ঢাকা ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালীর সেনবাগে শ্বশুর বাড়ি থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার

মোহাম্মদ আবু নাছের (জেলা প্রতিনিধি নোয়াখালী)
মোহাম্মদ আবু নাছের (জেলা প্রতিনিধি নোয়াখালী)
  • আপলোড সময় : ০৫:৫৪:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৫৩৪ বার পড়া হয়েছে

নোয়াখালীর সেনবাগে শ্বশুর বাড়ি থেকে পুলিশ এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছে। নিহতের পরিবারের দাবি গৃহবধূর স্বামী তাকে মারধর করে হত্যা করেছে।

নিহত তানজিনা আক্তার (২০) উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের বসন্তপুর গ্রামের মমতাজ মিয়ার বাড়ির কাতার প্রবাসী মো.মহিন উদ্দিনের স্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হবে। এর আগে, গতকাল বুধবার রাত সোয়া ৮টার দিকে উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের মমতাজ মিয়ার বাড়ি থেকে পুলিশ এ মরদেহ উদ্ধার করে। একই দিন দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের মামাতো ভাই আজিম জানায়, গত ২ বছর আগে পারিবারিক ভাবে নাঙ্গলকোট থানার দৌলখাঁড় ইউনিয়নের সন্ধ্যাইল গ্রামের কান্তর আলীর নতুন বাড়ির মো.তাজুল ইসলামের মেয়ে তানজিনাকে প্রবাসী মহিন উদ্দিনের কাছে বিয়ে দেওয়া হয়। কিছু দিন পরই তাদের পরিবারে কলহ দেখা দেয়। স্বামীসহ পরিবারের লোকজন তানজিনাকে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করত। বুধবার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে মেয়ের জামাই মহিউদ্দিন তার শ্বশুরকে ফোন দেয়। এরপর সে তার শ্বশুরকে মুঠোফোনে বলে, তুই কি তোর মেয়েকে নিবি, না নিলে মেরে ফেলব। এটার কলরের্কডও রয়েছে। আমরা পুলিশকে শুনেয়েছি। এরপর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মেয়ের জামাইয়ের পরিবারের সদস্যরা পুনরায় মেয়ের বাবাকে ফোন দিয়ে বলে তানজিনাকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ির লোকজন হাসপাতালে আছে। পরে গৃহবধূর স্বজনেরা হাসপাতাল গিয়ে দেখে তানজিনা হাসপাতালে নেই। সেখান তারা মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে দেখে একটি ঘরে তানজিনার মরদেহ রাখা আছে। তার মুখের বামপাশে ও গলার বামপাশে আঘাতের আলামত রয়েছে। তার স্বামী তাকে মারধর করে মেরে ফেলে হাসপাতালের নাটক করে।

সেনবাগ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো.রুহুল আমিন বলেন, প্রাথমিক ভাবে মারধর করে মেরে ফেলার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আমরা প্রমাণ পেয়েছি স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ওই গৃহবধূ গলায় ফাঁস দেয়। নিহতের পরিবার লিখিত অভিযোগ দিচ্ছে। আত্মহত্যায় প্ররোচনায় মামলা নেওয়া হচ্ছে।

ওসি তদন্ত রুহুল আমিন আরো বলেন,বৃহস্পতিবার সকালের দিকে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নোয়াখালীর সেনবাগে শ্বশুর বাড়ি থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার

আপলোড সময় : ০৫:৫৪:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নোয়াখালীর সেনবাগে শ্বশুর বাড়ি থেকে পুলিশ এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছে। নিহতের পরিবারের দাবি গৃহবধূর স্বামী তাকে মারধর করে হত্যা করেছে।

নিহত তানজিনা আক্তার (২০) উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের বসন্তপুর গ্রামের মমতাজ মিয়ার বাড়ির কাতার প্রবাসী মো.মহিন উদ্দিনের স্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হবে। এর আগে, গতকাল বুধবার রাত সোয়া ৮টার দিকে উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের মমতাজ মিয়ার বাড়ি থেকে পুলিশ এ মরদেহ উদ্ধার করে। একই দিন দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের মামাতো ভাই আজিম জানায়, গত ২ বছর আগে পারিবারিক ভাবে নাঙ্গলকোট থানার দৌলখাঁড় ইউনিয়নের সন্ধ্যাইল গ্রামের কান্তর আলীর নতুন বাড়ির মো.তাজুল ইসলামের মেয়ে তানজিনাকে প্রবাসী মহিন উদ্দিনের কাছে বিয়ে দেওয়া হয়। কিছু দিন পরই তাদের পরিবারে কলহ দেখা দেয়। স্বামীসহ পরিবারের লোকজন তানজিনাকে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করত। বুধবার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে মেয়ের জামাই মহিউদ্দিন তার শ্বশুরকে ফোন দেয়। এরপর সে তার শ্বশুরকে মুঠোফোনে বলে, তুই কি তোর মেয়েকে নিবি, না নিলে মেরে ফেলব। এটার কলরের্কডও রয়েছে। আমরা পুলিশকে শুনেয়েছি। এরপর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মেয়ের জামাইয়ের পরিবারের সদস্যরা পুনরায় মেয়ের বাবাকে ফোন দিয়ে বলে তানজিনাকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ির লোকজন হাসপাতালে আছে। পরে গৃহবধূর স্বজনেরা হাসপাতাল গিয়ে দেখে তানজিনা হাসপাতালে নেই। সেখান তারা মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে দেখে একটি ঘরে তানজিনার মরদেহ রাখা আছে। তার মুখের বামপাশে ও গলার বামপাশে আঘাতের আলামত রয়েছে। তার স্বামী তাকে মারধর করে মেরে ফেলে হাসপাতালের নাটক করে।

সেনবাগ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো.রুহুল আমিন বলেন, প্রাথমিক ভাবে মারধর করে মেরে ফেলার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আমরা প্রমাণ পেয়েছি স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ওই গৃহবধূ গলায় ফাঁস দেয়। নিহতের পরিবার লিখিত অভিযোগ দিচ্ছে। আত্মহত্যায় প্ররোচনায় মামলা নেওয়া হচ্ছে।

ওসি তদন্ত রুহুল আমিন আরো বলেন,বৃহস্পতিবার সকালের দিকে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন