বিএনপি নেতার চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ নগরবাসী
- আপলোড সময় : ১২:২২:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪
- / ৩১৩ বার পড়া হয়েছে
এম এইচ সোহাগ খান : গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে মোঃ জাকির হোসেন জিকু ও আহসান উল্ল্যাহ্ বক্স শিমুর চাঁদাবাজি দখল বাজী মাছের গের দখল দোকান দখল, জমি দখল গাড়ী লুট এবং কি ফুটপাত দখল।
যাত্রাবাড়ী থানাধীন কেনাপাড়া, ধার্মীকেপাড়া বাঁশেরপুল, হযরত শাহজালাল রোড়, কোনাপাড়া বাজার আল আমিন রোড় এলাকায় সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ জাকির হোসেন জিকু গং দের অত্যচারে অতিষ্ঠ সাধারণ জনগণ। একাদিক ভুক্তভোগীর সাথে আলাপ করে জানা যায় কোনাপাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা হাজী আবু তাহের জনান আমার ছেলে কাছে জিকু গং ২০ লক্ষ টাকার চাঁদার দাবী করে আমি চাঁদা দিতে না চাইলে আমাকে ও আমার ছেলে কে মারধর কারে জেলে প্রেরন করে। পরবর্তীতে ১৬ লক্ষ টাকায় রফাদফা হওয়ার পর আমি জেল থেকে মুক্তি লাভ। এখন ও আমি নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।
আরেক ভুক্তভোগী তারেক এর সাথে কথা বলার পর জানা যায় জিকু গং শিমু বক্স ৫ আগষ্ট আমার ৬ টি বড় ট্রাক ও দোকান লুট করে নিয়ে যায় যার বাজার প্রায় ৩ কোটি টাকা। এবং আমাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়।বাঁশেরপুল ডেমরা এলাকায় গিয়ে জানা যায় জিকু গং সন্ত্রাসী শুভ হাসান বাবু পদবী সহ সভাপতি ৬৪ নং ওয়ার্ড (পূর্ব) বিএনপি ও সরোয়ার হোসেন পলাশ এর নেতৃত্বে চলছে মাছের গের দখল ও জমিব্ দখল। বাশেরপুল এলাকার একজন ভুক্তভোগী রাসেল জানান গত ৫/৬ আগষ্ট আমার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ও আমার মাছের গের লুট করে নিয়ে যায়। আমি ডেমরা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে অবগত করি এবং সাধারণ ডায়রি করি। এইছাড়া ও ধার্মীকপাড়া এলাকায় জিকু গং সাবেক কমিশনার বাবুল মোল্লার জায়গা দখল, মাটি বিক্রি জমি দখল করে দিয়েছে।
এই ছাড়া ও ফুটপাতে অস্থায়ী দোকান থেকে দৈনিক ১০০ টাকা চাঁদা তুলেন জাকির হোসেন জিকু গং ও তার সন্ত্রাসী বাহিবী এদিকে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় জাকির হোসেন জিকু ও গত ১৫ বছর আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি সজল মোল্লার ও সাবেক কমিশনার মোল্লার ঘনিষ্ঠ। গত ১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগ মুহুর্তে থানায় লবন সই দিয়ে বিএনপির রাজনীতি থেকে সরে আসেন। কিন্তু ৫ আগষ্ট এর পর চাঁদাবাজী করতে বিএনপির সাইনবোর্ড লাগিয়েছেন।
জাকির হোসেন জিকু, আহসান উল্ল্যাহ্ বক্স শিমু, শুভ হাসান বাবু, বাহা উদ্দিন মাতবর, সরোয়ার হোসেন পলাশ, তোফাজ্জল হোসেন রিপন, এলাহীন, নূরুল আমিন পায়েল, সাইফুল ইসলাম জনি শিমুল আবদুর জাব্বার, জুয়েল সেহেল রানা, মাসুম খান এদের কাছে জিম্মি প্রায় ২ লক্ষ জনগন। সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর ব্যাক্তিগত সহযোগী কনক কে বাসায় গিয়ে ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদার দাবী করে ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে জীবন রক্ষা করেন এই বিষয় জনাব কনক যাত্রাবাড়ী থানায় ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জনাব মির্জা আব্বাস কে অবহিত করেন। এবং যাত্রাবাড়ী থানা একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এইছাড়া ও এখন এই এলাকার অতর্কের নাম জিকু গং সন্ত্রাসী।এখন ই ওদের কে আইনের আওতায় আনা না হলে সাধারণ জনগণ বিএনপির ও রাজনীতিবৃদ দের উপর আস্তা হারাবে। এই বিষয় জিকুর সাথে কথা বলে জানা যায় জিকু নিজকে এরিয়ে গিয়ে মোবাইল ফোন বদ্ধ করে রাখেন। গত ৫ আগষ্ট এর পর ছাত্র জনতার আন্দোলন যাত্রাবাড়ী থানা ও কোনাপাড়া পুলিুশ ফাঁড়ির বেশ কিছু অস্ত্র ও গুলি রয়েছে জিকু গং সন্ত্রাসী দের হাতে। এতে এলাকা বাসী আতঙ্কিত। অবিলম্বে জাকির হোসেন জিকু গং দের আইনের আওতায় আনা জরুরী বলে মনে করেন এলাকাবাসী। ইতিমধ্যে এই চাঁদাবাজ এর নাম বিভিন্ন সংস্থার হাতে এসে পৌছেছে।এই চাঁদাবাজ মাদক ব্যবসায়ী জাকির হোসেন জিকু গং দের কে আইনের আওতায় আনার হোক এবং সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।এদিকে আরেক ভুক্তভোগী আমেরিকান প্রবাসী লতিফুর রহমান কচি বলেন মার্কেট দখল করে রেখেছে জাকির হোসেন জিকু গং ও শুভ হাসান বাবু তার সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান বাবু আমার মার্কেট দখল করেছে এনং আমার বোন ভাগিনা কে হত্যার হুমকি দিয়েছে।