ফিজিওথেরাপিস্টদের ভাবমূর্তি রক্ষার আহ্বান
- আপলোড সময় : ০৫:১৪:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ৭০২ বার পড়া হয়েছে
ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকদের ভাবমূর্তি রক্ষা ও হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফিজিক্যাল থেরাপি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) সভাপতি ফিজিওথেরাপিস্ট ডা. প্রদীপ কুমার সাহা। আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ ফিজিক্যাল থেরাপি অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিন আগে একজন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসককে ভুয়া ডাক্তার, রোগীর পরীক্ষা দিতে পারেন না, প্রেসক্রিপশন লিখতে পারেন না- এই কথাগুলো মিডিয়ার সামনে এসেছে। এতে আমাদের এই পেশার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে আমরা মনে করি।
সংবাদ সম্মেলনে ডা. প্রদীপ কুমার সাহা আরও বলেন, ফিজিওথেরাপি একটি স্বাধীন ও স্বতন্ত্র চিকিৎসা পেশা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের অধীনে চার বছর একাডেমিক এবং এক বছর ইন্টার্নশিপসহ ৫ বছর মেয়াদি ব্যাচেলর অব ফিজিওথেরাপি (বিপিটি) প্রফেশনাল কোর্স এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের একই অনুষদের অধীনে দুই বছর মেয়াদী মাস্টার্স অব ফিজিওথেরাপি (এমপিটি) কোর্স চালু রয়েছে। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের একই অনুষদের অধীনে এমবিবিএস, বিডিএস কোর্সও চালু রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ফিজিওথেরাপিস্টদের মতামতমও তুলে ধরা হয়। তাদের মতে, চিকিৎসা বিজ্ঞানে ফিজিওথেরাপি শিক্ষার ব্যাপকতা উপলব্ধি করে বর্তমানে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা পেশায় পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন, মাস্টার্স (এমপিটি) এবং পিএইচডি ডিগ্রি চালু রয়েছে। অন্যদিকে, ফিজিওথেরাপিতে ৩ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল টেকনোলজি (ফিজিওথেরাপি) ও সার্টিফিকেট কোর্স চালু রয়েছে। ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল টেকনোলজি (ফিজিওথেরাপি) এসএসসি পাশ করে স্টেট মেডিকেল ফ্যাক্লাল্টির অধীনে এই কোর্সটি চালু রয়েছে। সুতরাং ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা জনিত রোগীদের ফিজিওথেরাপী চিকিৎসা ও পরামর্শ দিতে ফিজিওথেরাপি কনসালটেন্ট ও ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক ব্যতীত অন্যকোনো চিকিৎসক বা কনসালটেন্ট এর প্রয়োজন নাই। কেননা ফিজিওথেরাপি কনসালটেন্ট, ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক, ফিজিওথেরাপি এসিসট্যান্ট ও ফিজিওথেরাপি টেকনিশিয়ানগণ আমাদের দেশেই রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয়ও তুলে ধরা হয়।
এ ছাড়া আহ্বান জানিয়ে ডা. প্রদীপ কুমার সাহা বলেন, সবার কাছে বিনীত অনুরোধ জানাই এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট আবেদন- বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন ২০১৮ এর দ্রুত বাস্তবায়নসহ স্বতন্ত্র কাউন্সিলের মাধ্যমে, নতুন পদ সৃষ্টি, ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকদের ভাবমূর্তি রক্ষা করুন। একইসঙ্গে ফিজিওথেরাপি কলেজ স্থাপন করে এ পেশার উত্তরোত্তর মানউন্নয়নের আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়েছে, ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন ও হয়রানি করা হচ্ছে বিএমডিসি অ্যাক্টে। তবে এটি ফিজিওথেরাপিস্টদের প্রযোজ্য নয়। জাতীয় সংসদে পাসকৃত ফিজিওথেরাপিস্টসহ অন্যান্য রিহ্যাবিলিটেশন প্রাকটিশনার ও রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবিদের জন্য গঠিত ‘বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন ২০১৮’ অনুযায়ী তারা পরিচালিত হবে, বিএমডিসি অ্যাক্ট ২০১০ দ্বারা নয়। অথচ প্রায় সময়ই বিএমডিসি অ্যাক্ট ২০১০ এর ক্ষমতা বলে ফিজিওথেরাপিস্ট দের হয়রানি করা হয়।