দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সংস্কার শেষে এক সপ্তাহ পর যথারীতি খুলে দেওয়া হয়েছে শীতলক্ষ্যা নদীতে অবস্থিত ডেমরা সেতু। শুক্রবার (২৮—নভেম্বর) সকালে সেতুটি খুলে দেওয়ার পর যথারীতি সকল প্রকার জাতবাহন চলাচল শুরু করেছে। এদিকে গত এক সপ্তাহ বিকল্প সেতু হিসেবে নারায়নগঞ্জের কাঁচপুর সেতু ব্যবহার করেছেন ডেমরা সেতু দিয়ে চলাচলকারী পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহন। এতে ভোগান্তি অনেকটাই বেড়েছিল। বর্তমানে সেতু খুলে দেওয়ার পর অন্তত ৩০ রুটের যাত্রী ও পণ্য পরিবহন সহজতর হওয়ার পাশাপাশি স্বস্তি ফিরে এসেছে চালকদের মাঝে।

সূত্রে জানা গেছে, নির্মাণের পর থেকে কোনো প্রকার সংস্কার কাজ না হওয়ায় ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ডেমরা সেতু। এটির সম্প্রসারণ জয়েন্ট বা মুভমেন্ট জয়েন্ট (এক্সপানশন জয়েন্ট) রাবারগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে সেতুর মুভমেন্ট জয়েন্টের মধ্যখানে সম্প্রসারণ যুগ্ম ফাঁক বেড়ে যাওয়ায় যানবাহন চলাচলের সময় মারাত্মক ঝাকুনি সৃষ্টি হচ্ছিল। এতে ক্ষোভে ফুঁসছিলেন যানবাহন চালক ও যাত্রী—পথচারীরা। তাই ভয়ঙ্করভাবে অরক্ষিত হয়ে পড়া সেতুটির সংকটময় এ সমস্যা দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধানে ২৬—নভেম্বর থেকে জরুরী ভাবে কাজ শুরু করেন সওজ’র প্রকৌশল বিভাগ।

এ বিষয়ে সংস্কার কাজের সুপারভাইজার আব্দুল কাদের বলেন, অধিকাংশ জয়েন্ট রাবার উঠে গিয়ে সংযোগস্থল বিচ্ছিন্ন হয়ে চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছিল সেতুটি। একই সঙ্গে অধিকাংশ জয়েন্টর ভেতরের নাট—বোল্ট বেড়িয়ে সেগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এরই মধ্যে বেশ কিছু নাট—বোল্ট খুলেও গেছে। এছাড়াও প্রতিটি জয়েন্ট ধরে রাখার চাপযুক্ত কংক্রিট ঢালাই নষ্ট হয়ে পাথর, ইট, বালু ও সিমেন্ট সরে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ গর্তের সৃষ্টি হয়েছে
এছাড়া সেতুর ২৪টি এক্সপানশন জয়েন্ট অন্তত ১২ টির অবস্থা খুবই ভয়াবহ। অনেক জায়গায় রাবার সিলিং উঠে গিয়ে লোহার রড ও নাট—বোল্ট বেরিয়ে আছে। কোথাও বোল্ট খুলে পড়েছে।
সকল কাজের সংস্কার করা হয়েছে ।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহিম বলেন, পর্যবেক্ষণ ও সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা—নিরীক্ষা শেষে প্রকৌশল বিধি মোতাবেক ডেমরা সেতুর এক্সপানশন জয়েন্ট রাবার পুন:স্থাপন করা হয়েছে। সেতুটি মূলত মুভমেন্ট জয়েন্ট বিল্ডিং ফেস, কংক্রিট স্ল্যাব এবং পাইপলাইন গুলি ঋতুগত তারতম্য থেকে উষ্ণতা এবং শীতল হওয়ার কারণে বা অন্যান্য তাপের উষ্ণতার কারণে প্রসারিত এবং সঙ্কুচিত হয়। সম্প্রসারণ যুগ্ম ফাঁক এই কাঠামোর মধ্যে নির্মিত হওয়ার আগে, তারা প্ররোচিত চাপ অধীনে ফাটল হয়। বর্তমানে এ সেতুটি সম্পূর্ন ঝুকিমুক্ত অবাধে যানবাহন চলাচর করার জন্য খুলে দেয়া হয়েছে।