ঢাকা ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিদ্ধিরগঞ্জে মহাসড়কে সক্রিয় ছিনতাইকারী চক্র

মো: সাদ্দাম হোসেন মুন্না খান (নিজস্ব প্রতিবেদক)
মো: সাদ্দাম হোসেন মুন্না খান (নিজস্ব প্রতিবেদক)
  • আপলোড সময় : ০৩:২১:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুন ২০২৩
  • / ৯৭৮ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জ থেকে, সিদ্ধিরগঞ্জ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বেড়ে গেছে ছিনতাইকারিদের উপদ্রুপ পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ছিনতাইকারী চক্র। সব চেয়ে বেশি ছিনতাইর ঘটনা ঘটছে কাঁচপুর সেতুর নিচে রাত হলেই এখান থেকে যাত্রীবাহী বাসের চালক হেলপারকে মারধর করে টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিচ্ছে ছিনতাইকারিরা। ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া নীলাচল পরিবহনের চালক মো: শিপন মিয়া বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ উঠেছে, দীর্ঘদিন ধরেই সঙ্গবদ্ধ একটি চক্র ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় থেকে কাঁচপুর সেতু পর্যন্ত এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ছিনতাই করে আসছে। চক্রটি বাস চালক ও হেলপারদের মারধর করে টাকা ও মোবাইল ছিনতাই করে নিচ্ছে, বিশেষ করে রাতে কাঁচপুর সেতুর নিচে ছিনতাইর ঘটনা ঘটে সবচেয়ে বেশি।
জানা গেছে, নরসিংদী জেলার মনোহরদী থানার চুলাবাজার গ্রামের মো: জালাল উদ্দিনের ছেলে মো: শিপন মিয়া সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি মৌচাক চিশতিয়া বেকারী এলাকায় মাহাবুবুর রহমানের বাড়ীতে ভাড়া থেকে নীলাচল পরিবহনের (ব-১৪-৮৭২৬ নং) বাস চালাচ্ছেন। বাসটির হেলপার হিসেবে কাজ করছেন বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানার পাগলা শ্যামনগর এলাকার জাহাঙ্গীর শেখের ছেলে পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকার কামালের বাড়ীর ভাড়াটিয়া রনি শেখ। গত ১২ জুন রাত সাড়ে ১০ টার দিকে বাসটি মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া এলাকা হতে যাত্রী নিয়ে চিটাগাংরোড পৌঁছে যাত্রীদের নামিয়ে কাঁচপুর সেতুর নিচ দিয়ে ঘুরে ডাচ্ বাংলা ব্যাংক সংলগ্ন স্ট্যান্ডে আসছিল।

এসময় দুইটি মোটরসাইকেল দিয়ে অজ্ঞাত ৬ জন ছিনতাইকারি কাঁচপুর সেতুর পশ্চিম ঢালে বাসটির গতিরোধ করে দেশীয় অস্ত্রের মূখে জিম্মি ও মারধর করে সারাদিনের আয় ছিনিয়ে নেয়। এঘটনায় বাস চালক শিপন মিয়া বাদী হয়ে ১৩ জুন সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগটির তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়েছেন উপপরিদর্শক মঞ্জুরুল ইসলাম। ঘটনার ১২ দিন গত হলেও পুলিশ ছিনতাইকারিদের সনাক্ত করতে পারেনি।
পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ, মহাসড়কে প্রতিনিয়তই রাতে ছিনতাইর ঘটনা ঘটছে। ছিনতাইকারিদের প্রধান টার্গেট বাসের ক্যাশ এতে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে ছিনতাইর শিকার চালক হেলপারদের। কারণ অনেক গাড়ি মালিকরা ছিনতাইর ঘটনা বিশ্বাস করতে চায়না, ফলে চালক ও হেলপার নিজের পকেট থেকে গাড়ি মালিকদের জমা দিতে হচ্ছে।

জানতে চাইলে হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল ক্যাম্পের টি আই (প্রশাসন) একে এম শরফুদ্দিন বলেন, মহাসড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সর্বদায় তৎপর রয়েছে। ছিনতাই পরিরোধে প্রয়োজনীয় সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ছিনতাইকারিদের সনাক্ত ও আটকের চেষ্টা চলছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সিদ্ধিরগঞ্জে মহাসড়কে সক্রিয় ছিনতাইকারী চক্র

আপলোড সময় : ০৩:২১:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুন ২০২৩

নারায়ণগঞ্জ থেকে, সিদ্ধিরগঞ্জ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বেড়ে গেছে ছিনতাইকারিদের উপদ্রুপ পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ছিনতাইকারী চক্র। সব চেয়ে বেশি ছিনতাইর ঘটনা ঘটছে কাঁচপুর সেতুর নিচে রাত হলেই এখান থেকে যাত্রীবাহী বাসের চালক হেলপারকে মারধর করে টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিচ্ছে ছিনতাইকারিরা। ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া নীলাচল পরিবহনের চালক মো: শিপন মিয়া বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ উঠেছে, দীর্ঘদিন ধরেই সঙ্গবদ্ধ একটি চক্র ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় থেকে কাঁচপুর সেতু পর্যন্ত এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ছিনতাই করে আসছে। চক্রটি বাস চালক ও হেলপারদের মারধর করে টাকা ও মোবাইল ছিনতাই করে নিচ্ছে, বিশেষ করে রাতে কাঁচপুর সেতুর নিচে ছিনতাইর ঘটনা ঘটে সবচেয়ে বেশি।
জানা গেছে, নরসিংদী জেলার মনোহরদী থানার চুলাবাজার গ্রামের মো: জালাল উদ্দিনের ছেলে মো: শিপন মিয়া সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি মৌচাক চিশতিয়া বেকারী এলাকায় মাহাবুবুর রহমানের বাড়ীতে ভাড়া থেকে নীলাচল পরিবহনের (ব-১৪-৮৭২৬ নং) বাস চালাচ্ছেন। বাসটির হেলপার হিসেবে কাজ করছেন বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানার পাগলা শ্যামনগর এলাকার জাহাঙ্গীর শেখের ছেলে পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকার কামালের বাড়ীর ভাড়াটিয়া রনি শেখ। গত ১২ জুন রাত সাড়ে ১০ টার দিকে বাসটি মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া এলাকা হতে যাত্রী নিয়ে চিটাগাংরোড পৌঁছে যাত্রীদের নামিয়ে কাঁচপুর সেতুর নিচ দিয়ে ঘুরে ডাচ্ বাংলা ব্যাংক সংলগ্ন স্ট্যান্ডে আসছিল।

এসময় দুইটি মোটরসাইকেল দিয়ে অজ্ঞাত ৬ জন ছিনতাইকারি কাঁচপুর সেতুর পশ্চিম ঢালে বাসটির গতিরোধ করে দেশীয় অস্ত্রের মূখে জিম্মি ও মারধর করে সারাদিনের আয় ছিনিয়ে নেয়। এঘটনায় বাস চালক শিপন মিয়া বাদী হয়ে ১৩ জুন সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগটির তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়েছেন উপপরিদর্শক মঞ্জুরুল ইসলাম। ঘটনার ১২ দিন গত হলেও পুলিশ ছিনতাইকারিদের সনাক্ত করতে পারেনি।
পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ, মহাসড়কে প্রতিনিয়তই রাতে ছিনতাইর ঘটনা ঘটছে। ছিনতাইকারিদের প্রধান টার্গেট বাসের ক্যাশ এতে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে ছিনতাইর শিকার চালক হেলপারদের। কারণ অনেক গাড়ি মালিকরা ছিনতাইর ঘটনা বিশ্বাস করতে চায়না, ফলে চালক ও হেলপার নিজের পকেট থেকে গাড়ি মালিকদের জমা দিতে হচ্ছে।

জানতে চাইলে হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল ক্যাম্পের টি আই (প্রশাসন) একে এম শরফুদ্দিন বলেন, মহাসড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সর্বদায় তৎপর রয়েছে। ছিনতাই পরিরোধে প্রয়োজনীয় সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ছিনতাইকারিদের সনাক্ত ও আটকের চেষ্টা চলছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন