ঢাকা ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডেমরায় ছাত্র হত্যার দায়ে দেইল্লার ত্রাস ভূমিদস্যু জাহাঙ্গীর গ্রেফতার

মোঃ সালে আহমেদ (নিজস্ব প্রতিবেদক)
মোঃ সালে আহমেদ (নিজস্ব প্রতিবেদক)
  • আপলোড সময় : ০৭:১০:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৫২১ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর ডেমরায় মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৬) নামে গ্রেফতার আওয়ামী লীগ নেতাকে বৃহস্পতিবার বিকালে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে দেইল্লা পশ্চিমপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেন ডেমরা থানা পুলিশ। তিনি ওই এলাকার সায়েদ আলী ওরফে মাক্কি কমান্ডারের ছেলে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সাইনবোর্ডের উত্তর প¦ার্শে ডেমরার ৬৬ নং ওয়ার্ডের ডগাইর নিউ টাউন মসজিদ সংলগ্নে মাহমুদুল হাসান জয় (১৫) হত্যার অপরাধে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে জাহাঙ্গীরের গ্রেফতারের খবর পেয়ে এলাকাবাসী আনন্দ মিছিল করে ফেসবুকে নানারকম স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এদিকে এ হত্যার ঘটনায় গত ১০ সেপ্টেম্বর ডেমরা থানায় ৯৪ জন এজাহার নামীয় সহ অজ্ঞাত ২০০—৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ডেমরার বামৈল এলাকার মো. জুলহাস শেখ (৩৬)। নিহত ছাত্র জয় কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর থানার চরপাড়া গ্রামের মো. মিজানুর রহমান নাহিদের ছেলে।

ভুক্তভোগী এলাকাবাসীরা জানায়, গ্রেফতার জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সাবেক এমপি মশিউর রহমান মোল্লার নাম ব্যবহার করে জায়গা দখল, চাঁদাবাজি, সংখ্যালঘুদের জায়গা দখল,মসজিদের জায়গা দখল, মামলা বানিজ্য, অবৈধভাবে বালু ভরাটসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ও সে এলাকার ত্রাস হিসেবে নিজেকে জাহির করতেন বলে ভয়ে কেউ মুখ ফুটে কথাও বলতে পারতো না।

এছাড়া ও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে দেইল্ল্যা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের জায়গা তার বড় ভাই মুতওয়াল্লী থাকা অবস্থায় বিক্রি করে পরে এলাকাবাসী এই ঘটনা জেনে যাওয়ায় তাদের মসজিদের জমি ফেরত দিতে বলে এবং তাদের সমাজচ্যুত করে কিন্তু প্রয়াত এমপি হাবিবুর রহমান মোল্লা ও তার পুত্র সজল মোল্লার ছত্রছায়ায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে তারা এই ঘটনা ধামাচাপা দেয় যার সুরহা এখনো হয়নি। বিএনপি জামায়াতের প্রত্যকের বিরুদ্ধে মামলা করানো, গ্রেফতার করানো, ভয় ভীতি দেখিয়ে চাদা আদায় করা, বাড়ীতে থাকতে না দেয়া। এমনকি সম্প্রতি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর যারা নৌকার পক্ষে কাজ করেছেন তাদেরকে হেনস্থা, মোটা অংকের চাদা দাবী ও ভয় ভীতি প্রদর্শন করে ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করেন। সজল মোল্লা এমপি হওয়ার পর তার এই চরিত্র আরো বেপরোয়া হয়ে যায়। এমপির নাম ব্যবহার করে এলাকায় নতুন কেউ বাড়ী করলে বা জমি কিনলে সে তার সাঙ্গোপাঙ্গদের মাধ্যমে চাদা দাবী করত, চাদা না দিলে তার সহযোগীরা গিয়ে বাধা প্রদান করে কাজ বন্ধ করে দিত, এমনকি রাজউকের লোক দিয়ে হয়রানি করানো সহ বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্থ করত।বেশ কিছুদিন আগে তার বাসায় সে অন্য এক নারী সহ পরকীয়া করতে যেয়ে ধরা পরে, সেখানে যারা এই ঘটনা দেখে ফেলে তারা এই কাজে বাধা দেয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে।এসব কাজে এলাকার কিছু লোক তার সহযোগী ছিল, তারা সজল মোল্লার নামে ক্লাব খুলে সেখানে বেপরোয়াভাবে মদ-জুয়া খেলা সহ ও এলাকার সমস্ত অপকর্মের নিয়ন্ত্রণ করত এসব ঘটনায় আশপাশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেমরা থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন বলেন, গ্রেফতার জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে নানা অপকর্মসহ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার অভিযোগে অনেকে এখনো মামলা করতে ইচ্ছুক। তাকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেফার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ডেমরায় ছাত্র হত্যার দায়ে দেইল্লার ত্রাস ভূমিদস্যু জাহাঙ্গীর গ্রেফতার

আপলোড সময় : ০৭:১০:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাজধানীর ডেমরায় মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৬) নামে গ্রেফতার আওয়ামী লীগ নেতাকে বৃহস্পতিবার বিকালে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে দেইল্লা পশ্চিমপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেন ডেমরা থানা পুলিশ। তিনি ওই এলাকার সায়েদ আলী ওরফে মাক্কি কমান্ডারের ছেলে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সাইনবোর্ডের উত্তর প¦ার্শে ডেমরার ৬৬ নং ওয়ার্ডের ডগাইর নিউ টাউন মসজিদ সংলগ্নে মাহমুদুল হাসান জয় (১৫) হত্যার অপরাধে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে জাহাঙ্গীরের গ্রেফতারের খবর পেয়ে এলাকাবাসী আনন্দ মিছিল করে ফেসবুকে নানারকম স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এদিকে এ হত্যার ঘটনায় গত ১০ সেপ্টেম্বর ডেমরা থানায় ৯৪ জন এজাহার নামীয় সহ অজ্ঞাত ২০০—৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ডেমরার বামৈল এলাকার মো. জুলহাস শেখ (৩৬)। নিহত ছাত্র জয় কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর থানার চরপাড়া গ্রামের মো. মিজানুর রহমান নাহিদের ছেলে।

ভুক্তভোগী এলাকাবাসীরা জানায়, গ্রেফতার জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সাবেক এমপি মশিউর রহমান মোল্লার নাম ব্যবহার করে জায়গা দখল, চাঁদাবাজি, সংখ্যালঘুদের জায়গা দখল,মসজিদের জায়গা দখল, মামলা বানিজ্য, অবৈধভাবে বালু ভরাটসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ও সে এলাকার ত্রাস হিসেবে নিজেকে জাহির করতেন বলে ভয়ে কেউ মুখ ফুটে কথাও বলতে পারতো না।

এছাড়া ও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে দেইল্ল্যা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের জায়গা তার বড় ভাই মুতওয়াল্লী থাকা অবস্থায় বিক্রি করে পরে এলাকাবাসী এই ঘটনা জেনে যাওয়ায় তাদের মসজিদের জমি ফেরত দিতে বলে এবং তাদের সমাজচ্যুত করে কিন্তু প্রয়াত এমপি হাবিবুর রহমান মোল্লা ও তার পুত্র সজল মোল্লার ছত্রছায়ায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে তারা এই ঘটনা ধামাচাপা দেয় যার সুরহা এখনো হয়নি। বিএনপি জামায়াতের প্রত্যকের বিরুদ্ধে মামলা করানো, গ্রেফতার করানো, ভয় ভীতি দেখিয়ে চাদা আদায় করা, বাড়ীতে থাকতে না দেয়া। এমনকি সম্প্রতি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর যারা নৌকার পক্ষে কাজ করেছেন তাদেরকে হেনস্থা, মোটা অংকের চাদা দাবী ও ভয় ভীতি প্রদর্শন করে ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করেন। সজল মোল্লা এমপি হওয়ার পর তার এই চরিত্র আরো বেপরোয়া হয়ে যায়। এমপির নাম ব্যবহার করে এলাকায় নতুন কেউ বাড়ী করলে বা জমি কিনলে সে তার সাঙ্গোপাঙ্গদের মাধ্যমে চাদা দাবী করত, চাদা না দিলে তার সহযোগীরা গিয়ে বাধা প্রদান করে কাজ বন্ধ করে দিত, এমনকি রাজউকের লোক দিয়ে হয়রানি করানো সহ বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্থ করত।বেশ কিছুদিন আগে তার বাসায় সে অন্য এক নারী সহ পরকীয়া করতে যেয়ে ধরা পরে, সেখানে যারা এই ঘটনা দেখে ফেলে তারা এই কাজে বাধা দেয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে।এসব কাজে এলাকার কিছু লোক তার সহযোগী ছিল, তারা সজল মোল্লার নামে ক্লাব খুলে সেখানে বেপরোয়াভাবে মদ-জুয়া খেলা সহ ও এলাকার সমস্ত অপকর্মের নিয়ন্ত্রণ করত এসব ঘটনায় আশপাশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেমরা থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন বলেন, গ্রেফতার জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে নানা অপকর্মসহ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার অভিযোগে অনেকে এখনো মামলা করতে ইচ্ছুক। তাকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেফার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন