ঢাকা ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জবির কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমামকে সাময়িক বরখাস্ত

রাকিবুল হাসান রাকিব (ক্যাম্পাস প্রতিনিধি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়)
রাকিবুল হাসান রাকিব (ক্যাম্পাস প্রতিনিধি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়)
  • আপলোড সময় : ১২:০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪
  • / ৫০৭ বার পড়া হয়েছে

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম ছালাহ উদ্দিনকে ইমামতি থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী মসজিদে অবস্থানকে কেন্দ্র করে তাকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়।

সূত্রে জানা যায়, গত ৬ই মে রাত ৯ টা সময় ইমাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে মসজিদে মহিলাদের নামাজ পড়ার স্থানে অবস্থান করছে বলে জানতে পারেন। পরবর্তী তিনি বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. জাহাঙ্গীর হোসেনকে ফোনে জানান। প্রক্টরিয়াল টিম আসার আগেই মেয়েটি মসজিদ ত্যাগ করেন। মেয়েটিকে প্রক্টরিয়াল টিম না দেখতে পেয়ে মসজিদের ইমামকে নানা প্রশ্ন করতে থাকেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ইমাম ছালাহ উদ্দিন বলেন, আমি ওই ছাত্রীকে চিনিনা বা কখনো দেখিও নাই। মসজিদের ভেতরে একজন মেয়ে শিক্ষার্থী অবস্থান করছে জানতে পেরেই আমি সাথে সাথে প্রক্টরকে জানাই। আমার মাঝে কোন অসৎ উদ্দেশ্য থাকলে আমি নিজে প্রক্টরকে বিষয়টি অবগত করতাম না। আর এখন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আমাকে বরখাস্ত করা হচ্ছে ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আইনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইমামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনা কি ঘটেছে সেটা জানার জন্য তদন্ত কমিটি ঘটনা করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ৬ই মে রাত ৯ টার দিকে ইমাম সাহেব আমাকে ফোন করে একজন ছাত্রী মসজিদে অবস্থান করছে বলে জানান। পরবর্তী আমি নিশ্চিত হওয়ার জন্য মেয়েটির সাথে কথা বলতে চাইলে ইমাম মেয়েটিকে শিখিয়ে দিয়েছে যে তিনি অসুস্থ ছিলেন তাই এখানে শুয়ে পড়েছেন যা আমি ফোনের ওপাস থেকে স্পষ্ট শুনতে পেয়েছি। আমি সাথে সাথে প্রক্টোরিয়াল বডিকে ঘটনা স্থানে পাঠাই। প্রোক্টরিয়াল বডি যাওয়ার আগে ইমাম মেয়েটিকে হলে পাঠিয়ে দেন। পরবর্তী দিন ইমাম কে প্রোক্টর অফিসে এ বিষয় জবাবদিহি করতে ডাকা হলে তিনি উপস্থিত হয়নি।

উল্লেখ্য, গত ১৭ই মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জাতীয় শিশু দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম পুরুষদের নামাযের অংশে অন্যধর্মালম্বী শিক্ষকদের নিয়ে পুরুষদের সামনে বক্তৃতা পেশ করেন। বক্তব্য দেওয়ার আগে উপাচার্যকে মসজিদে ভেতরে এভাবে বক্তব্য না দিতে অনুরোধ জানান ইমাম। আর এতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ অনেকেই এই ঘটনায় ইমামের উপর ক্ষুদ্ধ হন। ওই ইমাম বিগত ৪-৫ বছর এই মসজিদে ইমামতি করেন। তবে কখনো উনার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ উঠেনি। ###

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

জবির কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমামকে সাময়িক বরখাস্ত

আপলোড সময় : ১২:০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম ছালাহ উদ্দিনকে ইমামতি থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী মসজিদে অবস্থানকে কেন্দ্র করে তাকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়।

সূত্রে জানা যায়, গত ৬ই মে রাত ৯ টা সময় ইমাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে মসজিদে মহিলাদের নামাজ পড়ার স্থানে অবস্থান করছে বলে জানতে পারেন। পরবর্তী তিনি বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. জাহাঙ্গীর হোসেনকে ফোনে জানান। প্রক্টরিয়াল টিম আসার আগেই মেয়েটি মসজিদ ত্যাগ করেন। মেয়েটিকে প্রক্টরিয়াল টিম না দেখতে পেয়ে মসজিদের ইমামকে নানা প্রশ্ন করতে থাকেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ইমাম ছালাহ উদ্দিন বলেন, আমি ওই ছাত্রীকে চিনিনা বা কখনো দেখিও নাই। মসজিদের ভেতরে একজন মেয়ে শিক্ষার্থী অবস্থান করছে জানতে পেরেই আমি সাথে সাথে প্রক্টরকে জানাই। আমার মাঝে কোন অসৎ উদ্দেশ্য থাকলে আমি নিজে প্রক্টরকে বিষয়টি অবগত করতাম না। আর এখন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আমাকে বরখাস্ত করা হচ্ছে ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আইনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইমামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনা কি ঘটেছে সেটা জানার জন্য তদন্ত কমিটি ঘটনা করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ৬ই মে রাত ৯ টার দিকে ইমাম সাহেব আমাকে ফোন করে একজন ছাত্রী মসজিদে অবস্থান করছে বলে জানান। পরবর্তী আমি নিশ্চিত হওয়ার জন্য মেয়েটির সাথে কথা বলতে চাইলে ইমাম মেয়েটিকে শিখিয়ে দিয়েছে যে তিনি অসুস্থ ছিলেন তাই এখানে শুয়ে পড়েছেন যা আমি ফোনের ওপাস থেকে স্পষ্ট শুনতে পেয়েছি। আমি সাথে সাথে প্রক্টোরিয়াল বডিকে ঘটনা স্থানে পাঠাই। প্রোক্টরিয়াল বডি যাওয়ার আগে ইমাম মেয়েটিকে হলে পাঠিয়ে দেন। পরবর্তী দিন ইমাম কে প্রোক্টর অফিসে এ বিষয় জবাবদিহি করতে ডাকা হলে তিনি উপস্থিত হয়নি।

উল্লেখ্য, গত ১৭ই মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জাতীয় শিশু দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম পুরুষদের নামাযের অংশে অন্যধর্মালম্বী শিক্ষকদের নিয়ে পুরুষদের সামনে বক্তৃতা পেশ করেন। বক্তব্য দেওয়ার আগে উপাচার্যকে মসজিদে ভেতরে এভাবে বক্তব্য না দিতে অনুরোধ জানান ইমাম। আর এতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ অনেকেই এই ঘটনায় ইমামের উপর ক্ষুদ্ধ হন। ওই ইমাম বিগত ৪-৫ বছর এই মসজিদে ইমামতি করেন। তবে কখনো উনার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ উঠেনি। ###

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন