ঢাকা ০৯:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকায় ৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ গরম

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপলোড সময় : ০৯:০৩:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৪৬৪ বার পড়া হয়েছে

ঢাকায় ৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ গরম গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীতে তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। ঢাকায় গত আট বছরের মধ্যে কখনও এতো গরম অনুভভ হয়নি। অস্বাভাবিক ভাবে বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকায় গরমের সাথে জ্বালাপোড়া করছে এবং ঠোঁট ও চামড়া ফেটে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর আগে, এর চেয়ে বেশি তাপমাত্রা উঠেছিল ২০১৪ সালের ১৪ এপ্রিল। বৃহস্পতিবারের মতো তাপমাত্রা একবার উঠেছিল ২০২১ সালে। এবার বাতাসে আর্দ্রতা কমেছে স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ কম।
আবহাওয়া অধিদপ্তর যানায়, শুক্রবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্য এলাকায় গরমের তীব্রতা আরেক দফা বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে পরিস্থিতির আপাতে আর্দ্রতা কোনো উন্নতির সম্ভাবনা নেই। এর ফলে গরমের সঙ্গে শরীর জ্বালাপোড়া এবং ঠোঁট ও চামড়া ফেটে যাওয়ার কষ্ট থেকে যাবে। ১৭ এপ্রিলের আগে বাতাসে আর্দ্রতা বাড়ার সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, বছরের এই সময়ে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় স্থানভেদে ৩০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কম। আকাশে মেঘ সৃষ্টি ও ভেসে আসার সম্ভাবনাও কম। ফলে একদিকে তাপমাত্রা বাড়ছে, অন্যদিকে আর্দ্রতার কারণে কষ্ট আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। এমন পরিস্থিতি আরও তিন-চার দিন চলতে পারে।
ঢাকায় জলাভূমি কম ও গাছপালা কম থাকায় গরমের অনুভূতি প্রকৃত তাপমাত্রার চেয়ে বেশি বলছেন বিশেষজ্ঞরা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ঢাকা শহরে ছয়টি নদী, শতাধিক খাল ও অসংখ্যা জলাশয় ছিল। ফলে প্রাকৃতিক উপায়ে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত হতো। কিন্তু সব জলাভূমি ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় এখন ভবনের ভেতর এসি ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে তাপমাত্রা কমানো যাচ্ছে না। আর এসি ব্যবহারের ফলে তাপমাত্রা আরও বাড়ছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ঢাকায় ৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ গরম

আপলোড সময় : ০৯:০৩:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৩

ঢাকায় ৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ গরম গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীতে তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। ঢাকায় গত আট বছরের মধ্যে কখনও এতো গরম অনুভভ হয়নি। অস্বাভাবিক ভাবে বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকায় গরমের সাথে জ্বালাপোড়া করছে এবং ঠোঁট ও চামড়া ফেটে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর আগে, এর চেয়ে বেশি তাপমাত্রা উঠেছিল ২০১৪ সালের ১৪ এপ্রিল। বৃহস্পতিবারের মতো তাপমাত্রা একবার উঠেছিল ২০২১ সালে। এবার বাতাসে আর্দ্রতা কমেছে স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ কম।
আবহাওয়া অধিদপ্তর যানায়, শুক্রবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্য এলাকায় গরমের তীব্রতা আরেক দফা বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে পরিস্থিতির আপাতে আর্দ্রতা কোনো উন্নতির সম্ভাবনা নেই। এর ফলে গরমের সঙ্গে শরীর জ্বালাপোড়া এবং ঠোঁট ও চামড়া ফেটে যাওয়ার কষ্ট থেকে যাবে। ১৭ এপ্রিলের আগে বাতাসে আর্দ্রতা বাড়ার সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, বছরের এই সময়ে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় স্থানভেদে ৩০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কম। আকাশে মেঘ সৃষ্টি ও ভেসে আসার সম্ভাবনাও কম। ফলে একদিকে তাপমাত্রা বাড়ছে, অন্যদিকে আর্দ্রতার কারণে কষ্ট আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। এমন পরিস্থিতি আরও তিন-চার দিন চলতে পারে।
ঢাকায় জলাভূমি কম ও গাছপালা কম থাকায় গরমের অনুভূতি প্রকৃত তাপমাত্রার চেয়ে বেশি বলছেন বিশেষজ্ঞরা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ঢাকা শহরে ছয়টি নদী, শতাধিক খাল ও অসংখ্যা জলাশয় ছিল। ফলে প্রাকৃতিক উপায়ে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত হতো। কিন্তু সব জলাভূমি ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় এখন ভবনের ভেতর এসি ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে তাপমাত্রা কমানো যাচ্ছে না। আর এসি ব্যবহারের ফলে তাপমাত্রা আরও বাড়ছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন