ঢাকা ০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাধবদীতে ভাড়া করা ডাকাত দিয়ে স্বামী হত্যা চেষ্টার অভিযোগ ও প্রমাণ পাওয়ার ১৫ দিন পরও মামলা নিচ্ছেনা পুলিশ

রফিকুল ইসলাম রানা (নিজস্ব প্রতিবেদক)
রফিকুল ইসলাম রানা (নিজস্ব প্রতিবেদক)
  • আপলোড সময় : ০৭:০৫:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪
  • / ৩১৪ বার পড়া হয়েছে

নরসিংদীর মাধবদীতে রাসেল (৩০) কে হত্যা চেষ্টাকারী চক্র ও হত্যা কান্ডের জন্য চুক্তিকারী স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও আসামী পক্ষের সহিত আঁতাত করে মাধবদী থানা, জেলা নরসিংদী এর ওসি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ও এস আই শাহ আলমের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ২৫ এপ্রিল ঘটনাটি মাধবদী থানার কল্যাণপুর এলাকায় ঘটার পর এ বিষয়ে ঘটনার পরদিন ২৬ এপ্রিল মাধবদী থানায় রাসেল নিজে বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে অভিযোগের তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলেও দুই সপ্তাহেও মামলা রেকর্ড করেনি পুলিশ। এ ব্যাপারে ভিকটিম রাসেল পুলিশের মহা পরিদর্শক ( আইজিপি) বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিবেন বলেও জানান।

ভিকটিম রাসেল মাধবদী থানার কল্যাণপুর ( বলরামপুর) গ্রামের রূপ মিয়ার ছেলে। তিনি সাংবাদিকদেরকে জানান, ওই দিন দিবাগত রাত ১০ টায় আমি খাওয়া দাওয়া সেড়ে পরিবার পরিজন নিয়ে শয়ণ কক্ষে শুয়ে নিদ্রা যাপন করি। রাত অনুমান ৩ টার দিকে আমার শয়ণ কক্ষে লোকজনের উপ¯ি’তি টের পেয়ে সজাগ হওয়া মাত্র অজ্ঞাত ৭/৮ জন মুখোশ পরিহিত দুর্বৃত্ত আমাকে মুখের ভিতরে একটি শর্ট পেন্ট গূঁজে দিয়া হাত পা ও মুখ কাপড় দিয়ে বেঁধে ফেলে এবং ধারালো দা, ছুরি দিয়ে অতর্কিত ভাবে আমাকে আঘাত করতে থাকে। দূর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আমার বাম কানের অনেক অংশ কেটে রক্তাক্ত আহত করে এবং আমার উক্ত কানের এক অংশ বি”িছন্ন হয়ে কানের সাথে ঝুলে থাকে। দূর্বৃত্তদের অপর একটি আঘাত আমার ডান গালে লেগে আমার গালে রক্তাক্ত ও গুরুতর কাটা জখমে আহত হই। দূর্বৃত্তরা লোহার রড ও পাইপ দিয়া আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দেহের বিভিন্ন ¯’ানে অনবরত পিটিয়ে নীলা কালা ফুলা জখমে আহত করে। পরে দূবৃত্তরা আমার একটি বাটন মোবাইল ফোন সিম নং- ০১৮৭৭৬৭২২৬৬, ছিনিয়ে নেয়। দূর্বৃত্তরা আমার মৃত্যু নিশ্চিৎ করার জন্য আমার সমস্ত শরীর হাত-পা ও মুখ সহ লেপ পেঁচাইয়া ফেলে রেখে খোলা কেঁচি গেইট দিয়ে বের হয়ে যায়। দূর্বৃত্তরা আমার ঘর থেকে বের হয়ে চলে যাওয়ার সময় পাশের পাওয়ারলুম করাখানা থেকে বের হয়ে বাড়ীতে আসার সময় পাশের বাড়ীর দূর্বত্তদের সামনে পড়লে দূর্বত্তরা তাকে তাড়া করে। ইসমাইলের ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এসে জড়ো হয় এবং আমার শরীর থেকে মোড়ানো লেপ ও আমার হাত পা ও মুখের বাঁধন মুক্ত করে। পরে আমি আমার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার (২৫) কে জিজ্ঞাসা করি যে, আমি দরজার ছিটকিনি বন্ধ করিয়া শুইলাম, তা হলে দূর্বৃত্তরা দরজা খোলা পেল কি ভাবে। এই পশ্নের উত্তরে আমার স্ত্রীর কথা বার্তা অসংলগ্ন হওয়ায় আমি তাহাকে সন্ধিগ্ধ অভিযুক্ত করে মাধবদী থানায় ২৬ এপ্রিল একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওসি কামরুজ্জামানের নির্দেশে এস আই শাহ আলম ঘটনা¯’ল পরিদর্শণ করেন এবং আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে তাহার এই ঘটনার সাথে সমপৃক্ততার কথা স্বীকার করে। পরে আমরা পারিবারিক ভাবে আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আমার স্ত্রী স্বীকার করে যে, আমাকে হত্যা করার জন্য সে নিজে ী এলাকার চি‎িহ্নত সন্ত্রাসী ও কূখ্যাত ডাকাত আব্দুল্লাকান্দি গ্রামের সম্রাট (৩০ কে আমার স্ত্রীর আট আনা ওজনের স্বর্ণের একটি চেইন এর বিনিময়ে আমাকে হত্যা করার জন্য ভাড়া করে এ কান্ড ঘটিয়েছে। আমার স্ত্রীর জবানবন্দীর অডিও রেকর্ড থানায় জমা দেয়া আছে। কিš‘ অভিযোগ দেয়ার পর সমস্ত ঘটনার সত্যতার প্রমাণ থাকা সত্যেও মাধবদী থানার ওসি এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই শাহ আলম বিবাদীপক্ষের সহিত আঁতাত করে আমার অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা রেকর্ড করছে না ।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এস আই শাহ আলমের সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি কথা বলতে অনিহা প্রকাশ করেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মাধবদীতে ভাড়া করা ডাকাত দিয়ে স্বামী হত্যা চেষ্টার অভিযোগ ও প্রমাণ পাওয়ার ১৫ দিন পরও মামলা নিচ্ছেনা পুলিশ

আপলোড সময় : ০৭:০৫:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

নরসিংদীর মাধবদীতে রাসেল (৩০) কে হত্যা চেষ্টাকারী চক্র ও হত্যা কান্ডের জন্য চুক্তিকারী স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও আসামী পক্ষের সহিত আঁতাত করে মাধবদী থানা, জেলা নরসিংদী এর ওসি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ও এস আই শাহ আলমের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ২৫ এপ্রিল ঘটনাটি মাধবদী থানার কল্যাণপুর এলাকায় ঘটার পর এ বিষয়ে ঘটনার পরদিন ২৬ এপ্রিল মাধবদী থানায় রাসেল নিজে বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে অভিযোগের তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলেও দুই সপ্তাহেও মামলা রেকর্ড করেনি পুলিশ। এ ব্যাপারে ভিকটিম রাসেল পুলিশের মহা পরিদর্শক ( আইজিপি) বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিবেন বলেও জানান।

ভিকটিম রাসেল মাধবদী থানার কল্যাণপুর ( বলরামপুর) গ্রামের রূপ মিয়ার ছেলে। তিনি সাংবাদিকদেরকে জানান, ওই দিন দিবাগত রাত ১০ টায় আমি খাওয়া দাওয়া সেড়ে পরিবার পরিজন নিয়ে শয়ণ কক্ষে শুয়ে নিদ্রা যাপন করি। রাত অনুমান ৩ টার দিকে আমার শয়ণ কক্ষে লোকজনের উপ¯ি’তি টের পেয়ে সজাগ হওয়া মাত্র অজ্ঞাত ৭/৮ জন মুখোশ পরিহিত দুর্বৃত্ত আমাকে মুখের ভিতরে একটি শর্ট পেন্ট গূঁজে দিয়া হাত পা ও মুখ কাপড় দিয়ে বেঁধে ফেলে এবং ধারালো দা, ছুরি দিয়ে অতর্কিত ভাবে আমাকে আঘাত করতে থাকে। দূর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আমার বাম কানের অনেক অংশ কেটে রক্তাক্ত আহত করে এবং আমার উক্ত কানের এক অংশ বি”িছন্ন হয়ে কানের সাথে ঝুলে থাকে। দূর্বৃত্তদের অপর একটি আঘাত আমার ডান গালে লেগে আমার গালে রক্তাক্ত ও গুরুতর কাটা জখমে আহত হই। দূর্বৃত্তরা লোহার রড ও পাইপ দিয়া আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দেহের বিভিন্ন ¯’ানে অনবরত পিটিয়ে নীলা কালা ফুলা জখমে আহত করে। পরে দূবৃত্তরা আমার একটি বাটন মোবাইল ফোন সিম নং- ০১৮৭৭৬৭২২৬৬, ছিনিয়ে নেয়। দূর্বৃত্তরা আমার মৃত্যু নিশ্চিৎ করার জন্য আমার সমস্ত শরীর হাত-পা ও মুখ সহ লেপ পেঁচাইয়া ফেলে রেখে খোলা কেঁচি গেইট দিয়ে বের হয়ে যায়। দূর্বৃত্তরা আমার ঘর থেকে বের হয়ে চলে যাওয়ার সময় পাশের পাওয়ারলুম করাখানা থেকে বের হয়ে বাড়ীতে আসার সময় পাশের বাড়ীর দূর্বত্তদের সামনে পড়লে দূর্বত্তরা তাকে তাড়া করে। ইসমাইলের ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এসে জড়ো হয় এবং আমার শরীর থেকে মোড়ানো লেপ ও আমার হাত পা ও মুখের বাঁধন মুক্ত করে। পরে আমি আমার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার (২৫) কে জিজ্ঞাসা করি যে, আমি দরজার ছিটকিনি বন্ধ করিয়া শুইলাম, তা হলে দূর্বৃত্তরা দরজা খোলা পেল কি ভাবে। এই পশ্নের উত্তরে আমার স্ত্রীর কথা বার্তা অসংলগ্ন হওয়ায় আমি তাহাকে সন্ধিগ্ধ অভিযুক্ত করে মাধবদী থানায় ২৬ এপ্রিল একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওসি কামরুজ্জামানের নির্দেশে এস আই শাহ আলম ঘটনা¯’ল পরিদর্শণ করেন এবং আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে তাহার এই ঘটনার সাথে সমপৃক্ততার কথা স্বীকার করে। পরে আমরা পারিবারিক ভাবে আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আমার স্ত্রী স্বীকার করে যে, আমাকে হত্যা করার জন্য সে নিজে ী এলাকার চি‎িহ্নত সন্ত্রাসী ও কূখ্যাত ডাকাত আব্দুল্লাকান্দি গ্রামের সম্রাট (৩০ কে আমার স্ত্রীর আট আনা ওজনের স্বর্ণের একটি চেইন এর বিনিময়ে আমাকে হত্যা করার জন্য ভাড়া করে এ কান্ড ঘটিয়েছে। আমার স্ত্রীর জবানবন্দীর অডিও রেকর্ড থানায় জমা দেয়া আছে। কিš‘ অভিযোগ দেয়ার পর সমস্ত ঘটনার সত্যতার প্রমাণ থাকা সত্যেও মাধবদী থানার ওসি এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই শাহ আলম বিবাদীপক্ষের সহিত আঁতাত করে আমার অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা রেকর্ড করছে না ।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এস আই শাহ আলমের সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি কথা বলতে অনিহা প্রকাশ করেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন