ঢাকা ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জবি শিক্ষার্থীদের গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট অবরোধ

রাকিবুল হাসান রাকিব (ক্যাম্পাস প্রতিনিধি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়)
রাকিবুল হাসান রাকিব (ক্যাম্পাস প্রতিনিধি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়)
  • আপলোড সময় : ০৪:৩৫:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪
  • / ৩৪৮ বার পড়া হয়েছে

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে এবং কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণা করে গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট মোড় অবরোধ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১০ই জুলাই) দুপুর ৩ টার দিকে ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে মিছিলটি স্লোগান দিতে দিতে রায়সাহেব বাজার হয়ে তাতীবাজার মোড়ের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। পরবর্তীতে তারা গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’ ১৮ এর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার ‘কোটাধারী নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’ স্লোগান দিতে থাকে।

আন্দোলনকারীরা জানায়, আমাদের ১ দফা দাবি মানা না হলে পুরো পুরান ঢাকাকে অচল করে দেব। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে এসে আমাদের কোনো কোটা আন্দোলন করতে হবে। এদেশের মুক্তিযোদ্ধারা বৈষম্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে তাহলে কেন আমাদের আবার কোটার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে। একটা দেশের সরকারি চাকুরিতে যদি ৫৬ শতাংশ কোটা থাকে তাহলে মেধাবীরা মাত্র ৪৪ শতাংশের জন্য লড়াই করবে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী বাপ্পি বলেন, আমরা সর্বোচ্চ ৫% কোটার কথা প্রস্তাব করেছি৷ এক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে৷ কোনোভাবেই নাতিপুতি নামক পোষ্যকোটা ছাত্রসমাজ মানবে না৷ (জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ও সেবা সংক্রান্ত যে কোনো বিষয়ে অধিক সুবিধা দেওয়া প্রয়োজন হলে আমরা সেটিকে শতভাগ সমর্থন করি৷) অন্যান্য কোটাগুলোকে এই মুহূর্তে আমরা বাংলাদেশের পার্সপেক্টিভে প্রাসঙ্গিক মনে করিনা৷

আন্দোলনকারী আরেক শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান বলেন, আমাদের দাবি নির্বাহী বিভাগের কাছে, সরকারের কাছে৷ যখনই সরকার কিংবা নির্বাহী বিভাগ কোনো ত্রুটিমুক্ত নির্বাহী আদেশ বা পরিপত্র জারির মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে কমিশন গঠন করার নির্দেশ দিবেন এবং যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন তখনই আমরা রাজপথ ছেড়ে পড়ার টেবিলে ফিরে আসবো৷

উল্লেখ্য ১০ ই জুলাই বুধবার, সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ। এই আদেশের ফলে সব কোটা পদ্ধতি বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র আপাতত বহাল থাকছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

জবি শিক্ষার্থীদের গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট অবরোধ

আপলোড সময় : ০৪:৩৫:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে এবং কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণা করে গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট মোড় অবরোধ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১০ই জুলাই) দুপুর ৩ টার দিকে ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে মিছিলটি স্লোগান দিতে দিতে রায়সাহেব বাজার হয়ে তাতীবাজার মোড়ের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। পরবর্তীতে তারা গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’ ১৮ এর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার ‘কোটাধারী নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’ স্লোগান দিতে থাকে।

আন্দোলনকারীরা জানায়, আমাদের ১ দফা দাবি মানা না হলে পুরো পুরান ঢাকাকে অচল করে দেব। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে এসে আমাদের কোনো কোটা আন্দোলন করতে হবে। এদেশের মুক্তিযোদ্ধারা বৈষম্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে তাহলে কেন আমাদের আবার কোটার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে। একটা দেশের সরকারি চাকুরিতে যদি ৫৬ শতাংশ কোটা থাকে তাহলে মেধাবীরা মাত্র ৪৪ শতাংশের জন্য লড়াই করবে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী বাপ্পি বলেন, আমরা সর্বোচ্চ ৫% কোটার কথা প্রস্তাব করেছি৷ এক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে৷ কোনোভাবেই নাতিপুতি নামক পোষ্যকোটা ছাত্রসমাজ মানবে না৷ (জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ও সেবা সংক্রান্ত যে কোনো বিষয়ে অধিক সুবিধা দেওয়া প্রয়োজন হলে আমরা সেটিকে শতভাগ সমর্থন করি৷) অন্যান্য কোটাগুলোকে এই মুহূর্তে আমরা বাংলাদেশের পার্সপেক্টিভে প্রাসঙ্গিক মনে করিনা৷

আন্দোলনকারী আরেক শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান বলেন, আমাদের দাবি নির্বাহী বিভাগের কাছে, সরকারের কাছে৷ যখনই সরকার কিংবা নির্বাহী বিভাগ কোনো ত্রুটিমুক্ত নির্বাহী আদেশ বা পরিপত্র জারির মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে কমিশন গঠন করার নির্দেশ দিবেন এবং যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন তখনই আমরা রাজপথ ছেড়ে পড়ার টেবিলে ফিরে আসবো৷

উল্লেখ্য ১০ ই জুলাই বুধবার, সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ। এই আদেশের ফলে সব কোটা পদ্ধতি বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র আপাতত বহাল থাকছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন