ঢাকা ০৯:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিদ্ধিরগঞ্জে চুক্তি ভিত্তিক কর্মকর্তার লাল নোটিশ বাণিজ্য

মো: সাদ্দাম হোসেন মুন্না খান (নিজস্ব প্রতিবেদক)
মো: সাদ্দাম হোসেন মুন্না খান (নিজস্ব প্রতিবেদক)
  • আপলোড সময় : ০৬:১২:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩
  • / ৪৪৯ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে।নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসিতে কর্মরত (চুক্তি ভিত্তিক
নিয়োগপ্রাপ্ত) এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লাল নোটিশ বাণিজ্যের
অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে এমন গ্রাহকদের লাল নোটিশ
ও লাইন বিচ্ছিন্ন করার ভয় দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন ওই কর্মকর্তা।
মিটার রিডারদের যোগসাজশে গ্রাহকদের উপর ভূতরে বিল চাপিয়ে করা
হচ্ছে হয়রানী।
জানা গেছে, ঢাকা পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানীর (ডিপিডিসি)
কমার্শিয়াল কো-অর্ডিনেটর (সিএসএস) এনওসিএস সিদ্ধিরগঞ্জ
ডিপিডিসির কো-অর্ডিনেটর মো: হাসানুল ইসলাম জনি বিভিন্ন
বিদ্যুৎ গ্রাহকদের লাল নোটিশ প্রদান করছেন। পরে লাইন বিচ্ছিন্ন করার ভয়
দেখিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় করছেন মোটা অংকের উৎকোচ।
এলাকার একাধিক গ্রাহক তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উত্থাপন করেছেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসির একটি সূত্র জানায়, বকেয়া বিদ্যুৎ বিল
আদায়ের লক্ষ্যে সম্প্রতি গ্রাহকদের লাল নোটিশ প্রদান করা হচ্ছে।
যেসব গ্রাহকের ৫০ হাজার টাকার অধিক বিল বকেয়া তারাই পাচ্ছেন এ
নোটিশ। লাল নোটিশকে পূঁজি করে নিজের পকেট ভারি করার মিশনে
নামেন হাসানুল ইসলাম জনি। তার এমন কর্মকান্ডে হয়রানীর শিকার হচ্ছে
সাধারণ গ্রাহকরা।
গোদনাইল বার্মাশীল এলাকার গ্রাহক রাশিদা বেগম অভিযোগ জানান,
শাহাদাত হোসেন নামে একজন গ্রাহক (যার গ্রাহক নম্বর-১৪৭৮২৪৭২,
মিটার নম্বর-৮১৮৩৪০) এর লাইনটি ব্যবহার করছেন রাশিদা বেগম। তার বকেয়া
বিল ছিল ২ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। তিনি সমস্ত বিল পরিশোধ করেন। পরে
মিটারটি নষ্ট দাবি করে মিটার টেম্পারিংয়ের অভিযোগ তুলে রাশিদা
বেগমকে লাল নোটিশ দিয়ে লাইন বিচ্ছিন্ন করার ভয় দেখিয়ে মোটা
অংকের উৎকোচ দাবি করেন হাসানুল ইসলাম জনি। পরে মিটারটি পরিবর্তন
করে দেওয়ার কথা বলে রাশিদা বেগমের কাছ থেকে হাসানুল ইসলাম জনি
সাড়ে তিন লাখ টাকা নেন। তবে মিটার আর পরিবর্তন করে দিচ্ছেন না। অপর
দিকে এসও এলাকার স্বপন নামে এক গ্রাহককে লাল নোটিশ দিয়ে লাইন
বিচ্ছিন্ন করে ২ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে আবার
লাইন সংযোগ দেয়। এছাড়াও বহু গ্রাহকের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে
নিলেও ঝামেলায় পড়ার ভয়ে তারা নাম প্রকাশ করছেন না। এছাড়াও মিটার

সমস্যা সমাধান ও নতুন মিটার লাগিয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে
দিনের পর দিন ঘুরাচ্ছেন তিনি।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসানুল ইসলাম জনি বলেন, কোন
গ্রাহকের বিল বকেয়া থাকলে তাকে লাল নোটিশ জারি করা হয়। কাউকে
হয়রানী বা বিল ব্যতিত অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ সঠিক নয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসির নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত অধিকারী বলেন,
বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সিদ্ধিরগঞ্জ ও ডেমরা ডিপিডিসি সার্কেলের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী
মো: তারিকুল ইসলাম বলেন, কো-অর্ডিনেটর মো: হাসানুল ইসলাম জনির
বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ পেয়েছি। তবে সুনির্দষ্টভাবে কোন গ্রাহক
লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ
করা হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সিদ্ধিরগঞ্জে চুক্তি ভিত্তিক কর্মকর্তার লাল নোটিশ বাণিজ্য

আপলোড সময় : ০৬:১২:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩

সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে।নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসিতে কর্মরত (চুক্তি ভিত্তিক
নিয়োগপ্রাপ্ত) এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লাল নোটিশ বাণিজ্যের
অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে এমন গ্রাহকদের লাল নোটিশ
ও লাইন বিচ্ছিন্ন করার ভয় দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন ওই কর্মকর্তা।
মিটার রিডারদের যোগসাজশে গ্রাহকদের উপর ভূতরে বিল চাপিয়ে করা
হচ্ছে হয়রানী।
জানা গেছে, ঢাকা পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানীর (ডিপিডিসি)
কমার্শিয়াল কো-অর্ডিনেটর (সিএসএস) এনওসিএস সিদ্ধিরগঞ্জ
ডিপিডিসির কো-অর্ডিনেটর মো: হাসানুল ইসলাম জনি বিভিন্ন
বিদ্যুৎ গ্রাহকদের লাল নোটিশ প্রদান করছেন। পরে লাইন বিচ্ছিন্ন করার ভয়
দেখিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় করছেন মোটা অংকের উৎকোচ।
এলাকার একাধিক গ্রাহক তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উত্থাপন করেছেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসির একটি সূত্র জানায়, বকেয়া বিদ্যুৎ বিল
আদায়ের লক্ষ্যে সম্প্রতি গ্রাহকদের লাল নোটিশ প্রদান করা হচ্ছে।
যেসব গ্রাহকের ৫০ হাজার টাকার অধিক বিল বকেয়া তারাই পাচ্ছেন এ
নোটিশ। লাল নোটিশকে পূঁজি করে নিজের পকেট ভারি করার মিশনে
নামেন হাসানুল ইসলাম জনি। তার এমন কর্মকান্ডে হয়রানীর শিকার হচ্ছে
সাধারণ গ্রাহকরা।
গোদনাইল বার্মাশীল এলাকার গ্রাহক রাশিদা বেগম অভিযোগ জানান,
শাহাদাত হোসেন নামে একজন গ্রাহক (যার গ্রাহক নম্বর-১৪৭৮২৪৭২,
মিটার নম্বর-৮১৮৩৪০) এর লাইনটি ব্যবহার করছেন রাশিদা বেগম। তার বকেয়া
বিল ছিল ২ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। তিনি সমস্ত বিল পরিশোধ করেন। পরে
মিটারটি নষ্ট দাবি করে মিটার টেম্পারিংয়ের অভিযোগ তুলে রাশিদা
বেগমকে লাল নোটিশ দিয়ে লাইন বিচ্ছিন্ন করার ভয় দেখিয়ে মোটা
অংকের উৎকোচ দাবি করেন হাসানুল ইসলাম জনি। পরে মিটারটি পরিবর্তন
করে দেওয়ার কথা বলে রাশিদা বেগমের কাছ থেকে হাসানুল ইসলাম জনি
সাড়ে তিন লাখ টাকা নেন। তবে মিটার আর পরিবর্তন করে দিচ্ছেন না। অপর
দিকে এসও এলাকার স্বপন নামে এক গ্রাহককে লাল নোটিশ দিয়ে লাইন
বিচ্ছিন্ন করে ২ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে আবার
লাইন সংযোগ দেয়। এছাড়াও বহু গ্রাহকের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে
নিলেও ঝামেলায় পড়ার ভয়ে তারা নাম প্রকাশ করছেন না। এছাড়াও মিটার

সমস্যা সমাধান ও নতুন মিটার লাগিয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে
দিনের পর দিন ঘুরাচ্ছেন তিনি।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসানুল ইসলাম জনি বলেন, কোন
গ্রাহকের বিল বকেয়া থাকলে তাকে লাল নোটিশ জারি করা হয়। কাউকে
হয়রানী বা বিল ব্যতিত অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ সঠিক নয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসির নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত অধিকারী বলেন,
বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সিদ্ধিরগঞ্জ ও ডেমরা ডিপিডিসি সার্কেলের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী
মো: তারিকুল ইসলাম বলেন, কো-অর্ডিনেটর মো: হাসানুল ইসলাম জনির
বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ পেয়েছি। তবে সুনির্দষ্টভাবে কোন গ্রাহক
লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ
করা হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন