বাঘৈর আইডিয়াল কেজি স্কুলে পিঠা উৎসব
- আপলোড সময় : ০২:০৪:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ৪৩৫ বার পড়া হয়েছে
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বাঘৈর আইডিয়াল কেজি স্কুলে নানা আয়োজনে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।আজ মঙ্গলবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে স্কুল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে এই উৎসব আয়োজন করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদেরকে দেশের ঐতিহ্যের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে বাঘৈর আইডিয়াল কেজি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে এই কার্যক্রম আয়োজন করা হয়। দেশী বাহারি পিঠার স্বাদ নেয়ার পাশাপাশি প্রদর্শনীর মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের দেশীয় সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করানো হয়।
পিঠা উৎসব উপলক্ষে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবকদের আগমনে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ মিলন মেলায় পরিণত হয়। আনন্দ উল্লাসে আর হই-হল্লা করে সকল থেকে বিকাল পযন্ত অনুষ্ঠানটি পালন করা হয় । ছাত্র-ছাত্রীদের আবৃতি, গান, ও নাচের মাধ্যমে পিঠা উৎসবে আসা অথিতিদের মুগ্ধ করে।
পিঠা উৎসবে পৃথক স্টলে ছিল ভাপাপুলি, দুধপুলি, আওলা কেশরি, পুলি, ঝিনুক, পাটিসাপটা, জামাই সোহাগী, গোলাপ, চিতই, কানমুচরি, পায়েস, পুডিং, তেল পিঠা, দুধ চিতই, ফুল পিঠা, ক্ষির, মুঠা পিঠা, রস গোলাপ ও কেকসহ অর্ধশতাধিক পিঠাপুলি।
পিঠা উৎসবের উদ্বোধনকালে তেঘরিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার শামীম আহম্মেদ সায়েম বলেন, ‘পিঠা খাওয়ার দাওয়াতের প্রচলন এদেশের গ্রাম্য সংস্কৃতির অংশ। শীতের সকালে এক বাড়িতে পিঠা বানিয়ে পাড়ার মানুষকে খাওয়ানো এখনো গ্রামের রীতি। আত্মীয়-স্বজনকে দাওয়াত দিয়ে কিংবা প্রতিবেশীদের আপ্যায়নে পিঠার বেশ কদর রয়েছে বাংলাদেশে। মা-বোনদের হাতে বানানো পিঠার স্বাদ যেমনটা মধুর তেমনি মধু মাখা তাদের হাসি মানুষের মাঝে প্রাণের সঞ্চার। আমরা আমাদের এই ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের এই সংস্কৃতি সম্পর্কে জানাতে প্রতি বছর পিঠা উৎসবের আয়োজন করতে হবে।
এছাড়াও জুনায়েদ আহম্মেদ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের স্কুল এতো সুন্দর একটা আয়োজন করেছে। এখানে অনেক রকম পিঠার সাথে পরিচিত হলাম। নতুন নতুন পিঠা খেলাম। অনেক ভালো লাগছে।’
পঞ্চম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রথম বারের মতো আমাদের স্কুল এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে। ক্লাসরুমের বাহিরে এমন আয়োজন আমাদের অনেক বেশি মুগ্ধ করে।’
আয়েশা আক্তার নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘সন্তানদেরকে নিয়ে এসেছি। আমার দুই সন্তান এই স্কুলে পড়ে। তারা অনেক আনন্দ করছে। দেখে অনেক ভালো লাগছে।
এসময় বাঘৈর আইডিয়াল কেজি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোফাজ্জল হোসেন মোহন বলেন, এখনকার বাচ্চার পিঠার সংস্কৃতি ভুলতে বসেছে এমন একটা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ছেলে-মেয়েরা বাঙালি সংস্কৃতির অনেকটা কাছাকাছি যেতে পারবে বলে মনে করি।প্রতিবছরও আমাদের এই আয়োজন চলবে।