ঢাকা ১০:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

থেমে নেই সিদ্ধিরগঞ্জে রাকিব-ফরহাদ ও সোর্স আলামিনের মাদক ব্যবসা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপলোড সময় : ০৯:৫৫:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪
  • / ২৭৯ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ১নং ওয়ার্ডের মিজমিজি এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী রাকিব, ফরহাদ ও কথিত সোর্স আলামিনের মাদক ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে। স্থানীয়রা বলছেন, পুলিশিং কার্যক্রম শিথিল থাকার কারনে তাদের মাদকদ্রব্য বেঁচা-কেনা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে মরন নেশা ইয়াবা-হেরোইন-ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকলেও থেমে নেই তাদের মাদক ব্যবসা।

একাধীক মাদক মামলার আসামি মো: রাকিব মিজমিজি পাগলাবাড়ী এলাকার জলিল মাদবরের ছেলে, একাধীক মাদক মামলার আসামি ফরহাদ মিজমিজি এলাকার চৌধুরী ভিলার বাড়ির ভাড়াটিয়া বোরহানের ছেলে ও কথিত সোর্স আল আমিন মিজমিজি কবরস্থান এলাকার আজগরের বাড়ির ভাড়াটিয়া। তার বাবার নাম আলাল। এছাড়াও নামে বেনামে আরো অনেকেই রয়েছে মাদক ব্যবসায়ী।

ওই মাদক ব্যবসায়ীরা একাধিক বার মাদক সহ র‌্যাব, পুলিশ ও ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করলেও জামিনে বেরিয়ে ফের শুরু করে মাদকের ব্যবসা।

তথ্যসূত্রে জানাগেছে, গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সাথে-সাথে পুলিশিং কার্যক্রম ভেঙ্গে পরার সুযোগে সিদ্ধিরগঞ্জে চিহ্নিত মাদক কারবারিরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।

মিজমিজি, মজিববাগ, আল আমিন নগর, পাগলাবাড়ি, ক্যালেনপাড়, ডিএনডিরপাড়, কবরস্থানের পিছনে এলাকার পাড়া-মহল্লার ওলিগলিসহ বিভিন্ন জায়গায় জমে উঠেছে চিহ্নিত মাদক কারবারি রাকিব ও ফরহাদের মাদকের হাট। তাদের সিন্ডিকেটে মাদক সরবারহে রয়েছে ১০/১২ জনের কিশোর। আর এসকল কিশোরদের দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় মাদক সরবারহ করে।

এদিকে মাদকের ভয়াবহতা বেড়ে যাওয়ার কারনে ওই এলাকাগুলোতে চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে সাথে আইন শৃঙ্খলারও ব্যাপক অবনতি ঘটছে।

সিদ্ধিরগঞ্জের ১নং ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দারা জানান, মাদকের ভয়াবহতা বেড়ে যাওয়ার কারনে যুব সমাজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছে যাচ্ছে। এ যেনো দেখার কেউ নেই।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গনঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে মাদক কারবারিদের প্রকাশ্যেই দেখা যাচ্ছে। ওই চিহ্নিত মাদক কারবারিরা রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে।

পুলিশিং কার্যক্রম শিথিল থাকার কারনেই প্রতিটি মাদক স্পটে প্রকাশ্যে চলছে মাদক কেনাবেচা। অপরদিকে, মাদকের ভয়াবহতায় সামাজিক অবক্ষয় থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য যৌথ বাহিনী জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

থেমে নেই সিদ্ধিরগঞ্জে রাকিব-ফরহাদ ও সোর্স আলামিনের মাদক ব্যবসা

আপলোড সময় : ০৯:৫৫:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪

নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ১নং ওয়ার্ডের মিজমিজি এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী রাকিব, ফরহাদ ও কথিত সোর্স আলামিনের মাদক ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে। স্থানীয়রা বলছেন, পুলিশিং কার্যক্রম শিথিল থাকার কারনে তাদের মাদকদ্রব্য বেঁচা-কেনা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে মরন নেশা ইয়াবা-হেরোইন-ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকলেও থেমে নেই তাদের মাদক ব্যবসা।

একাধীক মাদক মামলার আসামি মো: রাকিব মিজমিজি পাগলাবাড়ী এলাকার জলিল মাদবরের ছেলে, একাধীক মাদক মামলার আসামি ফরহাদ মিজমিজি এলাকার চৌধুরী ভিলার বাড়ির ভাড়াটিয়া বোরহানের ছেলে ও কথিত সোর্স আল আমিন মিজমিজি কবরস্থান এলাকার আজগরের বাড়ির ভাড়াটিয়া। তার বাবার নাম আলাল। এছাড়াও নামে বেনামে আরো অনেকেই রয়েছে মাদক ব্যবসায়ী।

ওই মাদক ব্যবসায়ীরা একাধিক বার মাদক সহ র‌্যাব, পুলিশ ও ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করলেও জামিনে বেরিয়ে ফের শুরু করে মাদকের ব্যবসা।

তথ্যসূত্রে জানাগেছে, গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সাথে-সাথে পুলিশিং কার্যক্রম ভেঙ্গে পরার সুযোগে সিদ্ধিরগঞ্জে চিহ্নিত মাদক কারবারিরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।

মিজমিজি, মজিববাগ, আল আমিন নগর, পাগলাবাড়ি, ক্যালেনপাড়, ডিএনডিরপাড়, কবরস্থানের পিছনে এলাকার পাড়া-মহল্লার ওলিগলিসহ বিভিন্ন জায়গায় জমে উঠেছে চিহ্নিত মাদক কারবারি রাকিব ও ফরহাদের মাদকের হাট। তাদের সিন্ডিকেটে মাদক সরবারহে রয়েছে ১০/১২ জনের কিশোর। আর এসকল কিশোরদের দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় মাদক সরবারহ করে।

এদিকে মাদকের ভয়াবহতা বেড়ে যাওয়ার কারনে ওই এলাকাগুলোতে চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে সাথে আইন শৃঙ্খলারও ব্যাপক অবনতি ঘটছে।

সিদ্ধিরগঞ্জের ১নং ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দারা জানান, মাদকের ভয়াবহতা বেড়ে যাওয়ার কারনে যুব সমাজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছে যাচ্ছে। এ যেনো দেখার কেউ নেই।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গনঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে মাদক কারবারিদের প্রকাশ্যেই দেখা যাচ্ছে। ওই চিহ্নিত মাদক কারবারিরা রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে।

পুলিশিং কার্যক্রম শিথিল থাকার কারনেই প্রতিটি মাদক স্পটে প্রকাশ্যে চলছে মাদক কেনাবেচা। অপরদিকে, মাদকের ভয়াবহতায় সামাজিক অবক্ষয় থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য যৌথ বাহিনী জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন