সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৮১২ জিপিএ ৫-সহ শতভাগ পাস
- আপলোড সময় : ০৭:২৪:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪
- / ৩১৬ বার পড়া হয়েছে
প্রতি বছরের মতো এবারও ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় নজরকাড়া সাফল্য অর্জন করেছে রাজধানীর সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এ বছরের এইচএসসিতে ৮১২ জন জিপিএ ৫-সহ শতভাগ পাসের গৌরব অর্জন করেছে এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও শতভাগ সাফাল্য ধরে রেখেছে ড. মাহাবুবুর রহমান কলেজ। এদুটি প্রতিষ্ঠান শতভাগ পাসের পাশাপাশি নজর কেড়েছে জিপিএ-৫ এর ক্ষেত্রে।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, দুটি কলেজে শতভাগ পাসের পাশাপাশি জিপিও-৫ পেয়েছে অনেক বড় অংশ। সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার পরীক্ষা দিয়েছিল এক হাজার ১২৩ জন। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৭৫৬ জনের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৬৮৮ জন, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ২২৩ জনে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৬৭ ও মানবিক বিভাগে ১৪৪ জনের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৫৭ জন। এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের দিন মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের হৈ-হুল্লোড় ও আনন্দ-উৎসবে প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণ ছিল মুখর। বিন্দুমাত্র উল্লাস-উচ্ছ্বাসের কমতি ছিল না। পাসের সংখ্যা শতভাগ। আর ড. মাহাবুবুর রহমান কলেজ থেকে এবার পরীক্ষা দিয়েছে দুই হাজার ৭৪০ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে শতভাগ পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে এক হাজার ৭৬৫ জন। এ বিষয়ে কথা হয় প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লার সঙ্গে। তিনি বলেন, এবার নানা রকম প্রতিকূলতার মধ্যে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। রাজনৈতিক টানাপোড়নের কারণেও শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও পরীক্ষা বিঘ্নিত হয়েছে। এর মধ্যেও আমাদের শিক্ষার্থীরা আশানুরূপ ফল অর্জন করেছে। শিক্ষকদের সযত্ন পরিচর্যা শিক্ষার্থীদের আশা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। মেধাবী শিক্ষার্থীরা বারবার প্রত্যাশিত ফল অর্জন করে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তিকে ক্রমাগতভাবে সমুজ্জ্বল করে আসছে। এটা আমাদের সৌভাগ্য, এর চেয়ে সুখের আর কী হতে পারে! বিজ্ঞান বিভাগের গোল্ডেন জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থী সাবরিনা ইসলাম তিনা বলেন, আমার আশা শতভাগ পূর্ণ হয়েছে। অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের সঠিক দিকনির্দেশনা ও আমার চেষ্টায় ভাল ফল হয়েছে। অপরদিকে ড. মাহাবুবুর রহমান কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের এই সফলতা আমাদের জন্য গর্বের। এরাই এক সময় দেশের সফলতা এনে দেবে, জাতিকে গর্বিত করবে। শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে তাই তাদেরকে পড়ালেখার পাশাপাশি নৈতিক জ্ঞান দেওয়ার চেষ্টা করেছেন শিক্ষকরা। এই ধারা অব্যাহত রেখে যেতে পারি, সেজন্য সবার দোয়া ও সহযোহিতা কামরা করছি।