ঢাকা ০১:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে হাঁস চুরি দেখে ফেলায় শাওনকে হত্যা করা হয়

মোহাম্মদ আবু নাছের (জেলা প্রতিনিধি নোয়াখালী)
মোহাম্মদ আবু নাছের (জেলা প্রতিনিধি নোয়াখালী)
  • আপলোড সময় : ০৯:২২:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৫০৭ বার পড়া হয়েছে

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নে হাঁস চুরি দেখে ফেলায় কিশোর মো. শাওনকে (১৪) হত্যা করা হয়। এ মামলায় আলী হোসেন (২০) নামের এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর ) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ নিলুফার সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আলী হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এ মামলায় অপর আসামি ফরহাদ হোসেন (১৭) বয়সে শিশু হওয়ায় তাকে গাজীপুরের টঙ্গীতে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে রাখা হয়েছে এবং শিশু আদালতে তার বিচার চলমান রয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত আলী হোসেন বেগমগঞ্জ উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের তনু বেপারী বাড়ির দেলোয়ার হোসেন চৌধুরীর ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলায় অভিযুক্ত দুই আসামি আলী হোসেন ও ফরহাদ হোসেন এলাকার একটি বাড়ি থেকে হাঁস চুরি করার সময় দেখে ফেলে শাওন। পরে শাওন বিষয়টি সবাইকে বলে দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে আলী হোসেন ও ফরহাদ।

এর সূত্র ধরে গত ২০১৮ সালের ১৪ আগস্ট বিকালে কৌশলে একটি নৌকাযোগে শাওনকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি বিলের মাঝখানে নিয়ে যায় আলী ও ফরহাদ। পরে সেখানে ফরহাদ প্রথমে শাওনের গোপনাঙ্গে লাথি মেরে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে এবং আলী হোসেন একটি রশি দিয়ে শাওনের দুই হাত পেছন থেকে বেঁধে নৌকা থেকে পানিতে ফেলে দেয়। শাওনের সন্ধান না পেয়ে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে।

পরবর্তীতে ১৭ আগস্ট বিলের মধ্যে ঘাস কাটতে গিয়ে শাওনের মৃতদেহ ভাসতে দেখেন প্রতিবেশী সোহরাব হোসেন। মৃতদেহ উদ্ধারের পরদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্থানীয় মফিজ মার্কেট এলাকায় লোকজনের উপস্থিতিতে শাওনকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে ফরহাদ ও আলী হোসেন। তাদের দুইজনকে আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা।

এ ঘটনায় নিহত শাওনের মা পারুল আক্তার বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট বেগমগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে গত ২০১৯ সালের ২৬ মে আসামি ফরহাদ ও আলী হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালতের বিবেচনায় আসামি ফরহাদ শিশু হওয়ায় তাকে আটক রেখে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

জেলা জজ আদালতে (পিপি) গুলজার আহমেদ জুয়েল বলেন, আসামি আলী হোসেনের বয়স বিবেচনায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। অপর আসামি ফরহাদের বিচারকার্য চলমান রয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে হাঁস চুরি দেখে ফেলায় শাওনকে হত্যা করা হয়

আপলোড সময় : ০৯:২২:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নে হাঁস চুরি দেখে ফেলায় কিশোর মো. শাওনকে (১৪) হত্যা করা হয়। এ মামলায় আলী হোসেন (২০) নামের এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর ) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ নিলুফার সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আলী হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এ মামলায় অপর আসামি ফরহাদ হোসেন (১৭) বয়সে শিশু হওয়ায় তাকে গাজীপুরের টঙ্গীতে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে রাখা হয়েছে এবং শিশু আদালতে তার বিচার চলমান রয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত আলী হোসেন বেগমগঞ্জ উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের তনু বেপারী বাড়ির দেলোয়ার হোসেন চৌধুরীর ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলায় অভিযুক্ত দুই আসামি আলী হোসেন ও ফরহাদ হোসেন এলাকার একটি বাড়ি থেকে হাঁস চুরি করার সময় দেখে ফেলে শাওন। পরে শাওন বিষয়টি সবাইকে বলে দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে আলী হোসেন ও ফরহাদ।

এর সূত্র ধরে গত ২০১৮ সালের ১৪ আগস্ট বিকালে কৌশলে একটি নৌকাযোগে শাওনকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি বিলের মাঝখানে নিয়ে যায় আলী ও ফরহাদ। পরে সেখানে ফরহাদ প্রথমে শাওনের গোপনাঙ্গে লাথি মেরে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে এবং আলী হোসেন একটি রশি দিয়ে শাওনের দুই হাত পেছন থেকে বেঁধে নৌকা থেকে পানিতে ফেলে দেয়। শাওনের সন্ধান না পেয়ে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে।

পরবর্তীতে ১৭ আগস্ট বিলের মধ্যে ঘাস কাটতে গিয়ে শাওনের মৃতদেহ ভাসতে দেখেন প্রতিবেশী সোহরাব হোসেন। মৃতদেহ উদ্ধারের পরদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্থানীয় মফিজ মার্কেট এলাকায় লোকজনের উপস্থিতিতে শাওনকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে ফরহাদ ও আলী হোসেন। তাদের দুইজনকে আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা।

এ ঘটনায় নিহত শাওনের মা পারুল আক্তার বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট বেগমগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে গত ২০১৯ সালের ২৬ মে আসামি ফরহাদ ও আলী হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালতের বিবেচনায় আসামি ফরহাদ শিশু হওয়ায় তাকে আটক রেখে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

জেলা জজ আদালতে (পিপি) গুলজার আহমেদ জুয়েল বলেন, আসামি আলী হোসেনের বয়স বিবেচনায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। অপর আসামি ফরহাদের বিচারকার্য চলমান রয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন