ঢাকা ১২:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সোনারগাঁয়ে অন্যায্য মালিকানা দাবির মামলায় জিতল ‘মমিনুল মোমেন শিকদার’

মোঃ ফাহাদুল ইসলাম শরীফ (সোনারগাঁ প্রতিনিধি)
মোঃ ফাহাদুল ইসলাম শরীফ (সোনারগাঁ প্রতিনিধি)
  • আপলোড সময় : ০৬:২৪:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মে ২০২৪
  • / ৩৯৮ বার পড়া হয়েছে

সোনারগাঁয়ে সুনামধন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কলাপাতা রেস্টুরেন্টসহ আরো তিনটি প্রতিষ্ঠান নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে একটি কুচক্রী মহল, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন অনেয্য দাবিদার নানান বিতর্কিত জামাত শিবিরের এজেন্ট লোভী ও অর্থ পাচারকারী মহসিন উল ইসলাম। মজার বিষয় হল, ভুয়া অংশিদার দাবি করে মামলা করলে অন্যায্য দাবিটি খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। তাতেও তিনি ক্ষ্যান্ত হননি নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংস করার লক্ষ্যে নানা কলা কৌশল অবলম্বন করছে। শুধু তাই নয় ব্যবহার করছে স্থানীয় বিএনপির জামাতের নৈরাজ্য বাহিনী। যাদের কোর্ট আদালত থানা পুলিশের কাছে শতাধিক মামলা রয়েছে। নিরুপায় প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক রেস্টুরেন্টের স্বত্ত¡ধিকারী মমিনুল মোমেন সিকদার সাংবাদিকদের বলেন, প্রবাসী রেমিট্যান্স দিয়ে বৈধভাবে পারিবারিক ঐতিহ্যকে ধারণ করে ২০১০ সাল থেকে সোনারগাঁওয়ের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা বাস স্ট্যান্ডে কলাপাতা রেস্টুরেন্ট, মিঠাই সুইটস এন্ড বেকারী, কেকস এন্ড বেকস ও বার্গার কুইন নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে আসছি। কিন্তু আমার ব্যবসায়ী সাফল্য ও খ্যাতির লোভে পরে সুনামক্ষুন্ন করতে আমারই ভাই মহসিন উল ইসলাম আদালতে মিথ্যা মামলা করার পাঁয়তারা করছেন। বিভিন্ন সময় আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও কর্মচারীদের ওপর ওনির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। তাদের হামলা ও নির্যাতনের কারণে প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের নিয়ে সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা পরিচালনায় বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছি। যেখানে মাননীয় জননেত্রী শেখ হাসিনা ব্যবসায়ীদের সুষ্ঠু ব্যবসা পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতা ও চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের বিঘ্ন ঘটালে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীদের সজাগ থাকার কঠুর নির্দেশনা প্রদান করেন।

জানা যায়, মুকুল একজন প্রতারক যা তার এনআইডি কার্ড ও দলিলাদি পর্যালোচনা করলে দেশের আইন প্রসাশন বোঝতে পারবে। যিনি তার মামলা ক্ষেত্রে ভুয়া নাম ব্যবহার করছেন, মহাসিন মুকুল সিকদার, অথচ তার ন্যাশনাল আইডি কার্ডে ব্যবহারিতো নাম মহসিন উল ইসলাম। দেশের জনগণ বিচারের দাবিতে যে কোর্ট আদালত ব্যবহার করে থাকেন জালিয়াত মহসিন উল ইসলাম সে আদালতকে বিভ্রান্তিতে ফেলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। কোর্ট আদালত অর্থলোভী জালিয়াতি মহসিন উল ইসলামের অন্যায্য উদ্দেশ্যমূলক ভুয়া অংশীদারী দাবি হারিস করে দেন।

এছাড়াও মোমেন শিকদার আরো জানায়,

মহসিনুল ইসলাম একজন অর্থলোভী অন্যের পরচানায় আমার স্বনামধন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে নানা রকম মিথ্যা হামলা মামলা ও নানা কৌশল অবলম্বন করে যাচ্ছে আমি তার বিরুদ্ধে আমার ম্যানাজার শরীফের মাধ্যমে আমি প্রবাসী হওয়ায় গত ২৩/০১/২০২৪ তারিখে সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ করি। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি ও আমার প্রতিষ্ঠানের সাহায্য সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করছি। যাতে করে সফল ব্যবসায়ীদের সফলতার জন্য এই সমস্ত অর্থলোভীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, মহসিন উল ইসলাম নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মৌসুমী বাইন হীরার আদালতে গত ১৩মার্চ ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৫ ধারায় মমিনুল হক মোমেন সিকদারের বিরুদ্ধে মামলা করেন তারই আপন ভাই মহসিন মুকুল সিকদার। পরে জেলা অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট মৌসুমী বাইন হীরা আদেশনামায় জানান, কলাপাতা রেস্টুরেন্ট, মিঠাই সুইটস এন্ড বেকারী, কেকস এন্ড বেকস ও বার্গার কুইন নামে ৪ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চুক্তিনামাসূত্রে বিবাদী মহসীন মুকুল সিকদার জোরপূর্বক বাদি মমিনুল মোমেন সিকদারকে বেদখল করার চেষ্টা করছে।
দাখিলকৃত কাগজপত্র ও মামলার আরজিতে রেস্টুরেন্ট ও বেকারী অরেজিষ্ট্রিকৃত তিশত টাকা মূল্যের চুক্তিনামা দলিলের মাধ্যমে মালিকানা দাবি করা হয়েছে। কিন্তু নালিশা সম্পত্তি মৌজা, খতিয়ান, দাগ বা চৌহদ্দি কোন কিছুই তফসিলে উল্লেখ্য না থাকায় মামলার আবেদনটি বাতিল করা হলো।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সোনারগাঁয়ে অন্যায্য মালিকানা দাবির মামলায় জিতল ‘মমিনুল মোমেন শিকদার’

আপলোড সময় : ০৬:২৪:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মে ২০২৪

সোনারগাঁয়ে সুনামধন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কলাপাতা রেস্টুরেন্টসহ আরো তিনটি প্রতিষ্ঠান নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে একটি কুচক্রী মহল, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন অনেয্য দাবিদার নানান বিতর্কিত জামাত শিবিরের এজেন্ট লোভী ও অর্থ পাচারকারী মহসিন উল ইসলাম। মজার বিষয় হল, ভুয়া অংশিদার দাবি করে মামলা করলে অন্যায্য দাবিটি খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। তাতেও তিনি ক্ষ্যান্ত হননি নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংস করার লক্ষ্যে নানা কলা কৌশল অবলম্বন করছে। শুধু তাই নয় ব্যবহার করছে স্থানীয় বিএনপির জামাতের নৈরাজ্য বাহিনী। যাদের কোর্ট আদালত থানা পুলিশের কাছে শতাধিক মামলা রয়েছে। নিরুপায় প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক রেস্টুরেন্টের স্বত্ত¡ধিকারী মমিনুল মোমেন সিকদার সাংবাদিকদের বলেন, প্রবাসী রেমিট্যান্স দিয়ে বৈধভাবে পারিবারিক ঐতিহ্যকে ধারণ করে ২০১০ সাল থেকে সোনারগাঁওয়ের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা বাস স্ট্যান্ডে কলাপাতা রেস্টুরেন্ট, মিঠাই সুইটস এন্ড বেকারী, কেকস এন্ড বেকস ও বার্গার কুইন নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে আসছি। কিন্তু আমার ব্যবসায়ী সাফল্য ও খ্যাতির লোভে পরে সুনামক্ষুন্ন করতে আমারই ভাই মহসিন উল ইসলাম আদালতে মিথ্যা মামলা করার পাঁয়তারা করছেন। বিভিন্ন সময় আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও কর্মচারীদের ওপর ওনির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। তাদের হামলা ও নির্যাতনের কারণে প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের নিয়ে সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা পরিচালনায় বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছি। যেখানে মাননীয় জননেত্রী শেখ হাসিনা ব্যবসায়ীদের সুষ্ঠু ব্যবসা পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতা ও চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের বিঘ্ন ঘটালে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীদের সজাগ থাকার কঠুর নির্দেশনা প্রদান করেন।

জানা যায়, মুকুল একজন প্রতারক যা তার এনআইডি কার্ড ও দলিলাদি পর্যালোচনা করলে দেশের আইন প্রসাশন বোঝতে পারবে। যিনি তার মামলা ক্ষেত্রে ভুয়া নাম ব্যবহার করছেন, মহাসিন মুকুল সিকদার, অথচ তার ন্যাশনাল আইডি কার্ডে ব্যবহারিতো নাম মহসিন উল ইসলাম। দেশের জনগণ বিচারের দাবিতে যে কোর্ট আদালত ব্যবহার করে থাকেন জালিয়াত মহসিন উল ইসলাম সে আদালতকে বিভ্রান্তিতে ফেলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। কোর্ট আদালত অর্থলোভী জালিয়াতি মহসিন উল ইসলামের অন্যায্য উদ্দেশ্যমূলক ভুয়া অংশীদারী দাবি হারিস করে দেন।

এছাড়াও মোমেন শিকদার আরো জানায়,

মহসিনুল ইসলাম একজন অর্থলোভী অন্যের পরচানায় আমার স্বনামধন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে নানা রকম মিথ্যা হামলা মামলা ও নানা কৌশল অবলম্বন করে যাচ্ছে আমি তার বিরুদ্ধে আমার ম্যানাজার শরীফের মাধ্যমে আমি প্রবাসী হওয়ায় গত ২৩/০১/২০২৪ তারিখে সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ করি। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি ও আমার প্রতিষ্ঠানের সাহায্য সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করছি। যাতে করে সফল ব্যবসায়ীদের সফলতার জন্য এই সমস্ত অর্থলোভীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, মহসিন উল ইসলাম নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মৌসুমী বাইন হীরার আদালতে গত ১৩মার্চ ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৫ ধারায় মমিনুল হক মোমেন সিকদারের বিরুদ্ধে মামলা করেন তারই আপন ভাই মহসিন মুকুল সিকদার। পরে জেলা অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট মৌসুমী বাইন হীরা আদেশনামায় জানান, কলাপাতা রেস্টুরেন্ট, মিঠাই সুইটস এন্ড বেকারী, কেকস এন্ড বেকস ও বার্গার কুইন নামে ৪ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চুক্তিনামাসূত্রে বিবাদী মহসীন মুকুল সিকদার জোরপূর্বক বাদি মমিনুল মোমেন সিকদারকে বেদখল করার চেষ্টা করছে।
দাখিলকৃত কাগজপত্র ও মামলার আরজিতে রেস্টুরেন্ট ও বেকারী অরেজিষ্ট্রিকৃত তিশত টাকা মূল্যের চুক্তিনামা দলিলের মাধ্যমে মালিকানা দাবি করা হয়েছে। কিন্তু নালিশা সম্পত্তি মৌজা, খতিয়ান, দাগ বা চৌহদ্দি কোন কিছুই তফসিলে উল্লেখ্য না থাকায় মামলার আবেদনটি বাতিল করা হলো।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন