ঢাকা ০৪:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে সন্ত্রাসী হামলা, পুলিশের অভিযানে আটক ১১

মল্লিক মোঃ জামান (জেলা প্রতিনিধি বাগেরহাট)
মল্লিক মোঃ জামান (জেলা প্রতিনিধি বাগেরহাট)
  • আপলোড সময় : ০৫:৩২:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪৮০ বার পড়া হয়েছে

বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলায় এক আনসার সদস্যসহ ৫ নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছেন।
হামলা চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আশাবুল গাজী (২০) নামে এক ডাকাতকে আটক করেছে আনসার সদস্যরা।
আনসার ব্যাটারিয়ন-৩ এর পরিচালক মোল্লা আবু সাইদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভ্যন্তরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহত আনসার সদস্য ও গুলিবিদ্ধ ডাকাতকে খুলনা ও চার নিরাপরাপত্তা কর্মীকে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও জানান, বুধবার রাতে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেটারিয়াল ইয়ার্ড এর ৩ নম্বর টাওয়ারের পাশ থেকে ৩০-৪০ জনের একটি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল চুরির উদ্দেশ্যে প্রবেশ করে। তাদের প্রবেশের পথে নিরাপত্তাকর্মীরা বাধা দিলে তারা নিরাপত্তাকর্মীদের উপর হামলা চালায়। ঘটনার খবর পেয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নিয়োজিত আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যরা চোরদের ধাওয়া করে। এসময় চক্রের সদস্যরা আনসারদের উপর হামলা করলে নিরাপত্তার স্বার্থে আনসার সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। এ সময় ওই চক্রের আশাবুল গাজী নামে এক সদস্য গুলিবিদ্ধ হলে চক্রের অন্য সদস্যরা পালিয়ে যায়। চক্রটির হামলায় সেন্ট্রি সিকিউরিটি সুপারভাইজার আকরাম, সাইদুল ইসলাম, মিন্টু বৈরাগী, ব্রজেন মন্ডল ও আনসার সদস্য কামাল পাশা আহত হন। আহতদের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাময় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এ হামলার ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ১১ জনকে আটক করছে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বেলা এগারোটায় বাগেরহাট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেলুর রহমান। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেলুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে এটি কোন ডাকাতির ঘটনা নয়। চক্রের সদস্যরা মূলত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন ম্যাটেরিয়াল চুরি করতে এসেছিল। ঘটনার পর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত আসামিদের সনাক্ত করে গ্রেফতারের লক্ষ্যে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে সন্ত্রাসী হামলা, পুলিশের অভিযানে আটক ১১

আপলোড সময় : ০৫:৩২:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪

বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলায় এক আনসার সদস্যসহ ৫ নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছেন।
হামলা চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আশাবুল গাজী (২০) নামে এক ডাকাতকে আটক করেছে আনসার সদস্যরা।
আনসার ব্যাটারিয়ন-৩ এর পরিচালক মোল্লা আবু সাইদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভ্যন্তরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহত আনসার সদস্য ও গুলিবিদ্ধ ডাকাতকে খুলনা ও চার নিরাপরাপত্তা কর্মীকে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও জানান, বুধবার রাতে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেটারিয়াল ইয়ার্ড এর ৩ নম্বর টাওয়ারের পাশ থেকে ৩০-৪০ জনের একটি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল চুরির উদ্দেশ্যে প্রবেশ করে। তাদের প্রবেশের পথে নিরাপত্তাকর্মীরা বাধা দিলে তারা নিরাপত্তাকর্মীদের উপর হামলা চালায়। ঘটনার খবর পেয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নিয়োজিত আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যরা চোরদের ধাওয়া করে। এসময় চক্রের সদস্যরা আনসারদের উপর হামলা করলে নিরাপত্তার স্বার্থে আনসার সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। এ সময় ওই চক্রের আশাবুল গাজী নামে এক সদস্য গুলিবিদ্ধ হলে চক্রের অন্য সদস্যরা পালিয়ে যায়। চক্রটির হামলায় সেন্ট্রি সিকিউরিটি সুপারভাইজার আকরাম, সাইদুল ইসলাম, মিন্টু বৈরাগী, ব্রজেন মন্ডল ও আনসার সদস্য কামাল পাশা আহত হন। আহতদের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাময় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এ হামলার ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ১১ জনকে আটক করছে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বেলা এগারোটায় বাগেরহাট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেলুর রহমান। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেলুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে এটি কোন ডাকাতির ঘটনা নয়। চক্রের সদস্যরা মূলত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন ম্যাটেরিয়াল চুরি করতে এসেছিল। ঘটনার পর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত আসামিদের সনাক্ত করে গ্রেফতারের লক্ষ্যে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন