ঢাকা ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘ঐতিহাসিক ৭মার্চ’ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে নোয়াখালী জেলা পুলিশের শ্রদ্ধা নিবেদন

মোহাম্মদ আবু নাছের (জেলা প্রতিনিধি নোয়াখালী)
মোহাম্মদ আবু নাছের (জেলা প্রতিনিধি নোয়াখালী)
  • আপলোড সময় : ০২:১২:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪
  • / ৩১৫ বার পড়া হয়েছে

আজ ‘‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ’’ দিবস। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক অনন্য দিন। বিনম্র শ্রদ্ধা, যথাযথ মর্যাদা ও পূর্ণ ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে নোয়াখালী জেলা পুলিশ ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ২০২৪’ উদযাপন করেছে।

দিবসটি উপলক্ষে (৭ মার্চ,২০২৪) জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে স্থাপিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, মুক্তির মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ম্যুরালে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বিপিএম, পিপিএম।

পুলিশ সুপার পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে জাতির পিতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন এবং সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার শান্তি কামনা করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) বিজয়া সেন, নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোর্তাহীন বিল্লাহ, জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন পদমর্যাদা’র পুলিশ সদস্যগণ সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এই দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (রেসকোর্স ময়দান) মুক্তিপ্রেমী বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯ মিনিট ধরে দেয়া ভাষণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন।

এদিন লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে বজ্রকণ্ঠে পাকিস্তানি শাসকদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ‘সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবে না। মরতে যখন শিখেছি, তখন কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না। রক্ত যখন দিয়েছি, আরও দেবো। এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো- ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একাত্তরের ৭মার্চ দেয়া ঐতিহাসিক ভাষণ পরবর্তীতে স্বাধীনতার সংগ্রামের বীজমন্ত্রে রূপ নেয়। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

error: মুরুব্বি -মুরুব্বি উহু উহুহু'

‘ঐতিহাসিক ৭মার্চ’ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে নোয়াখালী জেলা পুলিশের শ্রদ্ধা নিবেদন

আপলোড সময় : ০২:১২:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪

আজ ‘‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ’’ দিবস। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক অনন্য দিন। বিনম্র শ্রদ্ধা, যথাযথ মর্যাদা ও পূর্ণ ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে নোয়াখালী জেলা পুলিশ ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ২০২৪’ উদযাপন করেছে।

দিবসটি উপলক্ষে (৭ মার্চ,২০২৪) জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে স্থাপিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, মুক্তির মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ম্যুরালে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বিপিএম, পিপিএম।

পুলিশ সুপার পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে জাতির পিতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন এবং সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার শান্তি কামনা করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) বিজয়া সেন, নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোর্তাহীন বিল্লাহ, জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন পদমর্যাদা’র পুলিশ সদস্যগণ সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এই দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (রেসকোর্স ময়দান) মুক্তিপ্রেমী বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯ মিনিট ধরে দেয়া ভাষণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন।

এদিন লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে বজ্রকণ্ঠে পাকিস্তানি শাসকদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ‘সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবে না। মরতে যখন শিখেছি, তখন কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না। রক্ত যখন দিয়েছি, আরও দেবো। এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো- ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একাত্তরের ৭মার্চ দেয়া ঐতিহাসিক ভাষণ পরবর্তীতে স্বাধীনতার সংগ্রামের বীজমন্ত্রে রূপ নেয়। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন