ঢাকা ০৭:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম

মো:আবু তালহা তারীফ (নিজস্ব প্রতিবেদক)
মো:আবু তালহা তারীফ (নিজস্ব প্রতিবেদক)
  • আপলোড সময় : ০৬:৫১:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৩৮৫ বার পড়া হয়েছে

আজ আরবি মাসের ১১ ই রবিউস সানি। ইয়াজদাহম’ ফারসি শব্দ থেকে এসেছে, অর্থ হলো এগারো। ফাতিহা-ই-ইয়াজদাহম যুগের শ্রেষ্ঠ ওলী শেখ মুহিউদ্দীন বড়পীর আবদুল কাদের জিলানীর (রহ.) এর স্বরনে পালন করা হয়। ‘ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম’ বলতে রবিউস সানি মাসের এগারো-এর ফাতেহা শরিফকে বলা হয়। হিজরি ৫৬১ সনের ১১ রবিউস সানি মাসে মহান এই সুফি বড়পীর আব্দুল কাদির জিলানী (রহ:) ইহজগত ত্যাগ করেন৷ এজন্য উপমহাদেশের মুসলিমদের কাছে এই দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ । বড় পীর বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানি ৪৭০, মতান্তরে ৪৭১ হিজরি সালের পহেলা রমজান ইরাকের বাগদাদের জিলান নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পুরো নাম সাইয়্যিদ মহিউদ্দীন আবু মুহাম্মদ আব্দুল কাদির আল-জিলানি আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী।
বাবার দিক থেকে বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানি (রহ.) হজরত আলী (রা.)-এর ১১তম বংশধর। মায়ের দিক থেকে তিনি হজরত আলী (রা.)-এর অষ্টাদশ বংশধর।

তিনি ছিলেন কাদেরীয়া তরিকার প্রবর্তক, শরিয়ত ও তরিকত জগতের মহা সম্রাট, যুগের শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস, মুফাসসির, ফকীহ, এবং দার্শনিক। তার শিক্ষার পিছনে রয়েছে মায়ের অবদান। তাঁর মায়ের পরামর্শে ৪৮৮ সনে ১৮ বছর বয়সে বাগদাদে রওনা হন। বাগদাদে গিয়ে তিনি শায়েখ আবু সাইদ ইবনে মোবারক মাখযুমী হাম্বলী, আবুল ওয়াফা আলী ইবনে আকীল এবং আবু মোহাম্মদ ইবনে হোসাইন ইবনে মোহাম্মদ (রহ.)-এর কাছে ইলমে ফিকাহ, শায়েখ আবু গালিব মুহাম্মদ ইবনে হাসান বাকিল্লানী, শায়েখ আবু সাইদ ইবনে আব্দুল করীম ও শায়েখ আবুল গানায়েম মুহম্মদ ইবনে আলী ইবনে মুহাম্মদ (রহ.) প্রমুখের কাছে ইলমে হাদিস এবং শায়েখ আবু যাকারিয়া তাবরেয়ী (রহ.) কাছে সাহিত্যের উচ্চতর পাঠ লাভ করেন। বড়পীর অল্প বয়সেই মাদ্রাসার পরীক্ষা দিয়ে শ্রেষ্ঠ সনদ অর্জন করেন। মাত্র ৯ বছর শিক্ষা অর্জন করে ১৩টি বিষয়ের ওপর সনদ লাভ করেন।

হজরত বড় পীর আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ) মহান আল্লাহর বাণী এবং প্রিয়নবী (সাঃ) এর কথা মালা মানুষের নিকট পৌছিয়ে দ্বীনের প্রচার ও প্রসার করেন। তার কথা শুনতে ছোট বড় ধনী গরীব সকলেই উপস্থিত হয়ে শ্রবন করত এবং সেই অনুযায়ী আমল করত। বড়পীরের মাধ্যমেই ইসলাম পূর্বের অবস্থায় ফিরে এসেছিল। এ জন্যই তার উপাধি ছিল মুহীউদ্দীন।

বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী (রহঃ) অসংখ্য গ্রন্থ রচনা করেছেন। যা বর্তমানে বিভিন্ন দালিলিক হিসেবে বিবেচিত হয়। এসব গ্রন্থের মধ্যে ‘ফতহুল গায়েব গুনিয়াতুত তালেবীন’, ‘ফতহুর রববানী’, ‘কালীদায়ে গাওসিয়া’ উল্লেখযোগ্য। যারা বড়পীর সাহেবকে ভালোবাসে, তারাই বড়পীর সাহেবের এই ওফাতের দিনটি গুরুত্বের সঙ্গে ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম পালন করবে। মসজিদ, মাদ্রাসা ও খানকায় বড়পীরের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা মাধ্যমে স্বরন করা হবে।অতপর মিলাদ জিকিরের পর মুনাজাতে সকল মৃত্যু ব্যক্তি এবং দেশ ও জাতীর জন্য দোয়া হবে৷

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম

আপলোড সময় : ০৬:৫১:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৩

আজ আরবি মাসের ১১ ই রবিউস সানি। ইয়াজদাহম’ ফারসি শব্দ থেকে এসেছে, অর্থ হলো এগারো। ফাতিহা-ই-ইয়াজদাহম যুগের শ্রেষ্ঠ ওলী শেখ মুহিউদ্দীন বড়পীর আবদুল কাদের জিলানীর (রহ.) এর স্বরনে পালন করা হয়। ‘ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম’ বলতে রবিউস সানি মাসের এগারো-এর ফাতেহা শরিফকে বলা হয়। হিজরি ৫৬১ সনের ১১ রবিউস সানি মাসে মহান এই সুফি বড়পীর আব্দুল কাদির জিলানী (রহ:) ইহজগত ত্যাগ করেন৷ এজন্য উপমহাদেশের মুসলিমদের কাছে এই দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ । বড় পীর বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানি ৪৭০, মতান্তরে ৪৭১ হিজরি সালের পহেলা রমজান ইরাকের বাগদাদের জিলান নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পুরো নাম সাইয়্যিদ মহিউদ্দীন আবু মুহাম্মদ আব্দুল কাদির আল-জিলানি আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী।
বাবার দিক থেকে বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানি (রহ.) হজরত আলী (রা.)-এর ১১তম বংশধর। মায়ের দিক থেকে তিনি হজরত আলী (রা.)-এর অষ্টাদশ বংশধর।

তিনি ছিলেন কাদেরীয়া তরিকার প্রবর্তক, শরিয়ত ও তরিকত জগতের মহা সম্রাট, যুগের শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস, মুফাসসির, ফকীহ, এবং দার্শনিক। তার শিক্ষার পিছনে রয়েছে মায়ের অবদান। তাঁর মায়ের পরামর্শে ৪৮৮ সনে ১৮ বছর বয়সে বাগদাদে রওনা হন। বাগদাদে গিয়ে তিনি শায়েখ আবু সাইদ ইবনে মোবারক মাখযুমী হাম্বলী, আবুল ওয়াফা আলী ইবনে আকীল এবং আবু মোহাম্মদ ইবনে হোসাইন ইবনে মোহাম্মদ (রহ.)-এর কাছে ইলমে ফিকাহ, শায়েখ আবু গালিব মুহাম্মদ ইবনে হাসান বাকিল্লানী, শায়েখ আবু সাইদ ইবনে আব্দুল করীম ও শায়েখ আবুল গানায়েম মুহম্মদ ইবনে আলী ইবনে মুহাম্মদ (রহ.) প্রমুখের কাছে ইলমে হাদিস এবং শায়েখ আবু যাকারিয়া তাবরেয়ী (রহ.) কাছে সাহিত্যের উচ্চতর পাঠ লাভ করেন। বড়পীর অল্প বয়সেই মাদ্রাসার পরীক্ষা দিয়ে শ্রেষ্ঠ সনদ অর্জন করেন। মাত্র ৯ বছর শিক্ষা অর্জন করে ১৩টি বিষয়ের ওপর সনদ লাভ করেন।

হজরত বড় পীর আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ) মহান আল্লাহর বাণী এবং প্রিয়নবী (সাঃ) এর কথা মালা মানুষের নিকট পৌছিয়ে দ্বীনের প্রচার ও প্রসার করেন। তার কথা শুনতে ছোট বড় ধনী গরীব সকলেই উপস্থিত হয়ে শ্রবন করত এবং সেই অনুযায়ী আমল করত। বড়পীরের মাধ্যমেই ইসলাম পূর্বের অবস্থায় ফিরে এসেছিল। এ জন্যই তার উপাধি ছিল মুহীউদ্দীন।

বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী (রহঃ) অসংখ্য গ্রন্থ রচনা করেছেন। যা বর্তমানে বিভিন্ন দালিলিক হিসেবে বিবেচিত হয়। এসব গ্রন্থের মধ্যে ‘ফতহুল গায়েব গুনিয়াতুত তালেবীন’, ‘ফতহুর রববানী’, ‘কালীদায়ে গাওসিয়া’ উল্লেখযোগ্য। যারা বড়পীর সাহেবকে ভালোবাসে, তারাই বড়পীর সাহেবের এই ওফাতের দিনটি গুরুত্বের সঙ্গে ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম পালন করবে। মসজিদ, মাদ্রাসা ও খানকায় বড়পীরের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা মাধ্যমে স্বরন করা হবে।অতপর মিলাদ জিকিরের পর মুনাজাতে সকল মৃত্যু ব্যক্তি এবং দেশ ও জাতীর জন্য দোয়া হবে৷

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন