলী পুল এলাকায় আওয়ামী লীগের লোকজনকে নেপথ্যে নিয়ে সরকারি জায়গা প্রায় ২২ থেকে ২৫ টি দোকান বসিয়ে, প্রতিদিন দোকান থেবে দু থেকে তিনশ টাকা করে চাঁদা আদায় করে আসছে।

বিষয়টি নিয়ে দলের মধ্যে আন্তঃকোন্দল দেখা দিলে চারিদিকে আলোচনা ও সমালোচনার শুরু হয়। এর মধ্যে ছাত্র পরিচয়ে ৫/৭ জন যুবক চাঁদা আদায়ের বিষয়টি জানতে চায়। এ খবর পেয়ে শামীম ঢালি লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে ছাত্র পরিচয়ে ওই যুবকদের ধাওয়া দেয়। এতে ওই যুবকদের সাথে আরো কিছু লোকজন একত্রিত হয়ে শামীম ঢালি, হোটেল বাবু, আকাশ, নিলয়,হাসান বাবু, সোহেল, সালাউদ্দিন, সোর্স বাবু, ও রাহাদ ও তার লোকজনদেও উল্টো ধাওয়া দিলে শামিম ঢালি লোকজন বিএনপি কার্যালয়ে ঢুকে অফিস ভাংচুর করে।

এদিকে এ সংবাদ পেয়ে মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর, সাত নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক জামান মির্জা, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আমির হোসেন ও ছাত্রজনতা শামিম ঢালিসহ তার লোকজনকে ধাওয়া দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ করে।
নাম না প্রকাশের শর্তে ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী বলছেন, শামীম আহমেদ ঢালি কিছু আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে এককভাবে দৈনিক এ টাকা আদায় করছে। যার ফলে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভেদ ও আন্তঃকোন্দলের সৃষ্টি হয়। যার বহিঃ প্রকাশই এ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাইলে মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর জানায়, আমাদের বিএনপির কোন লোক হামলা করে নাই। আমরা এলাকায় মাদক, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজী, ইভটিজিংসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড প্রতিরোধে ছাত্র-জনতাকে নিয়ে কাজ করছি। দলের ভিতরে ঘাপটি মেরে থাকা কিছু অসাধু নেতাকর্মীরা নিজের সুবিধা আদায় করতে ব্যর্থ হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।
এ বিষয়ে জানতে শামীম ঢালির মোবাইলে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন