ঢাকা ০৫:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শবে বরাত যেভাবে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে উৎসবে পরিণত হলো

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপলোড সময় : ০৭:৩১:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৩৩২ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশসহ দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বেশ ঘটা কর শবে বরাত পালন করার রেওয়াজ আছে বহুকাল ধরে। তবে শবে বরাতের সময় যেসব আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হয় সেগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় নানা বিতর্ক দেখা যায়। শবে বরাত পালন করা উচিৎ কী না, ইসলাম ধর্মে শবে বরাতের কোনো তাৎপর্য আছে কী না, বা শবে বরাতের কোনো ঐতিহাসিক ভিত্তি আছে কী না – এসব নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পক্ষে-বিপক্ষে তর্ক-বিতর্ক চোখে পড়ে।

ধর্মীয়ভাবে শবে বরাতের তাৎপর্য কতটুকু আছে সে বিষয়টি এ লেখায় আলোকপাত করা হয়নি। এর মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে শবে বরাতের আচার-অনুষ্ঠানগুলো দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে কীভাবে ও কেন প্রচলন হয়েছিল।

সূত্রপাত কখন?
ইসলামের ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করা ব্যক্তিদের মতে মুসলিমদের মধ্যে শবে বরাত পালনের প্রথা শুরু হয় ইসলাম ধর্মের উৎপত্তির সময় থেকেই।

“নবী হযরত মুহাম্মদ শাবান মাসের ১৪ তারিখ যে সারা রাত নফল নামাজ পড়তেন ও কবরস্থান জিয়ারত করতেন, তা অনেক হাদিসেই বর্ণিত রয়েছে। পনের দিন পর রমজান মাস শুরুর প্রস্তুতি হিসেবে তিনি এই আচার পালন করতেন এবং তার অনুসারীদেরও পালন করতে বলতেন”, বলছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ ইব্রাহিম।

তার মতে, নবী মুহাম্মদের সময়কাল এবং তার পরবর্তী সময়ে আরব থেকে ইসলাম প্রচারে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে যারা সফর করেছেন, তাদের মাধ্যমেই বিশ্বের বিভিন্ন এলাকার মানুষের মধ্যে শবে বরাত পালনের আনুষ্ঠানিকতার বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে।

আর এই আনুষ্ঠানিকতাকে উৎসব হিসেবে বিবেচনা করা হতো বলে ধীরে ধীরে এই দিনে ভালো খাবার তৈরি ও খাবার বিতরণের মাধ্যমে আনন্দ ভাগ করে নেয়ার প্রথা তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন মি. ইব্রাহিম।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

শবে বরাত যেভাবে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে উৎসবে পরিণত হলো

আপলোড সময় : ০৭:৩১:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বাংলাদেশসহ দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বেশ ঘটা কর শবে বরাত পালন করার রেওয়াজ আছে বহুকাল ধরে। তবে শবে বরাতের সময় যেসব আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হয় সেগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় নানা বিতর্ক দেখা যায়। শবে বরাত পালন করা উচিৎ কী না, ইসলাম ধর্মে শবে বরাতের কোনো তাৎপর্য আছে কী না, বা শবে বরাতের কোনো ঐতিহাসিক ভিত্তি আছে কী না – এসব নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পক্ষে-বিপক্ষে তর্ক-বিতর্ক চোখে পড়ে।

ধর্মীয়ভাবে শবে বরাতের তাৎপর্য কতটুকু আছে সে বিষয়টি এ লেখায় আলোকপাত করা হয়নি। এর মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে শবে বরাতের আচার-অনুষ্ঠানগুলো দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে কীভাবে ও কেন প্রচলন হয়েছিল।

সূত্রপাত কখন?
ইসলামের ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করা ব্যক্তিদের মতে মুসলিমদের মধ্যে শবে বরাত পালনের প্রথা শুরু হয় ইসলাম ধর্মের উৎপত্তির সময় থেকেই।

“নবী হযরত মুহাম্মদ শাবান মাসের ১৪ তারিখ যে সারা রাত নফল নামাজ পড়তেন ও কবরস্থান জিয়ারত করতেন, তা অনেক হাদিসেই বর্ণিত রয়েছে। পনের দিন পর রমজান মাস শুরুর প্রস্তুতি হিসেবে তিনি এই আচার পালন করতেন এবং তার অনুসারীদেরও পালন করতে বলতেন”, বলছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ ইব্রাহিম।

তার মতে, নবী মুহাম্মদের সময়কাল এবং তার পরবর্তী সময়ে আরব থেকে ইসলাম প্রচারে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে যারা সফর করেছেন, তাদের মাধ্যমেই বিশ্বের বিভিন্ন এলাকার মানুষের মধ্যে শবে বরাত পালনের আনুষ্ঠানিকতার বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে।

আর এই আনুষ্ঠানিকতাকে উৎসব হিসেবে বিবেচনা করা হতো বলে ধীরে ধীরে এই দিনে ভালো খাবার তৈরি ও খাবার বিতরণের মাধ্যমে আনন্দ ভাগ করে নেয়ার প্রথা তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন মি. ইব্রাহিম।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন