ঢাকা ০৮:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সোনারগাঁয়ে বিএনপি নেতা সেলিমের শেল্টারে চুরি!, সংঘর্ষের আশংকা

মুহাম্মদ আলী (নিজস্ব প্রতিবেদক)
মুহাম্মদ আলী (নিজস্ব প্রতিবেদক)
  • আপলোড সময় : ১০:৫৭:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
  • / ২১৬ বার পড়া হয়েছে

সোনারগাঁয়ে এভারগ্রীন প্রি-কেডেট স্কুলে চুরিকে কেন্দ্র করে দুথগ্রুপের মধ্যে যে কোন সময় সংঘর্ষের আশস্কা করছে তৃনমূল বিএনপি স্থানীয়রা। তাদের মতে নেপত্যে সোনারগাঁ থানা বিএনপির প্রচার সম্পাদক সেলিম হোসেন দিপু। গত ১৪ জুন সকাল ১১ টায় স্কুলে চুরির ঘটনায় বিচার চলাকালিন সময়ে চোর বিএনপি নেতার সেল্টারে চুরি করে বলে জানায়। এটাকে কেন্দ্র করে সোনারগাঁ থানার মছলন্দপুর ও মান্দারপারা এলাকায় রয়েছে সংঘর্ষের আশস্কা।
জানা যায়, ঈদুল আজহার ছুটি চলাকালিন সময় এভারগ্রীন প্রি-কেডেট স্কুলে চুরি হয়। এ সময় স্কুল থেকে ৯টি ফ্যান, ১টি টেবিল ও ১টি মটর চুরি করে নিয়ে যায়। পরে গত ১৪ জুন চোরকে আটক করা হয়। চোরের কথা মত আড়াইহাজা থানার জাঙ্গালীয়া বাজার থেকে চোরাই মালামাল উদ্ধার করা হয়। ঐ দিন এলাকাবাসী সকাল ১১ টায় স্কুলে চোরকে নিয়ে বিচারে বসে।
এ সময় বিচারে উপস্থিত ছিলেন, সোনারগাঁ থানা বিএনপির প্রচার সম্পাদক সেলিম হোসেন দিপুর পিতা সাবেক মেম্বার আব্দুল করিম ও বর্তমান মেম্বার ফারুক হোসেনসহ এলাকার কয়েকশত লোকজন। বিচারে চোরকে পুলিশে দিতে চাইলে সাবেক মেম্বার আব্দুল করিম তাকে পুলিশে না দিয়ে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেয়। একই দিন রাতে সেলিমের লোকজন চোরকে আবার ধরে এনে মারধর করে বলে সেলিমের নাম বাদ দিয়ে মান্দারপারা এলাকার কয়েকজনের নাম বলতে বলে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বারদী ইউনিয়ন এলাকায় বিএনপির প্রভাব দেখিয়ে মারামারি, জমিদখল, মাদক ব্যবসায়ীদের কে শেল্টার দেয়াসহ বিভিন্ন অপমকর্ম করে আসছে সেলিম। বারদী ইউনিয়ন এলাকায় কোন ঘটনায় সোনারগঁা থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ সেলিমের কথা ছাড়া কোন অভিযোগ বা মামলা নেয় না।
পুলিশ অভিযোগ কারিকে বলে সেলিমের সাথে কথা বলতে। সেলিম যদি বলে তাহলে থানায় অভিযোগ বা মামলা নেয় হবে। এক কথায় বারদী ইউনিয়নে সেলিম এখন এক আতংকের নাম। সে নিজেকে জেলা বিএনপি নেতা আজহারুল ইসলামে মান্নানের পিএস পরিচয় দিয়ে আসছে। সেলিম হোসেন দিপু লোকজন কোন অন্যায় করলে তার বিচার করা যাবে না। কেহ বিচার করলে সেলিম তাকে পুলিশসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করে।
গত কয়েক দিন আগে সেলিম সংবাদ মাধ্যমকে বলে মান্দারপারা এলাকায় কিছু লোক ডাক্তার মো. রফিকুল ইসলাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। পরে ডাক্তারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমাকে কেহ কোন হুমকি দেয় না। সেলিম কি কারনে বলেছে আমি তা জানি না। এ ভাবে সেলিম পুরো ইউনিয়নে ঝামেলা করে বেড়ায়। আবার সেলিমের কাছে গেলে সেলিম তা ঠিক করে দেয়।
এক কথায় সেলিমের বিরুদ্ধে কেহ কোন কথা বলতে পারবে না। সেলিম বারদী ইউনিয়ন এলাকায় একবার নির্বাচন করেছে সে সময় সেলিম মাত্র ৩ শ ভোট পায়। সে থেকে তাকে এলাকাাসী ফেলটু সেলিম বলে ডাকা শুরু করে।
এ ঘটনার রেশ ধরে বারদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মরহুম আব্দুর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকী অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নানের উপস্থিতিতে সেলিম হোসেন দিপু মান্দাপাড়া বিএনপির এক নেতার সাথে হাতা হাতি হয়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সোনারগাঁয়ে বিএনপি নেতা সেলিমের শেল্টারে চুরি!, সংঘর্ষের আশংকা

আপলোড সময় : ১০:৫৭:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

সোনারগাঁয়ে এভারগ্রীন প্রি-কেডেট স্কুলে চুরিকে কেন্দ্র করে দুথগ্রুপের মধ্যে যে কোন সময় সংঘর্ষের আশস্কা করছে তৃনমূল বিএনপি স্থানীয়রা। তাদের মতে নেপত্যে সোনারগাঁ থানা বিএনপির প্রচার সম্পাদক সেলিম হোসেন দিপু। গত ১৪ জুন সকাল ১১ টায় স্কুলে চুরির ঘটনায় বিচার চলাকালিন সময়ে চোর বিএনপি নেতার সেল্টারে চুরি করে বলে জানায়। এটাকে কেন্দ্র করে সোনারগাঁ থানার মছলন্দপুর ও মান্দারপারা এলাকায় রয়েছে সংঘর্ষের আশস্কা।
জানা যায়, ঈদুল আজহার ছুটি চলাকালিন সময় এভারগ্রীন প্রি-কেডেট স্কুলে চুরি হয়। এ সময় স্কুল থেকে ৯টি ফ্যান, ১টি টেবিল ও ১টি মটর চুরি করে নিয়ে যায়। পরে গত ১৪ জুন চোরকে আটক করা হয়। চোরের কথা মত আড়াইহাজা থানার জাঙ্গালীয়া বাজার থেকে চোরাই মালামাল উদ্ধার করা হয়। ঐ দিন এলাকাবাসী সকাল ১১ টায় স্কুলে চোরকে নিয়ে বিচারে বসে।
এ সময় বিচারে উপস্থিত ছিলেন, সোনারগাঁ থানা বিএনপির প্রচার সম্পাদক সেলিম হোসেন দিপুর পিতা সাবেক মেম্বার আব্দুল করিম ও বর্তমান মেম্বার ফারুক হোসেনসহ এলাকার কয়েকশত লোকজন। বিচারে চোরকে পুলিশে দিতে চাইলে সাবেক মেম্বার আব্দুল করিম তাকে পুলিশে না দিয়ে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেয়। একই দিন রাতে সেলিমের লোকজন চোরকে আবার ধরে এনে মারধর করে বলে সেলিমের নাম বাদ দিয়ে মান্দারপারা এলাকার কয়েকজনের নাম বলতে বলে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বারদী ইউনিয়ন এলাকায় বিএনপির প্রভাব দেখিয়ে মারামারি, জমিদখল, মাদক ব্যবসায়ীদের কে শেল্টার দেয়াসহ বিভিন্ন অপমকর্ম করে আসছে সেলিম। বারদী ইউনিয়ন এলাকায় কোন ঘটনায় সোনারগঁা থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ সেলিমের কথা ছাড়া কোন অভিযোগ বা মামলা নেয় না।
পুলিশ অভিযোগ কারিকে বলে সেলিমের সাথে কথা বলতে। সেলিম যদি বলে তাহলে থানায় অভিযোগ বা মামলা নেয় হবে। এক কথায় বারদী ইউনিয়নে সেলিম এখন এক আতংকের নাম। সে নিজেকে জেলা বিএনপি নেতা আজহারুল ইসলামে মান্নানের পিএস পরিচয় দিয়ে আসছে। সেলিম হোসেন দিপু লোকজন কোন অন্যায় করলে তার বিচার করা যাবে না। কেহ বিচার করলে সেলিম তাকে পুলিশসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করে।
গত কয়েক দিন আগে সেলিম সংবাদ মাধ্যমকে বলে মান্দারপারা এলাকায় কিছু লোক ডাক্তার মো. রফিকুল ইসলাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। পরে ডাক্তারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমাকে কেহ কোন হুমকি দেয় না। সেলিম কি কারনে বলেছে আমি তা জানি না। এ ভাবে সেলিম পুরো ইউনিয়নে ঝামেলা করে বেড়ায়। আবার সেলিমের কাছে গেলে সেলিম তা ঠিক করে দেয়।
এক কথায় সেলিমের বিরুদ্ধে কেহ কোন কথা বলতে পারবে না। সেলিম বারদী ইউনিয়ন এলাকায় একবার নির্বাচন করেছে সে সময় সেলিম মাত্র ৩ শ ভোট পায়। সে থেকে তাকে এলাকাাসী ফেলটু সেলিম বলে ডাকা শুরু করে।
এ ঘটনার রেশ ধরে বারদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মরহুম আব্দুর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকী অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নানের উপস্থিতিতে সেলিম হোসেন দিপু মান্দাপাড়া বিএনপির এক নেতার সাথে হাতা হাতি হয়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন