ঢাকা ০৯:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউপি সদস্যকে নারী দিয়ে জিম্মি করে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি : ৬ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপলোড সময় : ১১:১১:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪
  • / ৩০৫ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জ বন্দরের মালিভিটা গ্রামে এক ইউপি সদস্যকে অনৈতিকভাবে জিম্মি করে সিনেমা ষ্টাইলে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৪ মে বিভিন্ন পত্রিকায় ইউপি সদস্য কর্তৃক নারীকে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ এনে একটি ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করা ইউপি সদস্য হাজী মোঃ সফর উদ্দিনের বিরুদ্ধে। ওই সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করাকে কেন্দ্র করে কথিত সাংবাদিক পরিচয়কারীরা ইউপি সদস্য সফর উদ্দিনের সাথে শত্রুতা শুরু করে।

এরপর থেকে শুরু হয় ইউপি সদস্যকে ফাঁসানোর কুপরিকল্পনা। ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী একজন নারীকে টাকা বিনিময়ে ভাড়া করে জোড়পুর্বক আপত্তির দৃশ্য ধারণ করে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে ২ লক্ষ ২৫ হাজার দেন ওই মেম্বার। তারপর আবারো ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে তারা। এরপর ৭ জনকে বিবাদী করে নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতে মামলা দায়ের করেন ওই গ্রামের মৃত শমসের আলীর ছেলে ডামগড় ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার হাজী মোঃ সফর উদ্দিন।
মামলায় আসামী একই উপজেলার কামতাল গ্রামের মাহমুদ আলীর ছেলে নুরুজ্জামান (৪২)। অন্যান্য আসামীরা হলেন, কাজীপাড়া গ্রামের আজগর আলীর ছেলে নাছির (৪৮), মালিভিটা গ্রামের মৃত ইয়াকুবের ছেলে মনির (৩৫), ইস্পাহানী গ্রামের আনোয়ার (৪৮), নবীগঞ্জ গ্রামের বিল্লাল (৩২), চিড়াইপাড়া গ্রামের বাবুল মিস্ত্রির ছেলে শুভ (৩২) ও মদনপুর গ্রামের পানুর স্ত্রী সীমা আক্তার ওরফে মনি আক্তার (২০)।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, বাদী একজন রানিং জনপ্রিয় মেম্বার। তিনি একজন ব্যবসায়ী এবং তার ফ্যাক্টরীর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা সরকারকে ট্যাক্স প্রদান করেন। বাদী তার এলাকায় বিগত ২৫ বছরের প্রতিদন্দ্বীকে হারিয়ে নির্বাচিত হওয়ায় এবং সমাজে অত্র বাদীর অনেক জনপ্রিয়তা রয়েছে। সাবেক মেম্বার ও চেয়ারম্যানগন অত্র বাদীর পিছু লাগে এবং যে কোন কৌশলে বাদীকে সমাজের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেন। অত্র মামলার বিবাদীগন বাদীর পাশাপাশি এলাকার বসবাস করে বিভিন্ন সহজ সরল মানুষের জমি জোর পূর্বক দখল করে নেন উল্টা মানুষকে নির্যাতন ও সাংবাদিকতার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে থাকেন। সকল বিবাদীগন অর্থের লোভে এবং স্থানীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত ১ জানুয়ারী ঢাকার পল্টন এলাকায় বাদীকে প্রতিপক্ষের লোক মনে করে ফাঁসানোর জন্য এবং বাদীর মান-ইজ্জাত নষ্ট করার জন্য পূর্ব পরিকল্পনা করিতে থাকেন।

পরবর্তীতে নির্বাচনী প্রতিপক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এবং বাদীকে ফাঁসিয়ে মোটা অংকের টাকা চাঁদা আদায় করার জন্য সকল বিবাদীগন ভুয়া সাংবাদিকার বলে কু পরিকল্পনা করিয়া একটি মিথ্যা নাটক করেন এবং ৭নং বিবাদী সীমা আক্তারকে ভাড়া করে এনে ক্যামেরার সম্মুখে দাড় করিয়ে বাদীর নামে মিথ্যা অপ-প্রচার করেন এবং মিথ্যা নারী ক্যালেংকারী অভিযোগ এনে ক্যামেরার সম্মুখে মিথ্যা কথা বলার জন্য দাড় করিয়ে ভিডিও ধারন করে। উক্ত ভিডিও দেখিয়ে বাদীকে জিম্মি করে ৩০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে, ভয়- ভীতি দেখিয়ে নগদ ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে নেয় বিবাদীরা এবং একের পর এক মিথ্যার আশ্রয়ে বাদীকে হয়রানী করে সমাজের কাছে ছোট করার চেষ্টা করেন। ৭নং বিবাদী সীমা আক্তার মনি আক্তার কে অত্র বাদী চিনেন না বা দেখেন নাই। ১-৬নং বিবাদীরা কোথায় হইতে ভাড়া করে এনে ক্যামেরার সম্মুখে দাড় করিয়ে বাদীর উপর মানহানিকর বক্তব্য উপস্থাপন করেন এবং ভিডিও ধারন করে বাদীকে জিম্মি করে ৩০ লাখ টাকা ১-৬নং বিবাদীগন দাবী করিলে ১নং বিবাদী নুরুজ্জামান বাদীর নিকট হইতে নগদ ২ লাখ টাকা গ্রহন করেন।
গত ১৩ মে তারিখ আসামী মনির হোসেন সহ অপরাপর আসামীগণ বাদীকে ঢাকা জেলার বায়তুল মোকারম এলাকায় আটক করিয়া পূর্বের দাবীকৃত ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন।

চাঁদা দিতে রাজি না হলে আসামীগণ বাদীকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে সমুদয় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা স্বরূপ ছিনিয়ে নিয়ে যায়। উক্ত চাঁদার টাকা বিগত যাওয়ার ৫/৬ মাস পূর্বে নিয়ে ভিডিও ডিলেট করেছে মর্মে বিবাদীকে আশ্বস্ব করেন। কিন্তু বর্তমানে উক্ত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আরো ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। ঢাকা জেলার পল্টন থানা এলাকায় বাদীর নিকট চাঁদা দাবী করে এবং চাঁদার টাকা গ্রহন করে দন্ডবিধির ৩৮৫/৩৮৬ ধারা শাস্তিযোগ্য অপরাধ সংঘটন হয়েছে বলে মনে করেন ইউপি সদস্য হাজী মোঃ সফর উদ্দিন।

বাদী ইউপি সদস্য হাজী মোঃ সফর উদ্দিন বলেন, বিবাদীরা কোন পত্রিকার সাংবাদিক না হওয়া স্বত্বেও নিজেদের সাংবাদিক বলে প্রচার করেন। আসামীগণ মিথ্যা তথ্য প্রচার করিয়া এইভাবে চাঁদা আদায় করা তাদের পেশা হয়ে দাড়িয়েছে। প্রধান আসামী নুরুজ্জামান সাংবাদিক পরিচয়ে মানুষের জায়গা জমি আত্মসাৎ, নারীদের কাছ থেকে প্রতারণা করে এবং মানুষের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে বেড়ায়। এই নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। সীমা আক্তার নামে এক নারীর ছবি ইডিট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে মানহানি করবে বলেও মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করে। ওই নারী বাদি হয়ে থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এই নুরুজ্জামান সহ তার সঙ্গীদের অত্যাচারে বন্দর এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বলেও জানান তিনি।

বাদী আরও বলেন, তারা নিজেদেরকে সাংবাদিক পরিচয় দেয় কিন্তু তারা প্রকৃতপক্ষে সুষ্ঠু ধারার কোন সাংবাদিক নয়। সাংবাদিকতার পরিচয়ে মানুষকে জিম্মি করে চাঁদাবাজি করে। আমি সমাজে একজন স্বনামধন্য মেম্বার। আমাকে তারা নারী দিয়ে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে চাঁদা নিয়েছে। অথচ ওই নারীকে আমি কখনো চিনি না। আমি আইনের আশ্রয় পাওয়ার জন্য আদালতে মামলা করেছি। আমি বিজ্ঞ আদালতের কাছে সুষ্ঠ বিচার চাই।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইউপি সদস্যকে নারী দিয়ে জিম্মি করে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি : ৬ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা

আপলোড সময় : ১১:১১:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪

নারায়ণগঞ্জ বন্দরের মালিভিটা গ্রামে এক ইউপি সদস্যকে অনৈতিকভাবে জিম্মি করে সিনেমা ষ্টাইলে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৪ মে বিভিন্ন পত্রিকায় ইউপি সদস্য কর্তৃক নারীকে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ এনে একটি ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করা ইউপি সদস্য হাজী মোঃ সফর উদ্দিনের বিরুদ্ধে। ওই সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করাকে কেন্দ্র করে কথিত সাংবাদিক পরিচয়কারীরা ইউপি সদস্য সফর উদ্দিনের সাথে শত্রুতা শুরু করে।

এরপর থেকে শুরু হয় ইউপি সদস্যকে ফাঁসানোর কুপরিকল্পনা। ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী একজন নারীকে টাকা বিনিময়ে ভাড়া করে জোড়পুর্বক আপত্তির দৃশ্য ধারণ করে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে ২ লক্ষ ২৫ হাজার দেন ওই মেম্বার। তারপর আবারো ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে তারা। এরপর ৭ জনকে বিবাদী করে নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতে মামলা দায়ের করেন ওই গ্রামের মৃত শমসের আলীর ছেলে ডামগড় ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার হাজী মোঃ সফর উদ্দিন।
মামলায় আসামী একই উপজেলার কামতাল গ্রামের মাহমুদ আলীর ছেলে নুরুজ্জামান (৪২)। অন্যান্য আসামীরা হলেন, কাজীপাড়া গ্রামের আজগর আলীর ছেলে নাছির (৪৮), মালিভিটা গ্রামের মৃত ইয়াকুবের ছেলে মনির (৩৫), ইস্পাহানী গ্রামের আনোয়ার (৪৮), নবীগঞ্জ গ্রামের বিল্লাল (৩২), চিড়াইপাড়া গ্রামের বাবুল মিস্ত্রির ছেলে শুভ (৩২) ও মদনপুর গ্রামের পানুর স্ত্রী সীমা আক্তার ওরফে মনি আক্তার (২০)।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, বাদী একজন রানিং জনপ্রিয় মেম্বার। তিনি একজন ব্যবসায়ী এবং তার ফ্যাক্টরীর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা সরকারকে ট্যাক্স প্রদান করেন। বাদী তার এলাকায় বিগত ২৫ বছরের প্রতিদন্দ্বীকে হারিয়ে নির্বাচিত হওয়ায় এবং সমাজে অত্র বাদীর অনেক জনপ্রিয়তা রয়েছে। সাবেক মেম্বার ও চেয়ারম্যানগন অত্র বাদীর পিছু লাগে এবং যে কোন কৌশলে বাদীকে সমাজের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেন। অত্র মামলার বিবাদীগন বাদীর পাশাপাশি এলাকার বসবাস করে বিভিন্ন সহজ সরল মানুষের জমি জোর পূর্বক দখল করে নেন উল্টা মানুষকে নির্যাতন ও সাংবাদিকতার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে থাকেন। সকল বিবাদীগন অর্থের লোভে এবং স্থানীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত ১ জানুয়ারী ঢাকার পল্টন এলাকায় বাদীকে প্রতিপক্ষের লোক মনে করে ফাঁসানোর জন্য এবং বাদীর মান-ইজ্জাত নষ্ট করার জন্য পূর্ব পরিকল্পনা করিতে থাকেন।

পরবর্তীতে নির্বাচনী প্রতিপক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এবং বাদীকে ফাঁসিয়ে মোটা অংকের টাকা চাঁদা আদায় করার জন্য সকল বিবাদীগন ভুয়া সাংবাদিকার বলে কু পরিকল্পনা করিয়া একটি মিথ্যা নাটক করেন এবং ৭নং বিবাদী সীমা আক্তারকে ভাড়া করে এনে ক্যামেরার সম্মুখে দাড় করিয়ে বাদীর নামে মিথ্যা অপ-প্রচার করেন এবং মিথ্যা নারী ক্যালেংকারী অভিযোগ এনে ক্যামেরার সম্মুখে মিথ্যা কথা বলার জন্য দাড় করিয়ে ভিডিও ধারন করে। উক্ত ভিডিও দেখিয়ে বাদীকে জিম্মি করে ৩০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে, ভয়- ভীতি দেখিয়ে নগদ ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে নেয় বিবাদীরা এবং একের পর এক মিথ্যার আশ্রয়ে বাদীকে হয়রানী করে সমাজের কাছে ছোট করার চেষ্টা করেন। ৭নং বিবাদী সীমা আক্তার মনি আক্তার কে অত্র বাদী চিনেন না বা দেখেন নাই। ১-৬নং বিবাদীরা কোথায় হইতে ভাড়া করে এনে ক্যামেরার সম্মুখে দাড় করিয়ে বাদীর উপর মানহানিকর বক্তব্য উপস্থাপন করেন এবং ভিডিও ধারন করে বাদীকে জিম্মি করে ৩০ লাখ টাকা ১-৬নং বিবাদীগন দাবী করিলে ১নং বিবাদী নুরুজ্জামান বাদীর নিকট হইতে নগদ ২ লাখ টাকা গ্রহন করেন।
গত ১৩ মে তারিখ আসামী মনির হোসেন সহ অপরাপর আসামীগণ বাদীকে ঢাকা জেলার বায়তুল মোকারম এলাকায় আটক করিয়া পূর্বের দাবীকৃত ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন।

চাঁদা দিতে রাজি না হলে আসামীগণ বাদীকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে সমুদয় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা স্বরূপ ছিনিয়ে নিয়ে যায়। উক্ত চাঁদার টাকা বিগত যাওয়ার ৫/৬ মাস পূর্বে নিয়ে ভিডিও ডিলেট করেছে মর্মে বিবাদীকে আশ্বস্ব করেন। কিন্তু বর্তমানে উক্ত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আরো ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। ঢাকা জেলার পল্টন থানা এলাকায় বাদীর নিকট চাঁদা দাবী করে এবং চাঁদার টাকা গ্রহন করে দন্ডবিধির ৩৮৫/৩৮৬ ধারা শাস্তিযোগ্য অপরাধ সংঘটন হয়েছে বলে মনে করেন ইউপি সদস্য হাজী মোঃ সফর উদ্দিন।

বাদী ইউপি সদস্য হাজী মোঃ সফর উদ্দিন বলেন, বিবাদীরা কোন পত্রিকার সাংবাদিক না হওয়া স্বত্বেও নিজেদের সাংবাদিক বলে প্রচার করেন। আসামীগণ মিথ্যা তথ্য প্রচার করিয়া এইভাবে চাঁদা আদায় করা তাদের পেশা হয়ে দাড়িয়েছে। প্রধান আসামী নুরুজ্জামান সাংবাদিক পরিচয়ে মানুষের জায়গা জমি আত্মসাৎ, নারীদের কাছ থেকে প্রতারণা করে এবং মানুষের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে বেড়ায়। এই নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। সীমা আক্তার নামে এক নারীর ছবি ইডিট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে মানহানি করবে বলেও মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করে। ওই নারী বাদি হয়ে থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এই নুরুজ্জামান সহ তার সঙ্গীদের অত্যাচারে বন্দর এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বলেও জানান তিনি।

বাদী আরও বলেন, তারা নিজেদেরকে সাংবাদিক পরিচয় দেয় কিন্তু তারা প্রকৃতপক্ষে সুষ্ঠু ধারার কোন সাংবাদিক নয়। সাংবাদিকতার পরিচয়ে মানুষকে জিম্মি করে চাঁদাবাজি করে। আমি সমাজে একজন স্বনামধন্য মেম্বার। আমাকে তারা নারী দিয়ে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে চাঁদা নিয়েছে। অথচ ওই নারীকে আমি কখনো চিনি না। আমি আইনের আশ্রয় পাওয়ার জন্য আদালতে মামলা করেছি। আমি বিজ্ঞ আদালতের কাছে সুষ্ঠ বিচার চাই।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন