ঢাকা ১০:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিক হত্যা-বাবু চেয়ারম্যানের সহযোগী নয়ন গ্রেফতার

মো: সাদ্দাম হোসেন মুন্না খান (নিজস্ব প্রতিবেদক)
মো: সাদ্দাম হোসেন মুন্না খান (নিজস্ব প্রতিবেদক)
  • আপলোড সময় : ১২:৩৩:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০২৩
  • / ৪৮৩ বার পড়া হয়েছে

বকশীগঞ্জ থেকে।।জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যাকান্ডের ঘটনায় প্রধান আসামী সাধুরপাড়া ইউপির বরখাস্ত কৃত চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম বাবুর সহযোগী নয়ন (২৪) কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের মধ্য ধাতুয়াকান্দা নিজ বাড়ি থেকে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। নয়ন ওই এলাকার সানোয়ার হোসেনের ছেলে।

বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহেল রানা জানান, সাংবাদিক নাদিম হত্যাকান্ডের ঘটনায় ধৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রত্যক্ষভাবে নয়ন মিয়ার সম্পৃক্ততা কথা জানা গেছে। পুলিশ সুপার স্যারের দিক নির্দেশনায় সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মধ্য ধাতুয়াকান্দা নিজ বাড়ি থেকে নয়নকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জানা যায়,গত ১৪ জুন বুধবার পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে পৌর শহরের সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজ মোড়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম। প্রথমে তাকে বকশীগঞ্জ হাসপাতালে ও পরে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে মারা যান সাংবাদিক নাদিম।

এই ঘটনায় নিহত সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুুকে প্রধান আসামী করে নামীয় ২২ জন ও অজ্ঞাত নামা আরো ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় সারাদেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামীসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করে। সবাইকে বিভিন্ন মেয়াদে পুলিশ রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ১৩ জনের মধ্যে প্রধান আসামী মাহমুদুল আলম বাবু,মনিরুজ্জামান মনির ও রেজাউল হত্যার দ্বায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দিয়েছে।
নামীয় ২২ জন আসামীর মধ্যে গ্রেফতার হয়েছে মাত্র ৫ জন আসামী। এখনো ১৭ জন আসামী ধরাছোঁয়ার বাইরে। নাদিম হত্যাকান্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৪ জন গ্রেফতার হয়েছে।
নিহত সাংবাদিক নাদিমের পরিবারের দাবি দ্রুত সকল আসামীকে গ্রেফতার করে আইনের মুখোমুখি দাঁড় করানো।

সাংবাদিক নাদিম বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম এর জেলা প্রতিনিধি ও একাত্তর টিভির বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি ছিলেন। সে নিলাক্ষিয়া ইউনিয়নের গোমেরচর গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে। স্ত্রী, ১ মেয়ে ও ২ ছেলেকে নিয়ে তিনি বকশীগঞ্জ পৌর শহরে পশ্চিম পাড়া এলাকায় থাকতেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সাংবাদিক হত্যা-বাবু চেয়ারম্যানের সহযোগী নয়ন গ্রেফতার

আপলোড সময় : ১২:৩৩:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০২৩

বকশীগঞ্জ থেকে।।জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যাকান্ডের ঘটনায় প্রধান আসামী সাধুরপাড়া ইউপির বরখাস্ত কৃত চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম বাবুর সহযোগী নয়ন (২৪) কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের মধ্য ধাতুয়াকান্দা নিজ বাড়ি থেকে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। নয়ন ওই এলাকার সানোয়ার হোসেনের ছেলে।

বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহেল রানা জানান, সাংবাদিক নাদিম হত্যাকান্ডের ঘটনায় ধৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রত্যক্ষভাবে নয়ন মিয়ার সম্পৃক্ততা কথা জানা গেছে। পুলিশ সুপার স্যারের দিক নির্দেশনায় সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মধ্য ধাতুয়াকান্দা নিজ বাড়ি থেকে নয়নকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জানা যায়,গত ১৪ জুন বুধবার পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে পৌর শহরের সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজ মোড়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম। প্রথমে তাকে বকশীগঞ্জ হাসপাতালে ও পরে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে মারা যান সাংবাদিক নাদিম।

এই ঘটনায় নিহত সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুুকে প্রধান আসামী করে নামীয় ২২ জন ও অজ্ঞাত নামা আরো ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় সারাদেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামীসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করে। সবাইকে বিভিন্ন মেয়াদে পুলিশ রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ১৩ জনের মধ্যে প্রধান আসামী মাহমুদুল আলম বাবু,মনিরুজ্জামান মনির ও রেজাউল হত্যার দ্বায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দিয়েছে।
নামীয় ২২ জন আসামীর মধ্যে গ্রেফতার হয়েছে মাত্র ৫ জন আসামী। এখনো ১৭ জন আসামী ধরাছোঁয়ার বাইরে। নাদিম হত্যাকান্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৪ জন গ্রেফতার হয়েছে।
নিহত সাংবাদিক নাদিমের পরিবারের দাবি দ্রুত সকল আসামীকে গ্রেফতার করে আইনের মুখোমুখি দাঁড় করানো।

সাংবাদিক নাদিম বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম এর জেলা প্রতিনিধি ও একাত্তর টিভির বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি ছিলেন। সে নিলাক্ষিয়া ইউনিয়নের গোমেরচর গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে। স্ত্রী, ১ মেয়ে ও ২ ছেলেকে নিয়ে তিনি বকশীগঞ্জ পৌর শহরে পশ্চিম পাড়া এলাকায় থাকতেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন