ঢাকা ০৯:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাদকের আসামীকে ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা, কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে পন্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপলোড সময় : ১১:১৭:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৬৫৫ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জে দুই’শ পিছ ইয়াবা সহ আটককৃত আসামী খোকন মোল্লাকে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের ধনকুন্ডা এলাকা থেকে খোকন মোল্লা (৫৫) ও রিপন মিয়া (৩৫)’কে আটক করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক কামরুল হাসান ও সহকারী উপ-পরিদর্শক ইলিয়াস হোসেন।

জানা গেছে, টাকার প্রস্তাব পেয়ে আটককৃত খোকন মোল্লাকে তার ছোট ভাই রবিনের বাড়িতে নিয়ে যায় পুলিশ এবং খোকন মোল্লার স্ত্রীর সাথে রফাদফার চেষ্টা করে। এসময় খবর পেয়ে খোকন মোল্লার ভাই স্থানীয় কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা উপস্থিত হন এবং মাদকের আসামীকে না ছাড়ার জন্য চেচামেচি শুরু করেন। পরে পুলিশ খোকন মোল্লা এবং তার সহযোগী রিপন মিয়াকে থানায় নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে নাসিক ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আটককৃত দুই আসামীকে পুলিশ সিএনজিতে করে তার বাসার সামনে নিয়ে আসে। আমি খবর পেয়ে গিয়ে বলেছি মাদকের আসামীকে এখানে কেন এনেছে, তাদের থানায় কেন নিয়ে যাচ্ছেনা। মাদকের বিষয়ে কোন ছাড় নেই। মাদকের আসামীকে ছাড় দেওয়া যাবেনা। সে যে-ই হোক। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক। পরে পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, মাদকের আসামীকে বাসার সামনে এনে পরিবারের সাথে কথা বলার উদ্দেশ্য রহস্যজনক। নিশ্চই এখানে কোন অসৎ উদ্দেশ্য ছিল। তাছাড়া খোকন মোল্লার স্ত্রী নাহিদা এবং তার শ্যালক সোহাগ এলাকায় মূল মাদক ব্যবসায়ী। খোকন মাদকাসক্ত, তাকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে তার স্ত্রী নাহিদা ও শ্যালক সোহাগ মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। কিছুদিন পূর্বে আমি ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি। বিপরীতে ওরা আমার চাচা মহিউদ্দিন মোল্লার বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে আসে আমাকে দেখে নিবে। আমি অতীতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছেও লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। খোকন মোল্লার স্ত্রী টাকার বিনিময়ে হয়তো ছাড়িয়ে রাখার চেষ্টা করেছিল। আমি দাবি করছি, দ্রুত খোকন মোল্লার স্ত্রী নাহিদা আক্তার ও শ্যালক সোহাগকে আইনের আওতায় আনা হোক। সর্বোপরি আমার পক্ষ থেকে পুলিশকে অনেক অনেক ধন্যবাদ মাদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য। আমি আশাবাদী আমার ওয়ার্ড সহ প্রত্যেক এলাকায় এইভাবে মাদক সেবনকারি ও মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনা হবে এবং মাদকমুক্ত সমাজ গড়ে তোলা হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মাদকের আসামীকে ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা, কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে পন্ড

আপলোড সময় : ১১:১৭:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৪

সিদ্ধিরগঞ্জে দুই’শ পিছ ইয়াবা সহ আটককৃত আসামী খোকন মোল্লাকে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের ধনকুন্ডা এলাকা থেকে খোকন মোল্লা (৫৫) ও রিপন মিয়া (৩৫)’কে আটক করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক কামরুল হাসান ও সহকারী উপ-পরিদর্শক ইলিয়াস হোসেন।

জানা গেছে, টাকার প্রস্তাব পেয়ে আটককৃত খোকন মোল্লাকে তার ছোট ভাই রবিনের বাড়িতে নিয়ে যায় পুলিশ এবং খোকন মোল্লার স্ত্রীর সাথে রফাদফার চেষ্টা করে। এসময় খবর পেয়ে খোকন মোল্লার ভাই স্থানীয় কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা উপস্থিত হন এবং মাদকের আসামীকে না ছাড়ার জন্য চেচামেচি শুরু করেন। পরে পুলিশ খোকন মোল্লা এবং তার সহযোগী রিপন মিয়াকে থানায় নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে নাসিক ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আটককৃত দুই আসামীকে পুলিশ সিএনজিতে করে তার বাসার সামনে নিয়ে আসে। আমি খবর পেয়ে গিয়ে বলেছি মাদকের আসামীকে এখানে কেন এনেছে, তাদের থানায় কেন নিয়ে যাচ্ছেনা। মাদকের বিষয়ে কোন ছাড় নেই। মাদকের আসামীকে ছাড় দেওয়া যাবেনা। সে যে-ই হোক। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক। পরে পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, মাদকের আসামীকে বাসার সামনে এনে পরিবারের সাথে কথা বলার উদ্দেশ্য রহস্যজনক। নিশ্চই এখানে কোন অসৎ উদ্দেশ্য ছিল। তাছাড়া খোকন মোল্লার স্ত্রী নাহিদা এবং তার শ্যালক সোহাগ এলাকায় মূল মাদক ব্যবসায়ী। খোকন মাদকাসক্ত, তাকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে তার স্ত্রী নাহিদা ও শ্যালক সোহাগ মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। কিছুদিন পূর্বে আমি ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি। বিপরীতে ওরা আমার চাচা মহিউদ্দিন মোল্লার বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে আসে আমাকে দেখে নিবে। আমি অতীতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছেও লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। খোকন মোল্লার স্ত্রী টাকার বিনিময়ে হয়তো ছাড়িয়ে রাখার চেষ্টা করেছিল। আমি দাবি করছি, দ্রুত খোকন মোল্লার স্ত্রী নাহিদা আক্তার ও শ্যালক সোহাগকে আইনের আওতায় আনা হোক। সর্বোপরি আমার পক্ষ থেকে পুলিশকে অনেক অনেক ধন্যবাদ মাদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য। আমি আশাবাদী আমার ওয়ার্ড সহ প্রত্যেক এলাকায় এইভাবে মাদক সেবনকারি ও মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনা হবে এবং মাদকমুক্ত সমাজ গড়ে তোলা হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন