কেরানীগঞ্জে বাঘাপুর স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া নির্দেশ ইউএনও
- আপলোড সময় : ০৯:২১:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৩
- / ১২৩৪ বার পড়া হয়েছে
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে আব্দুলাপুরের বাঘাপুর স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির ফাঁস করা প্রশ্নে বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। অসাধু কিছু শিক্ষক পরীক্ষার আগেই তাদের কাছে প্রাইভেট পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের হাতে প্রশ্নপত্র তুলে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। অসাধু শিক্ষকরা তাদের কাছে প্রাইভেট পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য এই অসাধু উপায় অবলম্বন করেছে।
জানা গেছে, গত ১৪ নভেম্বর থেকে বিদ্যালয়টির বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়। অভিযোগ রয়েছে, বিদ্যালয়টির কিছু অসাধু শিক্ষক পরীক্ষার আগে দিন তাদের কাছে প্রাইভেট পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের হাতে ও মোবাইলের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র দেন। গত মঙ্গলবার বিজ্ঞান পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। এই প্রশ্ন প্রতিবেদক ঐদিন রাতে ইউএনওকে ফরোয়ার্ড করে রাখে। পরেরদিন বুধবার সেই ফাঁসকৃত প্রশ্নেই পরীক্ষা নেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা। এভাবেই ইংরেজি ১ম পত্র ও ইংরেজি ২য় পত্রসহ পরিক্ষার বিভিন্ন প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের কিছু অসাধু শিক্ষকদের বিরুদ্ধে।
বিদ্যালয়টির নবম শ্রেণির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, এমন করে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় আমরা হতাশ। আমাদের স্কুলের কিছু অসাধু শিক্ষক প্রাইভেটের ছাত্র-ছাত্রীদের পাস করিয়ে দিতে অসদুপায় অবলম্বন করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস করে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছেন। অসৎ শিক্ষকরা শিক্ষার্থী ধরে রাখার জন্য এ কাজ করছেন। এই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।
বাঘাপুর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, কিছু অসাধু শিক্ষক তাদের কোচিং বাণিজ্য টিকিয়ে রাখার জন্য প্রশ্ন ফাঁসের সাথে জড়িত থাকতে পারে। উচ্চ বিদ্যালয়ের ও কলেজ মিলে প্রায় ৬৫ জন শিক্ষক ও কলেজ প্রভাষক রয়েছে। তাদের মধ্যে ১৫-২০ জন ইংরেজি, অংক ও বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকরা বাঘাপুর স্কুল ও কলেজের আশপাশ এলাকায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কোচিং সেন্টার খুলে বসেছে।আমি ঐ সকল অসাধু শিক্ষকের কাছে জিম্মি। গবর্ণিং বোর্ডের সভায় তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোছা: কামরুন্নাহারকে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল বিন করিম জানান, বিষয়টি তদন্তে জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বলা হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হবে।