ঢাকা ০৩:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জিরো টলারেন্সে কাজ করে তিতাস গ্যাসের সব সূচকে উন্নতি হয়েছে হারুনুর রশিদ মোল্লাহর হাত ধরে

মোঃ সালে আহমেদ (নিজস্ব প্রতিবেদক)
মোঃ সালে আহমেদ (নিজস্ব প্রতিবেদক)
  • আপলোড সময় : ০৮:৫১:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ২৫০ বার পড়া হয়েছে

নাজমুল হাসানঃ
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি’র বিস্ময়কর প্রতিভার অধিকারী বর্তমান ব্যবস্থাপক হারুনুর রশিদ মোল্লাহ গত তিন মেয়াদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের পুরো সময় জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করে কাজ করেছেন। যার ফলশ্রুতিতে গত কয়েক বছরে তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ, বকেয়া আদায়, রাজস্ব আদায়ের ক্রমবর্ধমান হার, অনিয়ম দুর্নীতি হ্রাস, সঞ্চালন লাইন আধুনিকায়ন, গ্রাহক সেবার মানোন্নয়ন সহ সকল সূচকে উন্নতি হয়েছে। ডুবতে যাওয়া তিতাস গ্যাস কোম্পানিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে হারুনুর রশিদ মোল্লা অন্যান্য নজির স্থাপন করেছেন। তিতাস গ্যাসের গত ৬৭ বছর ইতিহাসে এই ধরনের ঘটনা বিরল। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে নিয়ে গত তিন বছরে যে আমুল পরিবর্তন তিনি ঘটিয়েছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। জ্বালানি খাতে কঠিন সংকটকালে শক্ত হাতে তিনি তিতাস গ্যাসের লাগাম ট্রেনে ধরায় শত শত কোটি টাকা লোকসানের হাত থেকে কোম্পানিকে রক্ষা করতে পেরেছিলেন। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হারুনুর রশিদ মোল্লাহ কোম্পানি কে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপদান করতে আগামী দিনে আরো সংস্কার মূলক কাজ চালাবেন বলে জানিয়েছেন গণমাধ্যমকে।কারো অনুগ্রহে নয় বরং নিজ যোগ্যতার মাপকাঠিতেই হারুনুর রশীদ মোল্লাহ কে তিতাসের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয় জ্বালানী বিভাগ।তিতাস গ্যাসে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই নির্ধারিত কর্মঘন্টার বাইরে কাজ করে প্রতিদিন একেকটি বিষয়কে চিহ্নিত করে সমস্যা সমাধানের উপায় বের করার কৌশল বেড় করেন তিনি।তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিয়ে গড়ে তোলেন একটি টীম ওয়ার্ক।সেই টীমওয়ার্কের ভিত্তিতেই অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন,বকেয়া আদায়,সঞ্চালন লাইন ব্যাবস্থাপনাসহ অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে বর্তমানে প্রতিষ্টানটি আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে।তিতাসের মহাব্যবস্থাপক অপর্ণা ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক মো. লুৎফুল হায়দার মাসুম, মহাব্যবস্থাপক হাছান আহম্মদ ও মহাব্যবস্থাপক মো. সেলিম মিঞা,মহাব্যবস্থাপক রশিদুল আলম সহ সৎ দক্ষ দেশপ্রেমিক কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এই সাফল্য এসেছে। তিতাস গ্যাসের সর্বশেষ একটি পরিসংখ্যান বলছে,অক্টোবর ২০২১ থেকে এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত ৩৭,২১৪টি স্পটে ৩৪,২৭৯টি অভিযানে ১,০০৭.১১ কি.মি. অবৈধ পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে এবং এতে অবৈধ উপায়ে গ্যাস ব্যবহারের কারণে ৭,০৫,৫৬৮টি ও বকেয়ার কারণে ১,০৮,২২১টি মোট ৮,১৩,৭৮৯টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তাছাড়া অবৈধ উপায়ে গ্যাস ব্যবহারের কারণে ৩৪০টি শিল্প, ৪৭৭টি বাণিজ্য, ১০৫টি ক্যাপাটিভ ও ১৩টি সিএনজিসহ মোট ৯৩৫টি এবং বকেয়ার কারণে ৩৬৭টি শিল্প, ২৮৭টি বাণিজ্য, ১৬৫টি ক্যাপটিভ ও ৫২টি সিএনজিসহ ৮৭১টিসহ মোট ১,৮০৬টি গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। সব মিলিয়ে অভিযান চালিয়ে ৮,১৫,৫৯৫টি গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। এ সময়ে অবৈধ কার্যক্রমের জন্য মোট ৬০৪.০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বিল ও জরিমানা করা হয়।

এ ছাড়া তিতাস গ্যাসের উদ্যোগে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ ও অবৈধ গ্যাস বিতরণ পাইপলাইন অপসারণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কেন্দ্রীয় টাস্কফোর্সের মনিটরিং এবং জেলা এবং উপজেলা কমিটির তত্ত্বাবধানে মোবাইল কোর্ট ও অন্যান্য অভিযান পরিচালনা করে জুলাই, ২০২৩ হতে এপ্রিল, ২০২৪ পর্যন্ত বকেয়ার কারণে ২৫,৭৩৯টি, অবৈধ সংযোগের কারণে ১,৮৫,১৬৬টি মোট ২,১০,৯০৫টি (বার্নারভিত্তিক) আবাসিক সংযোগ এবং অবৈধভাবে সংযোগকৃত ৯০টি শিল্প, ১৪৮টি বাণিজ্যিক, ৫০টি ক্যাপটিভ এবং ৩টি সিএনজি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। ৩৩৮.৬১ কি.মি. অবৈধ লাইন অপসারণ করা হয়।এ ছাড়া অবৈধ গ্যাস সংযোগ গ্রহণ হতে বিরত থাকার জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বিজ্ঞপ্তি প্রচার, এলাকাভিত্তিক মাইকিং করা হয়। তিতাস গ্যাসের অবৈধ ব্যাবহারকারী, দূর্নীতি পরায়ন অসাধু ঠিকাদার,ও সার্থন্বেষী মহল বিভিন্ন ভাবে গনমাধ্যমের কর্মীদের কাছে মিথ্যা ও কাল্পনিক তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশে প্রলুব্ধ করেই চলেছে। সার্থন্বষী মহলটি তিতাস গ্যাসের অনৈতিক সুবিধার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্যই যোগ্য ব্যক্তিদের চরিত্রে কালিমা লেপনের অপচেষ্টায় লিপ্ত।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

জিরো টলারেন্সে কাজ করে তিতাস গ্যাসের সব সূচকে উন্নতি হয়েছে হারুনুর রশিদ মোল্লাহর হাত ধরে

