আমতলীতে হিরন হত্যা মামলার প্রধান আসামি নয়ন মৃধা গ্রেপ্তার।
- আপলোড সময় : ১০:২৪:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪
- / ৬১০ বার পড়া হয়েছে
বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার আমতলী সদর ইউনিয়নের নির্বাচনে ভোটারদের মধ্যে টাকা ছড়ানো নিয়ে ১ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রতিদ্বন্দী চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল বাশার নয়ন মৃধাকে প্রধান আসামি করে আমতলী থানায় মামলা রুজু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের স্ত্রী তাসলিমা বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। মামলায় মোট ১৬ জনকে আসামি করা হলে সন্দেহ ভাজন হিসেবে আরো ৪০/৫০ জনকে রাখা হয়েছে।
আমতলী পুলিশ এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত আসামী আবুল বাশার নয়ন মৃধা সহ আরো ৩ জনকে গতকাল রাতে গ্রেপ্তার করেছে। অন্যদের এই মামলার অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সন্দেহ ভাজন আসামিরা হলো ইফতেখার রসুল সোহাগ প্যাদা, মেহেদী হাসান ও গোলাম কিবরিয়া।
মামলার এজাহার ভুক্ত আসামিরা হলো ১. আবুল বাশার নয়ন মৃধা ২. এ জেড এম সালেহ ফারুক পান্নু মৃধা, ৩. আবুল কালাম আজাদ (আরপাংগাশিয়া), ৪. জাহাঙ্গীর সরদার, ৫. সবুজ (চিলা), ৬. মাইনুদ্দিন সরদার, ৭, কাদের সরদার ৮. ইউসুফ সরদার, . ৯.ইব্রাহীম সরদার, ১০ আবু তালেব গাজী, ১১. হিরন মোল্লা (হলদিয়া) ১২. পলাশ হাওলাদার ১৩. হান্নান গাজী, ১৪. কবির হাওলাদার, ১৫. কবির সরদার ও ১৬. শহিদ মেলকার।
পবিত্র ঈদ- উল ফিতরের আগের দিন রাত আনুমানিক ১১টার সময় আমতলী ইউনিয়নের মহিষডাংগা গ্রামে এই নৃশংশ হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয়। নিহত ব্যক্তির নাম হিরন গাজী। তিনি আমতলী সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও বর্তমান প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধার সমর্থক ছিলেন।
বাদী তাসলিমা বেগম এজাহারে উল্লেখ করেন, ঘটনার দিন অভিযুক্ত আসামী আবুল বাশার নয়ন মৃধা তার হাতে থাকা চাইনিজ চাঁকু দিয়ে কুপিয়ে ফুঁসফুস ছিদ্র করায় তার স্বামীর মৃত্যু হয়। তিনি বলেন আসামিদের মহিষডাংগা গ্রামে রাতে প্রবেশকরা নিয়ে ভিকটিম জানতে চাইলে ১ থেকে ৪ নং আসামিদের উস্কানীর কারণে মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের বিভিন্ন স্হানে আঘাতের কারণে তার স্বামী খুন হন।
ঘটনাস্হলে উপস্থিত প্রত্যক্ষ সাক্ষী দেলোয়ার সরদার সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার সময় নিহত হিরন গাজীর নেতৃত্বে তারা একটি দোকানে চা পান করছিলেন। এসময় অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবুল বাশার নয়ন মৃধা সহ ৫০/৬০ লোক এলাকায় ভোটারদের মধ্যে টাকা ছড়াচ্ছে এমন অভিযোগ করে হিরন গাজী। সে ঘটনার এক পর্যায়ে বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হলে হিরন গাজী কে উপর্যুপরি ছুরিকাহত করলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে নিহত হয়। পরে স্হানীয় লোকজন তাকে আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এব্যাপারে আমতলী সদর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাখাওয়াত হোসেন তপু সাংবাদিকদের বলেন নিহত হিরন গাজীর লাশ আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে পেয়ে সুরতহাল শেষে বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে রাতে নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ১৬ জনকে ও ৪৯/৫০ অজ্ঞাত নাম দিয়ে অভিযোগ করলে প্যানেল কোড ১৪৩,৩০২ ও ৩৪ ধারায় আমতলী থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এ ঘটানায় প্রধান আসামি সহ অজ্ঞতার আমার তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছ। তাদেরকে আজ আদালতের মাধ্যমে জলে হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনার আসামি ও জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে।