তিতাস গ্যাসের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে তিন মেয়াদে হারুনুর রশিদ মোল্লাহ’র যুগান্তকারী সংস্কার
- আপলোড সময় : ০৬:৫৮:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪
- / ৩১৩ বার পড়া হয়েছে
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী হারুনুর রশিদ মোল্লাহ কোম্পানীর লোকসান কমাতে সংস্কারমূলক কাজ করে স্রোতের বিপরীতে লড়াই করে চলেছেন গত ৩ বছর ধরে।নিজের বিবেচনা বোধ থেকে রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত হয়ে কাজ করতে পেরেছিলেন তিতাস গ্যাসের এমডি। তিতাস গ্যাসের আমূল সংস্কার হয়েছে তার আমলেই। তিতাস গ্যাস কোম্পানীকে দলীয় করনের হাত থেকে রক্ষা করতে নিজস্ব কৌশলে কাজ করে গেছেন তিনি । তার আমলেই তিতাস গ্যাসের যুগন্তকারী পরিবর্তন এসেছে। তিতাস গ্যাসের কঠিন সংকটময় মুহূর্ত্যেও বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি। তিতাস কে ঘুষ, দূর্নীতি, অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, বকেয়া আদায়সহ সব সেক্টরে সংস্কার করা হয় যা কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাছেও গ্রহণযোগ্যতা পায়। কোন রাজনৈতিক ক্ষমতায় বা কারো অনুগ্রহ নয় কর্মদক্ষতা, অভিজ্ঞতা,যোগ্যতা এবং জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে জালাল বাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিষ্টেম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থেকেই তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ পান। তার সময়ে ২০২১-২০২২ কর বর্ষে জ্বালানি শ্রেণিতে সর্বোচ্চ আয়কর প্রদানকারী হিসেবে প্রথম স্থানে নির্বাচিত হয় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি’।
সাম্প্রতিক সময়ে এক জরীপে দেখা যায় দেশের সর্ববৃহৎ গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের অবৈধ সংযোগ এবং সিস্টেম লস কমেছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে বকেয়া গ্যাস বিল আদায়ের হার। কর্তৃপক্ষের নানামুখী উদ্যোগ আর কঠোর অবস্থানের কারণে এই সাফল্য এসেছে। এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।কোম্পানির সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর অক্লান্ত পরিশ্রম ও আন্তরিকতার কারণেই অবৈধ গ্যাস বিচ্ছিন্নকরণ ও রাজস্ব আদায়ে সাফল্য অর্জিত হয়েছে। অক্টোবর ২০২১ থেকে এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত ৩৭,২১৪টি স্পটে ৩৪,২৭৯টি অভিযানে ১,০০৭.১১ কি.মি. অবৈধ পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে এবং এতে অবৈধ উপায়ে গ্যাস ব্যবহারের কারণে ৭,০৫,৫৬৮টি ও বকেয়ার কারণে ১,০৮,২২১টি মোট ৮,১৩,৭৮৯টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তাছাড়া অবৈধ উপায়ে গ্যাস ব্যবহারের কারণে ৩৪০টি শিল্প, ৪৭৭টি বাণিজ্য, ১০৫টি ক্যাপাটিভ ও ১৩টি সিএনজিসহ মোট ৯৩৫টি এবং বকেয়ার কারণে ৩৬৭টি শিল্প, ২৮৭টি বাণিজ্য, ১৬৫টি ক্যাপটিভ ও ৫২টি সিএনজিসহ ৮৭১টিসহ মোট ১,৮০৬টি গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। সব মিলিয়ে অভিযান চালিয়ে ৮,১৫,৫৯৫টি গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। এ সময়ে অবৈধ কার্যক্রমের জন্য মোট ৬০৪.০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বিল ও জরিমানা করা হয়।
এ ছাড়া তিতাস গ্যাসের উদ্যোগে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ ও অবৈধ গ্যাস বিতরণ পাইপলাইন অপসারণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কেন্দ্রীয় টাস্কফোর্সের মনিটরিং এবং জেলা এবং উপজেলা কমিটির তত্ত্বাবধানে মোবাইল কোর্ট ও অন্যান্য অভিযান পরিচালনা করে জুলাই, ২০২৩ হতে এপ্রিল, ২০২৪ পর্যন্ত বকেয়ার কারণে ২৫,৭৩৯টি, অবৈধ সংযোগের কারণে ১,৮৫,১৬৬টি মোট ২,১০,৯০৫টি (বার্নারভিত্তিক) আবাসিক সংযোগ এবং অবৈধভাবে সংযোগকৃত ৯০টি শিল্প, ১৪৮টি বাণিজ্যিক, ৫০টি ক্যাপটিভ এবং ৩টি সিএনজি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। ৩৩৮.৬১ কি.মি. অবৈধ লাইন অপসারণ করা হয়।
এ ছাড়া অবৈধ গ্যাস সংযোগ গ্রহণ হতে বিরত থাকার জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বিজ্ঞপ্তি প্রচার, এলাকাভিত্তিক মাইকিং ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করা হয়।
২০২৩ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে তিতাস গ্যাসের নিট মুনাফা হয় ১২৪ কোটি টাকা ।২০২৪ অর্থ বছরেও নিট মুনাফা অর্জনে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে কোম্পানিটি।প্রিপেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রম, জরুরি সেবা, লিকেজ সারানো, অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদ, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, গ্যাস দুর্ঘটনাজনিত পরিস্থিতি মোকাবিলা, ওয়েব বেইজড ইন্টিগ্রেটেড সিস্টেম, গ্যাস নেটওয়ার্ক ডিজিটালাইজেশন ও ইকোনমিক জোনে গ্যাস সরবরাহ সহ অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় বর্তমান এমডির সময়।
এতসব কাজ পূর্বে তিতাসের কোন এমডি করে গেছেন কিনা এমন প্রশ্ন অনেকেরই। তবে ভালো কাজ করলে খারাপ লোকের চোখে পড়ে যেতে হয়। অনেকেই ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেয়।