আপলোড সময় : ০৮:৫১:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নাজমুল হাসানঃ
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি’র বিস্ময়কর প্রতিভার অধিকারী বর্তমান ব্যবস্থাপক হারুনুর রশিদ মোল্লাহ গত তিন মেয়াদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের পুরো সময় জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করে কাজ করেছেন। যার ফলশ্রুতিতে গত কয়েক বছরে তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ, বকেয়া আদায়, রাজস্ব আদায়ের ক্রমবর্ধমান হার, অনিয়ম দুর্নীতি হ্রাস, সঞ্চালন লাইন আধুনিকায়ন, গ্রাহক সেবার মানোন্নয়ন সহ সকল সূচকে উন্নতি হয়েছে। ডুবতে যাওয়া তিতাস গ্যাস কোম্পানিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে হারুনুর রশিদ মোল্লা অন্যান্য নজির স্থাপন করেছেন। তিতাস গ্যাসের গত ৬৭ বছর ইতিহাসে এই ধরনের ঘটনা বিরল। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে নিয়ে গত তিন বছরে যে আমুল পরিবর্তন তিনি ঘটিয়েছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। জ্বালানি খাতে কঠিন সংকটকালে শক্ত হাতে তিনি তিতাস গ্যাসের লাগাম ট্রেনে ধরায় শত শত কোটি টাকা লোকসানের হাত থেকে কোম্পানিকে রক্ষা করতে পেরেছিলেন। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হারুনুর রশিদ মোল্লাহ কোম্পানি কে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপদান করতে আগামী দিনে আরো সংস্কার মূলক কাজ চালাবেন বলে জানিয়েছেন গণমাধ্যমকে।কারো অনুগ্রহে নয় বরং নিজ যোগ্যতার মাপকাঠিতেই হারুনুর রশীদ মোল্লাহ কে তিতাসের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয় জ্বালানী বিভাগ।তিতাস গ্যাসে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই নির্ধারিত কর্মঘন্টার বাইরে কাজ করে প্রতিদিন একেকটি বিষয়কে চিহ্নিত করে সমস্যা সমাধানের উপায় বের করার কৌশল বেড় করেন তিনি।তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিয়ে গড়ে তোলেন একটি টীম ওয়ার্ক।সেই টীমওয়ার্কের ভিত্তিতেই অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন,বকেয়া আদায়,সঞ্চালন লাইন ব্যাবস্থাপনাসহ অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে বর্তমানে প্রতিষ্টানটি আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে।তিতাসের মহাব্যবস্থাপক অপর্ণা ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক মো. লুৎফুল হায়দার মাসুম, মহাব্যবস্থাপক হাছান আহম্মদ ও মহাব্যবস্থাপক মো. সেলিম মিঞা,মহাব্যবস্থাপক রশিদুল আলম সহ সৎ দক্ষ দেশপ্রেমিক কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এই সাফল্য এসেছে। তিতাস গ্যাসের সর্বশেষ একটি পরিসংখ্যান বলছে,অক্টোবর ২০২১ থেকে এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত ৩৭,২১৪টি স্পটে ৩৪,২৭৯টি অভিযানে ১,০০৭.১১ কি.মি. অবৈধ পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে এবং এতে অবৈধ উপায়ে গ্যাস ব্যবহারের কারণে ৭,০৫,৫৬৮টি ও বকেয়ার কারণে ১,০৮,২২১টি মোট ৮,১৩,৭৮৯টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তাছাড়া অবৈধ উপায়ে গ্যাস ব্যবহারের কারণে ৩৪০টি শিল্প, ৪৭৭টি বাণিজ্য, ১০৫টি ক্যাপাটিভ ও ১৩টি সিএনজিসহ মোট ৯৩৫টি এবং বকেয়ার কারণে ৩৬৭টি শিল্প, ২৮৭টি বাণিজ্য, ১৬৫টি ক্যাপটিভ ও ৫২টি সিএনজিসহ ৮৭১টিসহ মোট ১,৮০৬টি গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। সব মিলিয়ে অভিযান চালিয়ে ৮,১৫,৫৯৫টি গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। এ সময়ে অবৈধ কার্যক্রমের জন্য মোট ৬০৪.০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বিল ও জরিমানা করা হয়।

এ ছাড়া তিতাস গ্যাসের উদ্যোগে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ ও অবৈধ গ্যাস বিতরণ পাইপলাইন অপসারণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কেন্দ্রীয় টাস্কফোর্সের মনিটরিং এবং জেলা এবং উপজেলা কমিটির তত্ত্বাবধানে মোবাইল কোর্ট ও অন্যান্য অভিযান পরিচালনা করে জুলাই, ২০২৩ হতে এপ্রিল, ২০২৪ পর্যন্ত বকেয়ার কারণে ২৫,৭৩৯টি, অবৈধ সংযোগের কারণে ১,৮৫,১৬৬টি মোট ২,১০,৯০৫টি (বার্নারভিত্তিক) আবাসিক সংযোগ এবং অবৈধভাবে সংযোগকৃত ৯০টি শিল্প, ১৪৮টি বাণিজ্যিক, ৫০টি ক্যাপটিভ এবং ৩টি সিএনজি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। ৩৩৮.৬১ কি.মি. অবৈধ লাইন অপসারণ করা হয়।এ ছাড়া অবৈধ গ্যাস সংযোগ গ্রহণ হতে বিরত থাকার জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বিজ্ঞপ্তি প্রচার, এলাকাভিত্তিক মাইকিং করা হয়। তিতাস গ্যাসের অবৈধ ব্যাবহারকারী, দূর্নীতি পরায়ন অসাধু ঠিকাদার,ও সার্থন্বেষী মহল বিভিন্ন ভাবে গনমাধ্যমের কর্মীদের কাছে মিথ্যা ও কাল্পনিক তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশে প্রলুব্ধ করেই চলেছে। সার্থন্বষী মহলটি তিতাস গ্যাসের অনৈতিক সুবিধার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্যই যোগ্য ব্যক্তিদের চরিত্রে কালিমা লেপনের অপচেষ্টায় লিপ্ত।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন