ঢাকা ১০:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিজের দায় এড়াতে সাংবাদিককে হয়রানী ব্যাংক কর্মকর্তার।

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপলোড সময় : ০৬:২৫:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ২৯২ বার পড়া হয়েছে

ব্যাংকের দূর্বলতা ঢাকতে বেশামাল কান্ড ঘটিয়েছেন ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

সফিউল্লাহ নামের একজন ফার্নিচার ব্যবসায়ী, সাংবাদিক গাজী মোঃ সোহেলের কাছে এসে অভিযোগ জানায় যে, কিছুদিন পুর্বে আমার কাছে একটি লোক দরজার অর্ডার করে দরজার টাকা আমাকে কয়েকধাপে পরিশোধ করেন, সবর্শেষ ১১ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকার একটি চেক দেন, উক্ত চেক নিয়ে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা শাখা ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ এর ম্যানেজারের সাথে কথা বলি তারা যাচাই বাছাই করে আমার হিসাব নং- ১৩৬০৮০৬৮ নিজ একাউন্টে ট্রান্সফার করে দেয়।
অতপর নারায়ণগঞ্জ জালকুড়ি ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংক শাখা থেকে দুই ধাপে টাকা উত্তলন করি, তার কিছুদিন পর আমাকে ব্যাংক থেকে ফোন দিতে থাকে, আমাকে বলে চেকটি ভোলা থেকে চুরি হয়েছে ব্যাংকের লোক আমাকে দেখা করতে বলেন না হয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাশাপাশি আমার বাসার কাছে কয়েক দফায় সন্ত্রাসীরা এসে আমাকে গালাগালি এবং হুমকি দেন। আইনি সহায়তা চেয়ে ঢাকার কদমতলী থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করি, যাহার নং-২৭৭/২৩ তাং- ০৫/০৭/২০২৩ ইং
গাজী মোঃ সোহেল ঘটনার বিস্তারিত জানার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন, আপনারা এত বড় অংকের টাকার চেক পেয়ে একাউন্ট হোল্ডারের সাথে নিশ্চই কথা বলে টাকা দিয়েছেন। ব্যাংকের লোককে ফোন দেয় বিষয়টির সত্যতা যাচাই সহ তাদেরকে প্রশ্ন করলে উল্টো ব্যাংক ম্যানেজার তাকে বলেন আপনি আমাকে আইন শিখাচ্ছেন। ৫ দিন আগে টাকা তুলেছে এখন আপনি কল দিয়ে সফিউল্লাহকে জানান।
গাজী মোঃ সোহেল বলেন, সাংবাদিকতার পেশাধারীত্বে আমি তাকে প্রশ্ন করতেই পারি।
বর্তমানে গত ০২/০১/২০২৪ ইং তারিখে নারায়ণগঞ্জ সিআইডি থেকে আমাকে ফোন করে জানান আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তারা আমাকে দেখা করতে বলেন।

বিষয়টি জানার উদ্দেশ্যে সিআইডি কার্যালয়ে যাই, সাব ইন্সপেক্টর আব্দুস সাত্তার মোল্লা বলেন, আপনার দায় এড়ানোর কোন সুযোগ নাই, আসামীর পক্ষ নিয়ে আপনি ফোন দিয়ে হুমকি ধমকি দিয়েছেন, আপনার স্বার্থ কি এখানে?
এবং সাব ইন্সপেক্টর সাত্তার মোল্লা বলেন, আসামী সফিউল্লাহকে নিয়ে আসেন, সে ই সব জানে এবং তার সাথে আপনার যোগসাজস রয়েছে এই চেক জালিয়াতি চক্রের মুল হোতাদের বের করার স্বার্থে আপনাকে ডাকা হয়েছে, আপনি ভুয়া চেক দিয়ে টাকা উত্তোলনকারী সফিউল্লাহকে নিয়ে আসেন।
তা না হলে আপনি আইনি জটিলতায় জড়িয়ে যাবেন। তার এমন দাবী শুনে হতভম্ব হয়ে যাই।

আব্দুস সাত্তার আরও বলেন, চেকের উপরে ব্যাংক হোল্ডারের নাম্বার পরিবর্তন করে অন্য একাউন্ট থেকে টাকা উঠিয়েছে, এর সাথে বড় একটি মাফিয়া চক্র জড়িত।

নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি এবং মাইটিভি নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এমন ঘটনার সাথে নিশ্চই ব্যাংক কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগসাজস রয়েছে, তা না হলে এমনকান্ড ঘটাতে এত বড় দূঃসাহস সাধারণ সফিউল্লার দ্বারা সম্ভবপর নয়।

সাংবাদিক মোঃ সোহেল গাজী বর্তমানে জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকায় বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে নারায়ণগঞ্জে কর্মরত রয়েছেন, পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক পদে দ্বায়িত্ব পালন করছেন।

সাংবাদিক তথ্য জানার জন্য ফোন দিয়েছে অতঃপর মামলায় তার নাম দিয়েছে ব্যাংক কর্মকর্তারা। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাংবাদিক মহল।
অতঃপর ইসলামী ব্যাংক ফতুল্লা শাখার ব্যাংক কর্মকর্তা ম্যানেজার অপারেশন বনি আমিনের সাথে কথা বলার জন্য সাংবাদিকরা ফোন দেয়। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ব্যস্ততার দোহাই দিয়ে বলেন রাত দশটার পরে ফোন দিবেন তখন আমি ফ্রি থাকি। তারপর একাধিকবার ফোন দিয়েও তার সাথে কথা বলা যায়নি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নিজের দায় এড়াতে সাংবাদিককে হয়রানী ব্যাংক কর্মকর্তার।

আপলোড সময় : ০৬:২৫:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৪

ব্যাংকের দূর্বলতা ঢাকতে বেশামাল কান্ড ঘটিয়েছেন ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

সফিউল্লাহ নামের একজন ফার্নিচার ব্যবসায়ী, সাংবাদিক গাজী মোঃ সোহেলের কাছে এসে অভিযোগ জানায় যে, কিছুদিন পুর্বে আমার কাছে একটি লোক দরজার অর্ডার করে দরজার টাকা আমাকে কয়েকধাপে পরিশোধ করেন, সবর্শেষ ১১ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকার একটি চেক দেন, উক্ত চেক নিয়ে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা শাখা ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ এর ম্যানেজারের সাথে কথা বলি তারা যাচাই বাছাই করে আমার হিসাব নং- ১৩৬০৮০৬৮ নিজ একাউন্টে ট্রান্সফার করে দেয়।
অতপর নারায়ণগঞ্জ জালকুড়ি ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংক শাখা থেকে দুই ধাপে টাকা উত্তলন করি, তার কিছুদিন পর আমাকে ব্যাংক থেকে ফোন দিতে থাকে, আমাকে বলে চেকটি ভোলা থেকে চুরি হয়েছে ব্যাংকের লোক আমাকে দেখা করতে বলেন না হয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাশাপাশি আমার বাসার কাছে কয়েক দফায় সন্ত্রাসীরা এসে আমাকে গালাগালি এবং হুমকি দেন। আইনি সহায়তা চেয়ে ঢাকার কদমতলী থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করি, যাহার নং-২৭৭/২৩ তাং- ০৫/০৭/২০২৩ ইং
গাজী মোঃ সোহেল ঘটনার বিস্তারিত জানার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন, আপনারা এত বড় অংকের টাকার চেক পেয়ে একাউন্ট হোল্ডারের সাথে নিশ্চই কথা বলে টাকা দিয়েছেন। ব্যাংকের লোককে ফোন দেয় বিষয়টির সত্যতা যাচাই সহ তাদেরকে প্রশ্ন করলে উল্টো ব্যাংক ম্যানেজার তাকে বলেন আপনি আমাকে আইন শিখাচ্ছেন। ৫ দিন আগে টাকা তুলেছে এখন আপনি কল দিয়ে সফিউল্লাহকে জানান।
গাজী মোঃ সোহেল বলেন, সাংবাদিকতার পেশাধারীত্বে আমি তাকে প্রশ্ন করতেই পারি।
বর্তমানে গত ০২/০১/২০২৪ ইং তারিখে নারায়ণগঞ্জ সিআইডি থেকে আমাকে ফোন করে জানান আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তারা আমাকে দেখা করতে বলেন।

বিষয়টি জানার উদ্দেশ্যে সিআইডি কার্যালয়ে যাই, সাব ইন্সপেক্টর আব্দুস সাত্তার মোল্লা বলেন, আপনার দায় এড়ানোর কোন সুযোগ নাই, আসামীর পক্ষ নিয়ে আপনি ফোন দিয়ে হুমকি ধমকি দিয়েছেন, আপনার স্বার্থ কি এখানে?
এবং সাব ইন্সপেক্টর সাত্তার মোল্লা বলেন, আসামী সফিউল্লাহকে নিয়ে আসেন, সে ই সব জানে এবং তার সাথে আপনার যোগসাজস রয়েছে এই চেক জালিয়াতি চক্রের মুল হোতাদের বের করার স্বার্থে আপনাকে ডাকা হয়েছে, আপনি ভুয়া চেক দিয়ে টাকা উত্তোলনকারী সফিউল্লাহকে নিয়ে আসেন।
তা না হলে আপনি আইনি জটিলতায় জড়িয়ে যাবেন। তার এমন দাবী শুনে হতভম্ব হয়ে যাই।

আব্দুস সাত্তার আরও বলেন, চেকের উপরে ব্যাংক হোল্ডারের নাম্বার পরিবর্তন করে অন্য একাউন্ট থেকে টাকা উঠিয়েছে, এর সাথে বড় একটি মাফিয়া চক্র জড়িত।

নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি এবং মাইটিভি নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এমন ঘটনার সাথে নিশ্চই ব্যাংক কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগসাজস রয়েছে, তা না হলে এমনকান্ড ঘটাতে এত বড় দূঃসাহস সাধারণ সফিউল্লার দ্বারা সম্ভবপর নয়।

সাংবাদিক মোঃ সোহেল গাজী বর্তমানে জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকায় বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে নারায়ণগঞ্জে কর্মরত রয়েছেন, পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক পদে দ্বায়িত্ব পালন করছেন।

সাংবাদিক তথ্য জানার জন্য ফোন দিয়েছে অতঃপর মামলায় তার নাম দিয়েছে ব্যাংক কর্মকর্তারা। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাংবাদিক মহল।
অতঃপর ইসলামী ব্যাংক ফতুল্লা শাখার ব্যাংক কর্মকর্তা ম্যানেজার অপারেশন বনি আমিনের সাথে কথা বলার জন্য সাংবাদিকরা ফোন দেয়। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ব্যস্ততার দোহাই দিয়ে বলেন রাত দশটার পরে ফোন দিবেন তখন আমি ফ্রি থাকি। তারপর একাধিকবার ফোন দিয়েও তার সাথে কথা বলা যায়নি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন