বিদ্যুৎ কখন আসে আর কখন যায়, বলা দুষ্কর!
- আপলোড সময় : ০৫:৩৬:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪
- / ৬৬৮ বার পড়া হয়েছে
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে নাকাল এ এলাকার হাজার হাজার গ্রাহক। এমন পরিস্থিতিতে রোজা রেখে গরমে অতিষ্ঠ মানুষ রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারছে না। তীব্র দাবদাহে শুকিয়ে যাচ্ছে খেতের ফসল, ব্যাঘাত ঘটছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ অফিস-আদালতের নিয়মিত কার্যক্রম।
দেশের পূর্বাঞ্চলে বুধবার (৩ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমন লোডশেডিংয়ে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে শিশু এবং বৃদ্ধদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন এবং গ্রাম পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গ্রামে বিদ্যুৎ কখন আসে আর কখন যায়, তা বলা দুষ্কর। প্রচণ্ড গরমে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে ইফতার ও তারাবির নামাজে রোজাদার ও মুসল্লিরা পোহাচ্ছে অসহনীয় অস্বস্তি।
হাসনাবাদ ইউনিয়নের ব্যবসায়ি জসিম উদ্দিন জানান, গত এক মাস ধরে বিদ্যুতের লোডশেডিং মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। দিনরাত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১০ বার বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন এই ভুক্তভোগী। পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সংকটে হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনিক কার্যক্রমেও তৈরি হয়েছে অচলাবস্থা। এর প্রভাব পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যেও। সন্ধ্যার পর রোজাদারদের ইফতারেও পড়তে হচ্ছে চরম অস্বস্তিতে। বিশেষ করে তারাবির নামাজের সময় চরম বিড়ম্বনায় পড়ছে মুসুল্লিরা।
উপজেলার আশিয়াদারী গ্রামের বাসিন্দা ফারুক মিয়া, ফিরোজ খান, রায়হান চৌধুরী, শামীম আনম সহ আরো অনেকে জানান, বিদুৎ একবার গেলে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা বিদ্যুতের আর দেখা মেলে না। দিনে কিছু সময় থাকলেও রাতে বিদ্যুৎ বিড়ম্বনায় এলাকার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ গত কয়েক দিন থেকে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।
লোডশেডিংয়ে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির বিষয়ে উল্লেখ কওে এ বিষয়ে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪ এর মনোহরগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম নীল মধাব বণিক বলেন, পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে বিদ্যুতের চাহিদা আরো বেড়ে গেছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ^াস দেন।