সোনারগাঁয়ে স্কুল কমিটি ও প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বরাদ্দের অর্থ আত্মসাৎ অভিযোগ
- আপলোড সময় : ০৯:২২:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩
- / ৪১৩ বার পড়া হয়েছে
নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা ও অবকাঠামো উন্নয়নে বরাদ্দের অর্থ ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অসাধু কতিপয় কর্মকর্তা, স্কুল ম্যানেজিং কমিটি (এসএমসি) ও প্রধান শিক্ষিকার যোগসাজশে অনেক ক্ষেত্রেই বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ হচ্ছে। অন্যদিকে যারা মনিটরিং করছেন তাদেরও অনেকে এই অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত। ফলে মাঠপর্যায়ে মিলছে না সরকারের দেওয়া প্রকল্পের সুফল।
বরাদ্দের অর্থ আত্মসাতের কারণে স্কুল ভবনের সংস্কার হয় না। অনেক স্কুলের জানালা বা দরজার পাল্লা নেই। জানালার গ্রিল ভাঙা। নিয়মিত পরিষ্কার না করায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে টয়লেট।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র ও বড় মেরামত কাজ, বিদ্যালয় ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা (স্লিপ), রুটিন মেইনটেন্যান্স, প্রাক-প্রাথমিকের ক্লাস সজ্জিতকরণ, ওয়াসব্লক রক্ষণাবেক্ষণ, বই বিতরণ, শোক দিবস পালন, বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠান এবং আনুষঙ্গিকসহ আট ধরনের বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই বরাদ্দের অর্থ শিক্ষা কার্যক্রম, টিউবওয়েল মেরামত, আসবাবপত্র মেরামতসহ বিভিন্ন কাজে ব্যয় হওয়ার কথা। কিন্তু এ অর্থের অনেকটাই ব্যয় করেন না কমিটি। বিভিন্ন বিল ভাউচার দেখিয়ে এই অর্থের একটা বড় অংশ আত্মসাৎ করা হয়।
স্কুলের রুটিন মেরামতের জন্য বছরে ৪০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। প্রাক-প্রাথমিক ক্লাসরুম সজ্জিতকরণে বছরে ১০ হাজার টাকা, ওয়াসব্লক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ২০ হাজার টাকা, বড়ো মেরামত কাজে দেড় লাখ থেকে দুই লাখ টাকা, বাউন্ডারি নির্মাণে সর্বোচ্চ ৭ লাখ টাকা, বই বিতরণে ৪০০ টাকা, ক্রীড়া অনুষ্ঠানের জন্য ২ হাজার টাকা, শোক দিবস পালনের জন্য ২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এছাড়া আনুষাঙ্গিক খাতে ৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য সরকার বিভিন্ন নামের প্রকল্পের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে। সরকারের সদিচ্ছা সত্ত্বেও কিছু অসাধু শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটিসহ প্রভাবশালীদের সিন্ডিকেটের কারণে মাঠপর্যায়ে মিলছে না সরকারের দেওয়া প্রকল্পের সুফল এমনই এক দৃশ্য দেখা গেল সোনারগাঁ উপজেলায় ৭৩ নং খাসের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ফলে দিনের পর দিন ভোগান্তির মধ্যেই বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান চলছে।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোসাঃ জাহানারা রহমান বলেন এসব টাকা বরাদ্দ প্রাপ্তি এবং ব্যয়ের ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সংশ্লিষ্টতার বিধান থাকলেও প্রধান শিক্ষিকা হাওয়া বেগম গোপনে সহকারী সহিদুল ইসলাম ফুয়াদকে দিয়ে ভুয়া ভাউচার জমা দিয়ে এসব টাকা উত্তোলন করে কোনো কাজ ছাড়াই টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে আমাদের ধারনা।
এ ব্যাপারে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা হাওয়া বেগমের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার দৌলত উর রহমান বলেন, বরাদ্দের টাকা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে এলেও এ বরাদ্দের অর্থ প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। কেউ কাজ না করে ভুয়া ভাউচার জমা দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করলে লিখত অভিযোগ পাওয়ামাত্র কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।