পাথর ভাঙার শব্দে রাতের ঘুম হারাম! শিক্ষার্থীদের নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবক
- আপলোড সময় : ০৭:৪৪:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ৩৪৩ বার পড়া হয়েছে
সিদ্ধিরগঞ্জের বাতানপাড়া চার রাস্তা মোড় এলাকায় অনুমোদোনহীন পাথর ভাঙ্গনের কাজ চালানো হচ্ছে। এর ফলে আশেপাশের স্থানীয় বাসিন্দারা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেননা ভুক্তভোগীরা। স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার নাম ভাঙিয়ে মুন্না ও সাইদুল নামে দুই ব্যক্তি আবাসিক এলাকায় এমন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মিজমিজি বাতানপাড়া চার রাস্তা মোড় এলাকায় কয়েক মাস থেকে অবাধে চালানো হচ্ছে পাথর ভাঙ্গনের কার্যক্রম। দিবারাত্রি ভেকু ও পাথর ভাঙনের কাজ চলছে অনবরত। মিজমিজি বাতানপাড়া মুনমুন স্কুলের অপর পাশের একটি বড় খালি জায়গা জুড়ে বড় বড় পাথর রাখা হয়েছে স্তুপাকারে। ঐ এলাকায় অবস্থিত বাতানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দারুল তানজিদ মাদ্রাসা ও মুনমুন কিন্ডারগার্টেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পাথর ভাঙার শব্দে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রমেরও ব্যাঘাত ঘটছে বলে মনে করছেন সচেতনতামূলক মহল।
সেখানকার বাসিন্দারা জানান, প্রতি রাতে পাথর ফেলা হয়। ভেকু দিয়ে সেই পাথর ভাঙনের কাজ চলে। এর ফলে চরম শব্দ দূষণে ঘুমাতে পারেন না এলাকাবাসী। ভেকু ও পথরের বিকট শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে তাদেের স্বাভাবিক জীবন-যাপন।
একাধিক বাড়ির মালিক জানান, তাদের বাড়ির ভাড়াটিয়ারা অভিযোগ করছে। এভাবে চললে বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে। রাতের তিন-চারটা পর্যন্ত এ কাজ চলানো হয়। চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা স্বাভাবিকভাবে পড়াশোনা করতে পারছেনা। তারা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
স্থানীদের অভিযোগ, মুন্না ও সাইদুলের সহযোগিতায় ফেরদৌস নামে এক ব্যক্তির তত্বাবধানে এসব পাথর ভেঙে বের করা হয় রড এবং ছোট ছোট পাথর। স্থানীয় এক নেতার প্রভাব দেখিয়ে তারা বাধাহীন এ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে নাসিক ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলাম জানান, পাথর ভাঙ্গনের কাজ চলায় এলাকাবাসীর অনেক সমস্যা হচ্ছে বলে আমাকে জানিয়েছে। প্রচন্ড শব্দদূষণে শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো পড়াশোনাও করতে পারছে না। এদিকে পথর আনা- নেওয়ার জন্য অনেক বড় বড় গাড়ি ব্যবহার করা হচ্ছে সড়ক দিয়ে। এতে আমার পাগলাবাড়ির সড়কের বিরাট ক্ষতি হচ্ছে। ওই সড়কটি নিচু ছিলো যার কারণে আমি অনেক টাকা খরচ করে দুই ফুট উঁচু করেছি। কিন্তু এখন তাদের ভারী গাড়ির জন্যে সড়কের সমস্যা দেখা দিচ্ছে।