ঢাকা ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কবিরাজি চিকিৎসা নিতে গিয়ে নিখোঁজের ৬ মাসেও সন্ধান মিলছে না ডেমরার রুবিনার

মোঃ সালে আহমেদ (নিজস্ব প্রতিবেদক)
মোঃ সালে আহমেদ (নিজস্ব প্রতিবেদক)
  • আপলোড সময় : ০৭:১০:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫
  • / ২৮০ বার পড়া হয়েছে

নিখোঁজের দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও সন্ধান মিলছে না ডেমরার তরুণী মোছা. রুবিনার (২৪)। কবিরাজি চিকিৎসা নিতে গিয়ে গত ৭ মার্চ রাতে রাজধানীর উত্তর বাড্ডা’র আব্দুল্লাহবাগের রোজাউল করিম নামের কবিরাজের বাসা থেকে নিখোঁজ হয় অসুস্থ মেয়েটি। কবিরাজের নির্দেশ অনুযায়ী বাইরে দাঁড় করিয়ে ভেতর থেকে সিরিয়াল দিয়ে ওষুধ আনতে গেলে মেয়েটিকে সেখানে খুঁজে পাইনি তার মা। এ বিষয়ে কবিরাজের সিসি ক্যামেরা চেক করার কথা বললে তা নিষ্ট বলে জানানো হয় অনেক মানুষের সমাগম ওই কবিরাজ বাড়ী থেকে। এদিকে নিখোঁজের পরদিন গত ৮ মার্চ বাড্ডা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হলেও এ বিষয়ে কোন আইনি সহায়তা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ রুবিনার মায়ের। এ ঘটনায় কবিরাজের ভূমিকাও এখন পর্যন্ত রহস্যজনক। রুবিনা ডেমরার সারুলিয়ায় দীর্ঘদিন যাবৎ তার পিতা-মাতার সাথে বসবাস করে আসছিলেন। যদি রুবিনা কারো চোখের সামনে পড়ে তাহলে তার বাবা মো. হযরত আলীর (০১৮১২০৮৩৮২৪) মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়।

রুবিনার মা হাজেরা খাতুন বলেন, তিনি একজন গার্মেন্টস কর্মী ও তার স্বামী পাথর ভাঙ্গার কাজ করেন। মেয়ের চিকিৎসার উদ্দেশ্যে তারা রুবিনাকে ৭ মার্চ উত্তর বাড্ডায় নিয়ে গিয়েছিলেন রোজাউল করিম নামের এক কবিরাজের বাসায়। কবিরাজের নির্দেশ অনুযায়ী ভেতর থেকে সিরিয়াল দিয়ে ওষুধ অনার পর দেখা যায় রুবিনা ওখানে নেই। এরপর থেকে আর তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। রুবিনার উচ্চতা প্রায় ৫ ফুট, গায়ের রং ফর্সা, মুখমণ্ডল গোলাকার। নিখোঁজের সময় তার পরনে ছিল হলুদ রঙের সালোয়ার কামিজ। সম্ভাব্য আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে হাসপাতাল, আশ্রয়কেন্দ্র ও বিভিন্ন এলাকায় খোঁজাখুঁজি চালিয়ে যাচ্ছেন রুবিনার মা-বাবা। তিন বোনের মধ্যে রুবিনা মেঝ, অসুস্থ বলে এখনো তার বিয়ে হয়নি। তাই মেয়েকে খুঁজে না পাওয়ার কষ্টে তারা আজ বিধ্বস্ত। মেয়ের সন্ধানে চাকুরি, ঘুম, খাওয়া সবকিছু ছেড়ে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে অপেক্ষা করছেন হতাশাগ্রস্ত এই মা-বাবা। এখনো তারা আশায় বুক বেঁধে আছেন, কেউ হয়তো কোনোভাবে মেয়ের সন্ধান দিয়ে সাহায্য করতে পারেন।

এ বিষয়ে বাড্ডা থানার এসআই সৈয়দ গোলাম মাওলা বলেন, রুবিনার বিষয়ে প্রতিটি থানায় ছবিসহ তথ্য প্রদান করা হয়েছে শুরুতেই। তাকে উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মায়ের ভাষ্য অনুযায়ী মেয়েটি নাকি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। সে বাড়ি থেকেও অনেক সময় একা বের হয়ে যেত, একা একা কথা বলতো। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

কবিরাজি চিকিৎসা নিতে গিয়ে নিখোঁজের ৬ মাসেও সন্ধান মিলছে না ডেমরার রুবিনার

আপলোড সময় : ০৭:১০:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫

নিখোঁজের দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও সন্ধান মিলছে না ডেমরার তরুণী মোছা. রুবিনার (২৪)। কবিরাজি চিকিৎসা নিতে গিয়ে গত ৭ মার্চ রাতে রাজধানীর উত্তর বাড্ডা’র আব্দুল্লাহবাগের রোজাউল করিম নামের কবিরাজের বাসা থেকে নিখোঁজ হয় অসুস্থ মেয়েটি। কবিরাজের নির্দেশ অনুযায়ী বাইরে দাঁড় করিয়ে ভেতর থেকে সিরিয়াল দিয়ে ওষুধ আনতে গেলে মেয়েটিকে সেখানে খুঁজে পাইনি তার মা। এ বিষয়ে কবিরাজের সিসি ক্যামেরা চেক করার কথা বললে তা নিষ্ট বলে জানানো হয় অনেক মানুষের সমাগম ওই কবিরাজ বাড়ী থেকে। এদিকে নিখোঁজের পরদিন গত ৮ মার্চ বাড্ডা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হলেও এ বিষয়ে কোন আইনি সহায়তা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ রুবিনার মায়ের। এ ঘটনায় কবিরাজের ভূমিকাও এখন পর্যন্ত রহস্যজনক। রুবিনা ডেমরার সারুলিয়ায় দীর্ঘদিন যাবৎ তার পিতা-মাতার সাথে বসবাস করে আসছিলেন। যদি রুবিনা কারো চোখের সামনে পড়ে তাহলে তার বাবা মো. হযরত আলীর (০১৮১২০৮৩৮২৪) মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়।

রুবিনার মা হাজেরা খাতুন বলেন, তিনি একজন গার্মেন্টস কর্মী ও তার স্বামী পাথর ভাঙ্গার কাজ করেন। মেয়ের চিকিৎসার উদ্দেশ্যে তারা রুবিনাকে ৭ মার্চ উত্তর বাড্ডায় নিয়ে গিয়েছিলেন রোজাউল করিম নামের এক কবিরাজের বাসায়। কবিরাজের নির্দেশ অনুযায়ী ভেতর থেকে সিরিয়াল দিয়ে ওষুধ অনার পর দেখা যায় রুবিনা ওখানে নেই। এরপর থেকে আর তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। রুবিনার উচ্চতা প্রায় ৫ ফুট, গায়ের রং ফর্সা, মুখমণ্ডল গোলাকার। নিখোঁজের সময় তার পরনে ছিল হলুদ রঙের সালোয়ার কামিজ। সম্ভাব্য আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে হাসপাতাল, আশ্রয়কেন্দ্র ও বিভিন্ন এলাকায় খোঁজাখুঁজি চালিয়ে যাচ্ছেন রুবিনার মা-বাবা। তিন বোনের মধ্যে রুবিনা মেঝ, অসুস্থ বলে এখনো তার বিয়ে হয়নি। তাই মেয়েকে খুঁজে না পাওয়ার কষ্টে তারা আজ বিধ্বস্ত। মেয়ের সন্ধানে চাকুরি, ঘুম, খাওয়া সবকিছু ছেড়ে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে অপেক্ষা করছেন হতাশাগ্রস্ত এই মা-বাবা। এখনো তারা আশায় বুক বেঁধে আছেন, কেউ হয়তো কোনোভাবে মেয়ের সন্ধান দিয়ে সাহায্য করতে পারেন।

এ বিষয়ে বাড্ডা থানার এসআই সৈয়দ গোলাম মাওলা বলেন, রুবিনার বিষয়ে প্রতিটি থানায় ছবিসহ তথ্য প্রদান করা হয়েছে শুরুতেই। তাকে উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মায়ের ভাষ্য অনুযায়ী মেয়েটি নাকি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। সে বাড়ি থেকেও অনেক সময় একা বের হয়ে যেত, একা একা কথা বলতো। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন