ঢাকা ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশের গুলিতে আহত নোয়াখালীর আসিফ মারা গেছে

মোহাম্মদ আবু নাছের (জেলা প্রতিনিধি নোয়াখালী)
মোহাম্মদ আবু নাছের (জেলা প্রতিনিধি নোয়াখালী)
  • আপলোড সময় : ০৭:১২:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪
  • / ২৮৬ বার পড়া হয়েছে

নোয়াখালীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত আসিফ (২২) মারা গেছেন।

আজ শুক্রবার ভোর রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

আসিফ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার মিরওয়ারশিপুর ইউনিয়নের মিরআলীপুর গ্রামের আমির আলী মুন্সি বাড়ির মোরশেদ আলমের ছেলে। তিনি পেশায় একজন রঙ মিস্ত্রি।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট জেলার সোনাইমুড়ী থানায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষ চলাকালে আসিফ পুলিশের গুলিতে আহত হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। ঘটনার ১১ দিন পর আজ চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনার দিন বিকেল ৪টায় সোনাইমুড়ী থানায় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিটিং করছে বলে একটি খবর ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় জনতা থানায় গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বের করে দেয়ার জন্য বলে। পুলিশ বলে এখানে কেউ নেই। পরে জনতা থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলে একজন মারা যায় এবং আসিফসহ কয়েকজন আহত হয়। এ খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষনিক বেগমগনজ ও মাইজদী থেকে ট্রাক ভর্তি কয়েক হাজার জনতা থানা ঘেরাও করে। এ সময় পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)-সহ তিনজন ও আন্দোলনকারীদের তিনজন মারা যায়। এতে আহত হয় অর্ধশত। এ সময় জনতা থানায় আগুন ধরিয়ে দেয়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

পুলিশের গুলিতে আহত নোয়াখালীর আসিফ মারা গেছে

আপলোড সময় : ০৭:১২:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪

নোয়াখালীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত আসিফ (২২) মারা গেছেন।

আজ শুক্রবার ভোর রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

আসিফ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার মিরওয়ারশিপুর ইউনিয়নের মিরআলীপুর গ্রামের আমির আলী মুন্সি বাড়ির মোরশেদ আলমের ছেলে। তিনি পেশায় একজন রঙ মিস্ত্রি।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট জেলার সোনাইমুড়ী থানায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষ চলাকালে আসিফ পুলিশের গুলিতে আহত হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। ঘটনার ১১ দিন পর আজ চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনার দিন বিকেল ৪টায় সোনাইমুড়ী থানায় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিটিং করছে বলে একটি খবর ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় জনতা থানায় গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বের করে দেয়ার জন্য বলে। পুলিশ বলে এখানে কেউ নেই। পরে জনতা থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলে একজন মারা যায় এবং আসিফসহ কয়েকজন আহত হয়। এ খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষনিক বেগমগনজ ও মাইজদী থেকে ট্রাক ভর্তি কয়েক হাজার জনতা থানা ঘেরাও করে। এ সময় পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)-সহ তিনজন ও আন্দোলনকারীদের তিনজন মারা যায়। এতে আহত হয় অর্ধশত। এ সময় জনতা থানায় আগুন ধরিয়ে দেয়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন