ঢাকা ০৯:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেয়ার হোল্ডাদের জন্য নতুন পূজা মন্ডপ প্রস্তুত

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপলোড সময় : ১১:১৯:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪৬১ বার পড়া হয়েছে

সনাতন ধর্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দুর্গা পূজার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। প্রতিমা তৈরিতে কারিগরদের ব্যস্ততায় জানান দিচ্ছে দেবী দূর্গার আগমনী বার্তা। সারা দেশের মতো শিল্প শহর নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জেও পূজা মন্ডপের কাজ চলছে। নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ শিল্প প্রতিষ্ঠান নীট কনসার্ন গ্রুপ সনাতন ধর্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দুর্গা পূজা করার জন্য নিউ লক্ষী নারায়ণ কটন মিলস লি: এর শেয়ার হোল্ডারদের জন্য ওই এলাকায় নিজ^ খরচে পূজা মন্ডপ তৈরী করে দিয়েছেন। চমৎকার পরিবেশে যেন দেবী দূগার আরাধনা করতে পারেন ওই এলাকার সনাতন ধর্মালম্বীরা।

তাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সনাতন ধর্মালম্বীরা। তারা বলছেন এমন মহতি উদ্যোগকে তারা স্বাগতম জানান। তারা নীট কনসার্ন গ্রুপের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন মোল্লা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গির আলম মোল্লাকে কৃতজ্ঞতা জানান।
মায়ারানী নামে এক সনাতন ধর্মালম্বীরা বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির এই যোগে আমাদের পূজা মন্ডব নির্মাণ করে দিয়ে যে মহতি কাজ করেছেন জয়নাল আবেদিন মোল্লা ও জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা এই কৃতজ্ঞতা শেষ করা যাবে না।

এছাড়াও তারা সনাতন ধর্মালম্বীদের বিপদে আপদে দু:সময়ে আমাদের পাশে থাকেন। তিনি বলেন, নীট কনসার্ন এলাকার আশপাশের বাসিন্দারা যখন বিপদে পড়েন তখন নীট কনসার্নের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন মোল্লা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা বট বৃক্ষের মত তাদের পাশে দাড়িয়ে সহযোগীতার হাত বাড়ান। শুধু তাই নয় অসংখ্য সনাতন ধর্মালম্বীরা তাদের প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। বিপদে আপদে দু:সময়ে তাদের সহযোগী নিচ্ছেন।
সনাতন ধর্মালম্বীরা বলেন সার্বজনীন পূজা মন্ডপ তৈরি করে পূজার প্রস্তুতি চলছে মন্ডপে মন্ডপে। প্রতিমা তৈরিতে ভাস্কারদের কল্পনায় দেবী দুর্গার অনিন্দ্য সুন্দর রূপ দিতে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে মাটির কাজ। কয়েকটি মন্ডপে আবার ভাস্কাররা শুরু করেছেন রং, তুলি দিয়ে প্রতিমা সাজসজ্জার কাজ। এতে তাদের নিখুঁত হাতের ছোঁয়ায় কৃত্রিম জীবন পাবেন দেবী দুর্গা, শিব, লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, অসুরসহ অন্যান্য প্রতিমা।

এছাড়া কোনো কোনো প্রতিমায় আবার পরানো হচ্ছে শাড়ি, হাতের বালাসহ অন্যান্য গয়না। এরপর ঢাকের বাজনা, উলুধ্বনি আর আরতিতে মুখরিত হয়ে উঠবে পূজা মন্ডপগুলো। পাশাপাশি আলোক সজ্জা, প্যান্ডেল তৈরি, মন্ডপ ও তার আশপাশে সাজসজ্জার কাজসহ নানা কাজেও ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন পূজার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। লক্ষী নারায়ণগ কটন মিল এলাকায়ও এবারের পূজা হবে। আমরা প্রস্তুত রয়েছি পূজার জন্য। নতুন একটি পূজা মন্ডপ করে আমাদের কৃতজ্ঞিত করেছেন নীট কনসার্ন গ্রুপের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন মোল্লা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা।

কেসা বর্মন নামে ওই এলাকার এক বাসিন্দা জানান, গেল কয়েকবার আমার পূজা করেছি পূজা মন্ডপ তেমন ভালো ছিলো না। এবার নতুন মন্ডপ করা হয়েছে। এখানে পূজার আনুষ্ঠানিকতা খুব ভালো ভাবে জমবে আশা রাখছি। যারা এই পূজা মন্ডপটি করে দিয়েছে তাদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।
সঞ্চিত বর্মন নামে লক্ষীনারায়ণ কটন মিল এলাকার বাসিন্দা জানান, আমরা খুশি এমন নতুন মন্ডপ পেয়ে পূজোটা আমাদের হলেও সম্পৃতির দেশে অনেকেই আমাদের সাথে আনন্দ করতে আসে। তাই নতুন চকচকে সুন্দর মন্ডপে এবারের আন্দন্দটা হবে চমৎকারভাবে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান,দুর্গাপূজা শুরু হতে এখনও বেশ দিন বাকি আছে। পূজায় যাতে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় তার জন্য প্রশাসনিক তৎপরতা বৃদ্ধি করেছি। জেলার সকল স্থানে বিশেষ করে যেখানে প্রতিমা তৈরীর কাজ চলছে সে স্থানগুলোতে নজরদারি বৃদ্ধিসহ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হাসান জানান, এটা খুব সুন্দর উদ্যোগ, সম্প্রীতির দেশে এ ধরনের উদ্যোগকে অবশ্যই স্বাগত জানাই। এছাড়া জেলা সবকটি পূজা মন্ডপে সরকারি অনুদানের পাশাপাশি সিটি ক্যামেরা দিয়ে বিশৃংখ্যলা এড়াতে পর্যবেক্ষন করা হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

শেয়ার হোল্ডাদের জন্য নতুন পূজা মন্ডপ প্রস্তুত

আপলোড সময় : ১১:১৯:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩

সনাতন ধর্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দুর্গা পূজার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। প্রতিমা তৈরিতে কারিগরদের ব্যস্ততায় জানান দিচ্ছে দেবী দূর্গার আগমনী বার্তা। সারা দেশের মতো শিল্প শহর নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জেও পূজা মন্ডপের কাজ চলছে। নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ শিল্প প্রতিষ্ঠান নীট কনসার্ন গ্রুপ সনাতন ধর্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দুর্গা পূজা করার জন্য নিউ লক্ষী নারায়ণ কটন মিলস লি: এর শেয়ার হোল্ডারদের জন্য ওই এলাকায় নিজ^ খরচে পূজা মন্ডপ তৈরী করে দিয়েছেন। চমৎকার পরিবেশে যেন দেবী দূগার আরাধনা করতে পারেন ওই এলাকার সনাতন ধর্মালম্বীরা।

তাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সনাতন ধর্মালম্বীরা। তারা বলছেন এমন মহতি উদ্যোগকে তারা স্বাগতম জানান। তারা নীট কনসার্ন গ্রুপের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন মোল্লা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গির আলম মোল্লাকে কৃতজ্ঞতা জানান।
মায়ারানী নামে এক সনাতন ধর্মালম্বীরা বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির এই যোগে আমাদের পূজা মন্ডব নির্মাণ করে দিয়ে যে মহতি কাজ করেছেন জয়নাল আবেদিন মোল্লা ও জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা এই কৃতজ্ঞতা শেষ করা যাবে না।

এছাড়াও তারা সনাতন ধর্মালম্বীদের বিপদে আপদে দু:সময়ে আমাদের পাশে থাকেন। তিনি বলেন, নীট কনসার্ন এলাকার আশপাশের বাসিন্দারা যখন বিপদে পড়েন তখন নীট কনসার্নের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন মোল্লা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা বট বৃক্ষের মত তাদের পাশে দাড়িয়ে সহযোগীতার হাত বাড়ান। শুধু তাই নয় অসংখ্য সনাতন ধর্মালম্বীরা তাদের প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। বিপদে আপদে দু:সময়ে তাদের সহযোগী নিচ্ছেন।
সনাতন ধর্মালম্বীরা বলেন সার্বজনীন পূজা মন্ডপ তৈরি করে পূজার প্রস্তুতি চলছে মন্ডপে মন্ডপে। প্রতিমা তৈরিতে ভাস্কারদের কল্পনায় দেবী দুর্গার অনিন্দ্য সুন্দর রূপ দিতে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে মাটির কাজ। কয়েকটি মন্ডপে আবার ভাস্কাররা শুরু করেছেন রং, তুলি দিয়ে প্রতিমা সাজসজ্জার কাজ। এতে তাদের নিখুঁত হাতের ছোঁয়ায় কৃত্রিম জীবন পাবেন দেবী দুর্গা, শিব, লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, অসুরসহ অন্যান্য প্রতিমা।

এছাড়া কোনো কোনো প্রতিমায় আবার পরানো হচ্ছে শাড়ি, হাতের বালাসহ অন্যান্য গয়না। এরপর ঢাকের বাজনা, উলুধ্বনি আর আরতিতে মুখরিত হয়ে উঠবে পূজা মন্ডপগুলো। পাশাপাশি আলোক সজ্জা, প্যান্ডেল তৈরি, মন্ডপ ও তার আশপাশে সাজসজ্জার কাজসহ নানা কাজেও ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন পূজার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। লক্ষী নারায়ণগ কটন মিল এলাকায়ও এবারের পূজা হবে। আমরা প্রস্তুত রয়েছি পূজার জন্য। নতুন একটি পূজা মন্ডপ করে আমাদের কৃতজ্ঞিত করেছেন নীট কনসার্ন গ্রুপের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন মোল্লা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা।

কেসা বর্মন নামে ওই এলাকার এক বাসিন্দা জানান, গেল কয়েকবার আমার পূজা করেছি পূজা মন্ডপ তেমন ভালো ছিলো না। এবার নতুন মন্ডপ করা হয়েছে। এখানে পূজার আনুষ্ঠানিকতা খুব ভালো ভাবে জমবে আশা রাখছি। যারা এই পূজা মন্ডপটি করে দিয়েছে তাদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।
সঞ্চিত বর্মন নামে লক্ষীনারায়ণ কটন মিল এলাকার বাসিন্দা জানান, আমরা খুশি এমন নতুন মন্ডপ পেয়ে পূজোটা আমাদের হলেও সম্পৃতির দেশে অনেকেই আমাদের সাথে আনন্দ করতে আসে। তাই নতুন চকচকে সুন্দর মন্ডপে এবারের আন্দন্দটা হবে চমৎকারভাবে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান,দুর্গাপূজা শুরু হতে এখনও বেশ দিন বাকি আছে। পূজায় যাতে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় তার জন্য প্রশাসনিক তৎপরতা বৃদ্ধি করেছি। জেলার সকল স্থানে বিশেষ করে যেখানে প্রতিমা তৈরীর কাজ চলছে সে স্থানগুলোতে নজরদারি বৃদ্ধিসহ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হাসান জানান, এটা খুব সুন্দর উদ্যোগ, সম্প্রীতির দেশে এ ধরনের উদ্যোগকে অবশ্যই স্বাগত জানাই। এছাড়া জেলা সবকটি পূজা মন্ডপে সরকারি অনুদানের পাশাপাশি সিটি ক্যামেরা দিয়ে বিশৃংখ্যলা এড়াতে পর্যবেক্ষন করা হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন