ঢাকা ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আড়াইহাজারে বাসায় বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত ৪ জনের মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু, ঘটনা রহস্যময়

রফিকুল ইসলাম রানা (নিজস্ব প্রতিবেদক)
রফিকুল ইসলাম রানা (নিজস্ব প্রতিবেদক)
  • আপলোড সময় : ১০:২৫:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৪২৩ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে শুক্রবার মধ্য রাতে বাসায় তিতাস গ্যাসের অবৈধ লাইনের পাইপের লিকেজ থেকে বিষ্ফোরণ ঘটে আহত ৪ জনের মধ্যে ৩ জনই মারা গেছে। গতকাল দুপুরে দগ্ধ কানিজ খাদিজা নিপা (৩৫) এর মৃত্যুর পর রাতে চায়না আক্তার সায়মা (৪০) এবং তার স্বামী জিয়ারউর রহমান সোহান (৪৫) এর ও মৃত্যু হয়। এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে আড়াইহাজার সরকারী সফর আলী কলেজের পূর্ব পাশে দিঘিরপাড় লাসারদী এলাকায় জনৈক
ছানাউল্লাহ মিয়ার একটি ভবনের চতুর্থ তলায় বিষ্ফোরণ ঘটে। এ সময় ওই বাসার ভাাড়াটিয়া নিপার মা হাসিনা মমতাজ (৫৫) সহ ৪ জন দগ্ধ হলে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যায় নিপা এবং চায়নার মৃত্যু হয়। ওই দিনই দিবাগত ভোররাতে জিয়াউর রহমান সোহানও মারা যান।
ঘটনার বিবরণে প্রথম দিকে জানা যায় যে, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে আড়াইহাজার সরকারী সফর আলী কলেজেরে পূর্ব পাশে দিঘিরপাড় এলাকায় জনৈক ছানাউল্লাহ মিয়ার বহুতল ভবনের চতুর্থ তলার পশ্চিম পাশের ফ্ল্যাটে অবৈধ গ্যাস লাইনের পাইপে লিকেজ থেকে বিষ্ফোরণ ঘটে। এতে হাসিনা মমতাজ (৫৫), সোহাগ (৩৫), চায়না (৩০) ও নিপা (৩৫) নামে ৪ জন গুরুতর আহত হয়। সংবাদ পেয়ে আড়াইহাজার থাান পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের
কমর্ীরা তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। অবস্থা গুরুতর বিধায় কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের সবাইকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রেফার করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পর্যায়ক্রমে ওই তিনজনের মৃত্যু হয়।
কিন্তু পরবর্তীতে ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণে গিয়ে জানা যায় যে, ক্ষতিগ্রস্থ তিনটি কক্ষের একটিতে থাকতেন নিপা আক্তার, একটিতে সোহান এবং
চায়না এবং অপরটিতে নাজমুল ও রেশমি দম্পতি। নিপার মা হাসিনা মমতাজ
মেয়ের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন। সেখানে সোহান ও চায়নার কক্ষে একটি বৈদ্যুতিক বোর্ডের কাছে স্ক্রুড্রাইভার, বৈদ্যুতিক কেবল, ষ্টার
স্ক্রুড্রাইভার, খোলা মালটি প্লাগ, টু পিন প্লাগ সহ বৈদ্যিুৎ লাইন মেরামত করার বিভিন্ন সামগ্রী ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। বৈদ্যুতিক লাইনের কোন বোর্ড মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎ এবং গ্যাসলাইনের
সংযোগে বিষ্ফোারণের ঘটনাটি ঘটেছে কি না তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে বিজ্ঞমহল মনে করছেন। এ দিকে ঘটনার পর থেকে নাজমুলের
কোন খোঁজ মিলছেনা। তা ছাড়া নাজমুলের স্ত্রী রেশমিও রোববার সকালে তলপি তলপা গুছিয়ে বাসা ছেড়ে চলে গেছেন।
আড়াইহাজার থানার ওসি মুহাম্মদ ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব বলেন, এ ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। তিতাস গ্যাসের অফিসিয়াল রিপোর্ট পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আড়াইহাজারে বাসায় বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত ৪ জনের মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু, ঘটনা রহস্যময়

আপলোড সময় : ১০:২৫:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে শুক্রবার মধ্য রাতে বাসায় তিতাস গ্যাসের অবৈধ লাইনের পাইপের লিকেজ থেকে বিষ্ফোরণ ঘটে আহত ৪ জনের মধ্যে ৩ জনই মারা গেছে। গতকাল দুপুরে দগ্ধ কানিজ খাদিজা নিপা (৩৫) এর মৃত্যুর পর রাতে চায়না আক্তার সায়মা (৪০) এবং তার স্বামী জিয়ারউর রহমান সোহান (৪৫) এর ও মৃত্যু হয়। এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে আড়াইহাজার সরকারী সফর আলী কলেজের পূর্ব পাশে দিঘিরপাড় লাসারদী এলাকায় জনৈক
ছানাউল্লাহ মিয়ার একটি ভবনের চতুর্থ তলায় বিষ্ফোরণ ঘটে। এ সময় ওই বাসার ভাাড়াটিয়া নিপার মা হাসিনা মমতাজ (৫৫) সহ ৪ জন দগ্ধ হলে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যায় নিপা এবং চায়নার মৃত্যু হয়। ওই দিনই দিবাগত ভোররাতে জিয়াউর রহমান সোহানও মারা যান।
ঘটনার বিবরণে প্রথম দিকে জানা যায় যে, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে আড়াইহাজার সরকারী সফর আলী কলেজেরে পূর্ব পাশে দিঘিরপাড় এলাকায় জনৈক ছানাউল্লাহ মিয়ার বহুতল ভবনের চতুর্থ তলার পশ্চিম পাশের ফ্ল্যাটে অবৈধ গ্যাস লাইনের পাইপে লিকেজ থেকে বিষ্ফোরণ ঘটে। এতে হাসিনা মমতাজ (৫৫), সোহাগ (৩৫), চায়না (৩০) ও নিপা (৩৫) নামে ৪ জন গুরুতর আহত হয়। সংবাদ পেয়ে আড়াইহাজার থাান পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের
কমর্ীরা তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। অবস্থা গুরুতর বিধায় কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের সবাইকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রেফার করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পর্যায়ক্রমে ওই তিনজনের মৃত্যু হয়।
কিন্তু পরবর্তীতে ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণে গিয়ে জানা যায় যে, ক্ষতিগ্রস্থ তিনটি কক্ষের একটিতে থাকতেন নিপা আক্তার, একটিতে সোহান এবং
চায়না এবং অপরটিতে নাজমুল ও রেশমি দম্পতি। নিপার মা হাসিনা মমতাজ
মেয়ের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন। সেখানে সোহান ও চায়নার কক্ষে একটি বৈদ্যুতিক বোর্ডের কাছে স্ক্রুড্রাইভার, বৈদ্যুতিক কেবল, ষ্টার
স্ক্রুড্রাইভার, খোলা মালটি প্লাগ, টু পিন প্লাগ সহ বৈদ্যিুৎ লাইন মেরামত করার বিভিন্ন সামগ্রী ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। বৈদ্যুতিক লাইনের কোন বোর্ড মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎ এবং গ্যাসলাইনের
সংযোগে বিষ্ফোারণের ঘটনাটি ঘটেছে কি না তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে বিজ্ঞমহল মনে করছেন। এ দিকে ঘটনার পর থেকে নাজমুলের
কোন খোঁজ মিলছেনা। তা ছাড়া নাজমুলের স্ত্রী রেশমিও রোববার সকালে তলপি তলপা গুছিয়ে বাসা ছেড়ে চলে গেছেন।
আড়াইহাজার থানার ওসি মুহাম্মদ ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব বলেন, এ ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। তিতাস গ্যাসের অফিসিয়াল রিপোর্ট পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন