ঢাকা ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সালাম মুর্শেদীর বাড়ির তদন্ত নিয়ে হাইকোর্টের অসন্তোষ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপলোড সময় : ১২:৩৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুন ২০২৩
  • / ৬২২ বার পড়া হয়েছে

রাজধানী গুলশানের যে বাড়িতে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী বসবাস করেন সে বাড়ির বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে না পারায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (১৪ জুন) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

আদালত বলেন, এই বাড়ির বিষয়ে আপনাদের ৯৪ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। আপনারা এই সময়ের মধ্যে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে পারেন নাই। এতো সময় নিলেন পারলেন না কেন? পরে দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান আদালতের কাছে ফের সময় চান।

আদালত থেকে বেরিয়ে খুরশীদ আলম খান বলেন, আব্দুস সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ি নিয়ে হাইকোর্ট দুদককে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আজকে সে বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আমরা দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষ থেকে তদন্ত শেষ করতে পারিনি। আমরা অনেকের সাক্ষ্য নিয়েছি। সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। আমরা আদালতের কাছে আরও ৩০ দিন সময় চেয়েছি। কেন সময় চেয়েছি তার ব্যাখা দিয়েছি। আমাদের সময়ের আবেদনের জন্য আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। আদালত বলেছে এতো সময় লাগছে, আপনারাও তদন্ত শেষ করতে পারছেন না। পরে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সময় দিয়েছেন আদালত।
গুলশানের বাড়িটির জমির মালিক কে তা নিয়ে একটি রিটও হয় হাইকোর্টে। তাতে বলা হয়, পরিত্যক্ত সম্পত্তি দখল করে বাড়ি বানিয়েছেন সালাম মুর্শেদী। যদিও এমন অভিযোগ বারবার অস্বীকার করেছেন তিনি।

বাড়িটির প্রকৃত অবস্থা কী দুদকের আবেদনে একটি কমিটি গঠন করে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। ৩ সদস্যের কমিটিতে ছিলেন রাজউকের এক কর্মকর্তাও। গত ২০ নভেম্বর সেই কমিটি পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে জানায়, গুলশান ২ এর ১০৪ নম্বর রোডের ২৭ নম্বর বাড়িটি পরিত্যক্ত সম্পত্তি থেকে অবমুক্ত না করেই অবৈধভাবে বানানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বেআইনিভাবে এটি হস্তান্তর করা হয়েছে একপক্ষ থেকে আরেক পক্ষকে।

প্রতিবেদনে কমিটি জানায়, অবৈধভাবে দখল হওয়া প্লটটি সরকারের অনুকূলে ফেরত নেয়ার সময় এসেছে। জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশও করেছে তদন্ত কমিটি।
এর আগে এ বিষয়ে রিটকারী আইনজীবী সায়েদুল হক সুমন জানান, তদন্ত কমিটি স্পষ্ট করে বলেছেন, কাগজপত্রের আলোকে অর্পিত বাড়িটির হস্তান্তর প্রক্রিয়া বিধিসম্মত হয়নি। এর অর্থ কাগজপত্র জালিয়াতি করা হয়েছে এবং এটি সরকারের আনুকুল্যে আনা যেতে পারে। রাজউক পরিষ্কার করে বলছে, সালাম মুর্শেদী বাড়িটি অবৈধভাবে দখল করে আছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সালাম মুর্শেদীর বাড়ির তদন্ত নিয়ে হাইকোর্টের অসন্তোষ

আপলোড সময় : ১২:৩৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুন ২০২৩

রাজধানী গুলশানের যে বাড়িতে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী বসবাস করেন সে বাড়ির বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে না পারায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (১৪ জুন) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

আদালত বলেন, এই বাড়ির বিষয়ে আপনাদের ৯৪ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। আপনারা এই সময়ের মধ্যে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে পারেন নাই। এতো সময় নিলেন পারলেন না কেন? পরে দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান আদালতের কাছে ফের সময় চান।

আদালত থেকে বেরিয়ে খুরশীদ আলম খান বলেন, আব্দুস সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ি নিয়ে হাইকোর্ট দুদককে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আজকে সে বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আমরা দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষ থেকে তদন্ত শেষ করতে পারিনি। আমরা অনেকের সাক্ষ্য নিয়েছি। সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। আমরা আদালতের কাছে আরও ৩০ দিন সময় চেয়েছি। কেন সময় চেয়েছি তার ব্যাখা দিয়েছি। আমাদের সময়ের আবেদনের জন্য আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। আদালত বলেছে এতো সময় লাগছে, আপনারাও তদন্ত শেষ করতে পারছেন না। পরে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সময় দিয়েছেন আদালত।
গুলশানের বাড়িটির জমির মালিক কে তা নিয়ে একটি রিটও হয় হাইকোর্টে। তাতে বলা হয়, পরিত্যক্ত সম্পত্তি দখল করে বাড়ি বানিয়েছেন সালাম মুর্শেদী। যদিও এমন অভিযোগ বারবার অস্বীকার করেছেন তিনি।

বাড়িটির প্রকৃত অবস্থা কী দুদকের আবেদনে একটি কমিটি গঠন করে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। ৩ সদস্যের কমিটিতে ছিলেন রাজউকের এক কর্মকর্তাও। গত ২০ নভেম্বর সেই কমিটি পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে জানায়, গুলশান ২ এর ১০৪ নম্বর রোডের ২৭ নম্বর বাড়িটি পরিত্যক্ত সম্পত্তি থেকে অবমুক্ত না করেই অবৈধভাবে বানানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বেআইনিভাবে এটি হস্তান্তর করা হয়েছে একপক্ষ থেকে আরেক পক্ষকে।

প্রতিবেদনে কমিটি জানায়, অবৈধভাবে দখল হওয়া প্লটটি সরকারের অনুকূলে ফেরত নেয়ার সময় এসেছে। জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশও করেছে তদন্ত কমিটি।
এর আগে এ বিষয়ে রিটকারী আইনজীবী সায়েদুল হক সুমন জানান, তদন্ত কমিটি স্পষ্ট করে বলেছেন, কাগজপত্রের আলোকে অর্পিত বাড়িটির হস্তান্তর প্রক্রিয়া বিধিসম্মত হয়নি। এর অর্থ কাগজপত্র জালিয়াতি করা হয়েছে এবং এটি সরকারের আনুকুল্যে আনা যেতে পারে। রাজউক পরিষ্কার করে বলছে, সালাম মুর্শেদী বাড়িটি অবৈধভাবে দখল করে আছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন